২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মী ও সাঈদীভক্তরা সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং সেসব মিছিল থেকে সহিংসতা ছড়ায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বহু গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করেন। কয়েকটি স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। জামায়াতের সহিংসতায় সারা দেশে দেড় শতাধিক লোক মারা যান। আহত হন সহস্রাধিক।
গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী এবং সরকারের প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা সাঈদী ইস্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদ হারান। মসজিদে মসজিদে দোয়া করে অর্ধশতাধিক ইমাম চাকরি হারান। কিন্তু সাঈদীর মৃত্যু ইস্যুতে আশ্চর্য রকমের নীরবতা পালন করে জামায়াতে ইসলামী। এই ইস্যুতে বড় কোনো কর্মসূচি দেয়নি দলটি। সাঈদীর মৃত্যুর দুদিন পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে দোয়া মাহফিল এবং ১০ দিন পর প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েই অনেকটা অন্তরালে তারা। সাঈদীর মৃত্যুর পরপর রাতের বেলায় বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে জড়ো হয়ে লাশ আটকে পুলিশের সঙ্গে অনেকে সংঘর্ষে জড়ান। জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিদের অনেকেই জামায়াতের পদধারী নন, তারা সাঈদীর ভক্ত ও অনুসারী। জামায়াতের এমন রহস্যময় নীরব ভূমিকা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এবার সাঈদী ইস্যুটিকে জামায়াত খুবই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করেছে। সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করেছে দলটি। জামায়াতের পর্যবেক্ষণ ছিল, দলের পক্ষ থেকে যদি বড় কোনো কর্মসূচি দেওয়া হতো, তাহলে অতীতের মতো সাধারণ মানুষের মৃত্যুশঙ্কা তৈরি হতো এবং সরকার আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করত। দলটির ভাষ্য, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইস্যুতে দলের নেতাকর্মীরা যেমন আবেগাপ্লুত, তেমনি সাধারণ মানুষও এতে সম্পৃক্ত হলে অন্য কিছু ঘটে যেত।
সূত্র জানায়, সরকার জামায়াতকে বিশ্ব দরবারে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেক পরিকল্পনাই এঁকেছে। সেটি বুঝতে পেরে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক সতর্কতার সঙ্গেই তারা হাঁটছে। অতীতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে দাবি আদায়ে সফল হয়েছে। এবারও তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে। বিএনপির সঙ্গে শুরুতে এক দফার দাবি আদায়ে যুগপৎ কর্মসূচিতে একসঙ্গে হাঁটলেও দলীয় কৌশলে পিছু হটে। উপরে উপরে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব রয়েছে এমন খবর থাকলেও ভেতরে ভেতরে জামায়াত-বিএনপির একই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের টার্গেট রয়েছে বলেই সংশ্লিষ্টদের দাবি। রাজনৈতিক কৌশলে আপাতত দুই দল একলা চলো নীতিতে রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের জন্য কেয়ারটেকার সরকার বাস্তবায়নে জামায়াত-বিএনপি একই মঞ্চে আন্দোলনে নামতে পারে। এ ছাড়া জামায়াতের থাকবে একক কর্মসূচি এবং বিএনপি শর্ট টাইমে যে আন্দোলনের চিন্তা করছে, সেখানে জামায়াতও অন্যতম সঙ্গী হবে। বিএনপির এক নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির এখন তেমন আর দূরত্ব নেই। আন্তর্জাতিক কিছু পলিসির কারণে একলা চলো নীতিতে রয়েছে দুই দল। আবার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমেই খুব শিগগির দুই দল একসঙ্গে মাঠে নামবে-এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়া যত দিন জীবিত রয়েছেন, জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জামায়াত বিষয়ে পজিটিভ রয়েছেন। যখন বৃহৎ স্বার্থে প্রয়োজন হবে, তখনই ঘোষণা আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার এক সদস্য বলেন, বিশ্বনন্দিত ইসলামিক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় সরকার চেয়েছিল জামায়াত রাজপথে নেমে জ্বালাও-পোড়াওয়ের আন্দোলন করুক। আমরা সেটি বুঝতে পেরে সরকারের ফাঁদে পা দিইনি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি এবং তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কি না, এ নিয়ে তদন্ত দাবি করেছি। সরকার ঢাকায় তার জানাজা করতে না দেওয়ায় এ দেশের মানুষই ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, কেয়ারটেকার সরকার বিষয়টি জামায়াতের মৌলিক আন্দোলনের বিষয়, জামায়াত এটির উদ্ভাবক। কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ে জামায়াত অতীতে সফল হয়েছে, আগামীতেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে সফল হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমরা একটি জঙ্গি নাটক দেখতে পাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, জঙ্গিবাদের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী চরম বিরোধী। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সরকার বিদেশিদের নজরে আসতে এ জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। কিন্তু এবার আর তারা সফল হবে না। জনগণ সবকিছুই বুঝে গেছে। কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ের মাধ্যমে সরকার খুব শিগগিরই বিদায় হবে।
গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী এবং সরকারের প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা সাঈদী ইস্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদ হারান। মসজিদে মসজিদে দোয়া করে অর্ধশতাধিক ইমাম চাকরি হারান। কিন্তু সাঈদীর মৃত্যু ইস্যুতে আশ্চর্য রকমের নীরবতা পালন করে জামায়াতে ইসলামী। এই ইস্যুতে বড় কোনো কর্মসূচি দেয়নি দলটি। সাঈদীর মৃত্যুর দুদিন পর একটি সংবাদ সম্মেলন করে দোয়া মাহফিল এবং ১০ দিন পর প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েই অনেকটা অন্তরালে তারা। সাঈদীর মৃত্যুর পরপর রাতের বেলায় বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে জড়ো হয়ে লাশ আটকে পুলিশের সঙ্গে অনেকে সংঘর্ষে জড়ান। জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিদের অনেকেই জামায়াতের পদধারী নন, তারা সাঈদীর ভক্ত ও অনুসারী। জামায়াতের এমন রহস্যময় নীরব ভূমিকা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে এবং রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
দলটির নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এবার সাঈদী ইস্যুটিকে জামায়াত খুবই স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করেছে। সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করেছে দলটি। জামায়াতের পর্যবেক্ষণ ছিল, দলের পক্ষ থেকে যদি বড় কোনো কর্মসূচি দেওয়া হতো, তাহলে অতীতের মতো সাধারণ মানুষের মৃত্যুশঙ্কা তৈরি হতো এবং সরকার আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করত। দলটির ভাষ্য, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইস্যুতে দলের নেতাকর্মীরা যেমন আবেগাপ্লুত, তেমনি সাধারণ মানুষও এতে সম্পৃক্ত হলে অন্য কিছু ঘটে যেত।
সূত্র জানায়, সরকার জামায়াতকে বিশ্ব দরবারে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেক পরিকল্পনাই এঁকেছে। সেটি বুঝতে পেরে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক সতর্কতার সঙ্গেই তারা হাঁটছে। অতীতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে দাবি আদায়ে সফল হয়েছে। এবারও তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে। বিএনপির সঙ্গে শুরুতে এক দফার দাবি আদায়ে যুগপৎ কর্মসূচিতে একসঙ্গে হাঁটলেও দলীয় কৌশলে পিছু হটে। উপরে উপরে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব রয়েছে এমন খবর থাকলেও ভেতরে ভেতরে জামায়াত-বিএনপির একই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের টার্গেট রয়েছে বলেই সংশ্লিষ্টদের দাবি। রাজনৈতিক কৌশলে আপাতত দুই দল একলা চলো নীতিতে রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের জন্য কেয়ারটেকার সরকার বাস্তবায়নে জামায়াত-বিএনপি একই মঞ্চে আন্দোলনে নামতে পারে। এ ছাড়া জামায়াতের থাকবে একক কর্মসূচি এবং বিএনপি শর্ট টাইমে যে আন্দোলনের চিন্তা করছে, সেখানে জামায়াতও অন্যতম সঙ্গী হবে। বিএনপির এক নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির এখন তেমন আর দূরত্ব নেই। আন্তর্জাতিক কিছু পলিসির কারণে একলা চলো নীতিতে রয়েছে দুই দল। আবার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমেই খুব শিগগির দুই দল একসঙ্গে মাঠে নামবে-এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়া যত দিন জীবিত রয়েছেন, জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও জামায়াত বিষয়ে পজিটিভ রয়েছেন। যখন বৃহৎ স্বার্থে প্রয়োজন হবে, তখনই ঘোষণা আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার এক সদস্য বলেন, বিশ্বনন্দিত ইসলামিক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় সরকার চেয়েছিল জামায়াত রাজপথে নেমে জ্বালাও-পোড়াওয়ের আন্দোলন করুক। আমরা সেটি বুঝতে পেরে সরকারের ফাঁদে পা দিইনি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি এবং তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কি না, এ নিয়ে তদন্ত দাবি করেছি। সরকার ঢাকায় তার জানাজা করতে না দেওয়ায় এ দেশের মানুষই ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, কেয়ারটেকার সরকার বিষয়টি জামায়াতের মৌলিক আন্দোলনের বিষয়, জামায়াত এটির উদ্ভাবক। কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ে জামায়াত অতীতে সফল হয়েছে, আগামীতেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে সফল হবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমরা একটি জঙ্গি নাটক দেখতে পাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, জঙ্গিবাদের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী চরম বিরোধী। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সরকার বিদেশিদের নজরে আসতে এ জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। কিন্তু এবার আর তারা সফল হবে না। জনগণ সবকিছুই বুঝে গেছে। কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ের মাধ্যমে সরকার খুব শিগগিরই বিদায় হবে।