ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে আলোচনা

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে ‘নৌকার ভোটারদের’ জন্য বিকল্প কী?

প্রকাশ : ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৯ , অনলাইন ভার্সন
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা গায়ের জোরে ভোটের নামে প্রহসন করে ভোটারদের বঞ্চিত করেছেন। এজন্য সেই নেতাদের শাস্তি দিতে পারেন। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া হয়, দেশে যে তাদের কম করে ধরলেও এক কোটি ভোটার আছে, যারা জীবনে নৌকা প্রতীক ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেয়নি, তাদের জন্য বিকল্প কী রাখছেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই পারে। এর বদলে জনগণ দলটিকে চায় কী না চায়, সেটা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করলেই ভালো হতো।

১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে এভাবেই নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার মাসুদ কামাল। তিনি ছাড়াও এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) আলোচনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড, দেশের রাজনীতি, জাতীয় নির্বাচন, জুলাই মিত্রদের বিভেদ- সমসাময়িক এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলেন দুই অতিথি।

জুলাই গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য কোনো ধরনের বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে অংশ নিতে দেওয়ার পক্ষে নন জুলাই স্পিরিটের পক্ষে মাঠে সক্রিয় থাকা শরিফ ওসমান হাদি। তিনি দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ তো কোনো দল নয়, এটি একটি মাফিয়া গোষ্ঠী। তাদের নেতাদের বিচার যেমন করতে হবে। তেমনি সমর্থকদের জন্যও ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। এর আগে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না।’

আগামী নির্বাচনে এক্ষেত্রে নৌকার সমর্থকরা সিপিবি, কাদের সিদ্দিকীর দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও ভোট দিতে পারে- এভাবেই বিকল্প দেখিয়ে দিলেন শরিফ ওসমান হাদি।
তিনি মনে করেন, জাতি গঠনের জন্য অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, ট্যাগিং রাজনীতি বাদ দিতে হবে। কিন্তু তার আগে জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। তারপর ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করতে হবে। আর অবশ্যই রাষ্ট্রের ন্যূনতম সংস্কার নিশ্চিতের পর এই সরকারকে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে, বলছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।

জাতীয় ঐক্যের দিকে জোর দিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, ‘বিভক্তির মাধ্যমে কোনো জাতি অগ্রসর হতে পারে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাককে যখন বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলতো, জামায়াতকে নিষিদ্ধের হুমকি দিত, তখন আমি বলতাম, তাদের ভোটারদের কী বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিবেন?’

তিনি আরো বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে এসে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, এটা ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু আওয়ামী লীগে যে বিভাজন ১৫ বছরে তৈরি করেছে, তিনি তা হয়তো ১৫ মাসেই করে ফেলার দিকে যাচ্ছেন- শঙ্কা প্রকাশ করলেন মাসুদ কামাল।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041