বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি দাবি করেছেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্তরের দেড় শতাধিক ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন, এতে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এত টাকা ড. ইউনূস কোথায় পেয়েছেন, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
৩০ আগস্ট বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করতে সচিবালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়েছে। এমতাবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছেন তারা। বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেন না। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান ইলেভেনের মতো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার হবে, এমন কথাবার্তায় বাজার সরগরম রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সেই দুঃস্বপ্ন দেখছে কি না, জানি না। ওয়ান ইলেভেনে ইউনূস কম চেষ্টা করেননি। তখনো তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখুন। আপনারা হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) সিঙ্গাপুর গেছেন চিকিৎসা করাতে। সেখানে বসে ড. ইউনূসকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর ইউনূস কোনো শোক প্রকাশ করেননি। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর একটা কথাও বলেননি।’
ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস কখনো শহীদ মিনারে গেছেন? স্মৃতিসৌধে কখনো গেছেন? দেশের বন্যা–দুর্যোগে তাকে কখনো দেখা গেছে? করোনা মহামারির সময়ে তিনি কোনো কথা বলেছেন? বলেননি। দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যায়, তিনি কথা বলেন না। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে–দুঃখে নেই, তার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামের এত মায়াকান্না কেন? এত দরদ কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস কখনো আমাদের খবর রাখেন না। তিনি কখন দেশে আসেন, কখন যান, আমরা জানি না। তাহলে আমরা কেন তার পাশে থাকব। শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করলে কেউ কি আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন?’
সভায় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব হোসেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা বক্তব্য দেন।
ঠিকানা/এনআই
তিনি দাবি করেছেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতে বিশ্বের বিভিন্ন স্তরের দেড় শতাধিক ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন, এতে দুই মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এত টাকা ড. ইউনূস কোথায় পেয়েছেন, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
৩০ আগস্ট বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করতে সচিবালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়েছে। এমতাবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছেন তারা। বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেন না। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান ইলেভেনের মতো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার হবে, এমন কথাবার্তায় বাজার সরগরম রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সেই দুঃস্বপ্ন দেখছে কি না, জানি না। ওয়ান ইলেভেনে ইউনূস কম চেষ্টা করেননি। তখনো তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখুন। আপনারা হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান। বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) সিঙ্গাপুর গেছেন চিকিৎসা করাতে। সেখানে বসে ড. ইউনূসকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর ইউনূস কোনো শোক প্রকাশ করেননি। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর একটা কথাও বলেননি।’
ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস কখনো শহীদ মিনারে গেছেন? স্মৃতিসৌধে কখনো গেছেন? দেশের বন্যা–দুর্যোগে তাকে কখনো দেখা গেছে? করোনা মহামারির সময়ে তিনি কোনো কথা বলেছেন? বলেননি। দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যায়, তিনি কথা বলেন না। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে–দুঃখে নেই, তার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামের এত মায়াকান্না কেন? এত দরদ কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস কখনো আমাদের খবর রাখেন না। তিনি কখন দেশে আসেন, কখন যান, আমরা জানি না। তাহলে আমরা কেন তার পাশে থাকব। শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করলে কেউ কি আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন?’
সভায় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব হোসেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা বক্তব্য দেন।
ঠিকানা/এনআই