
দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ করলো শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার তিনদিন পর ৮ আগস্ট যাত্রা শুরু করেছিল ড. ইউনূস সরকার। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঝরা অজস্র রক্তের প্রতি দায় থেকে খাড়া রয়েছে মেলা প্রশ্ন। সেই দায়দেনার হিসাবে কতটা সফল হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার?
গণ-অভ্যুত্থানের কোনো লিখিত আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ছিল না। কিন্তু, দেয়াললিখনে, মিছিলে, স্লোগানে, বক্তৃতায় উচ্চারিত জনপ্রত্যাশাগুলোই হয়ে উঠেছিল ইশতেহার। ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ ‘মৌলিক সংস্কার’, ‘নতুন বাংলাদেশ’, ‘নতুন বন্দোবস্ত’, ‘সমতল থেকে পাহাড়, এবারের মুক্তি সবার’- এরকম নানা দেয়াললিখনের মধ্য দিয়ে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, শ্রেণি ইত্যাদি সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে উঠেছিল। এক বছরে কতটা পূরণ হলো সেসব জনআকাঙ্ক্ষা?
জুলাইয়ের দায় থেকে জনমনে বহু প্রশ্ন থাকলেও বিভিন্ন খাতে সাফল্য দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষত: রাষ্ট্র সংস্কারে সংস্কার কমিশন গঠন এবং কমিশনগুলোর সুপারিশের কিছু কিছু বাস্তবায়ন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা, জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু, মূল্যস্ফীতি কমানো, রিজার্ভ বৃদ্ধি ও খাদ্যের মজুত বৃদ্ধি করতে পারাকে অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছে ড. ইউনূস সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৩৭তম বৈঠক হয়েছে ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার)। বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্নে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, প্রশাসন ভেঙে পড়েছে-এবিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী?’
জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আপনি যদি বিগত সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন, অপরাধ ও খুন কম হচ্ছে। একটা-দুইটা খুন হলেই বলা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। প্রতি মাসে অপরাধ ও খুনের চিত্র তুলে ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নেন। দেখবেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী।’ আর প্রশাসন ভেঙে পড়লে গত এক বছরে এত অর্জন হতো কিনা, পাল্টা প্রশ্ন রাখেন শফিকুল আলম। তিনি অর্জনের হিসাব দিতে গিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার সময় দেশে খাদ্যের মজুত ছিল ১৮ লাখ টন। এখন তা বেঢ়ে ২১ লাখ টনে। প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রিজার্ভ বাড়ছে। এসব কারা করছে? আমলাতন্ত্র করেছে। আমলাতন্ত্র ভেঙে পড়লে ছয়টি বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হতো না। এসময় আরেক সাংবাদিক জানতে চান, পুলিশ যদি সক্রিয়ই হয়, তাহলে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামতে হলো কেন? তখন প্রেস সচিব বলেন, এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মোট ৩১৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা শতাংশে ৭৮ দশমিক ৪১ ভাগ। স্বাধীনতার পর এটা যেকোনো সরকারের জন্য রেকর্ড।
তিনি বলেন, ১১টি সংস্কার কমিশন যে ১২১টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করেছিল, এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬টি বাস্তবায়িত হয়েছে। ৮৫টি আশু বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াধীন। ১০টির আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর ১০টি বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এক বছরে ১২ অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে ১২টি অর্জনের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো-
শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা-জুলাই অভ্যুত্থানের পরে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে, বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিশোধের চক্র রোধ করে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নৈতিক নেতৃত্ব একটি স্থিতিশীল শক্তি প্রদান করে, যা জাতিকে সহিংসতার পরিবর্তে পুনর্মিলন ও নতুন করে গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করে।
‘অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন’- একটি বিধ্বস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে হ্রাস পেয়েছে, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ (৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন), ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স, রফতানি ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং টাকার মান বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে। ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল হয়েছে।
‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ লাভ’- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল বাণিজ্য শুল্ক আলোচনা শেষ হয়েছে (কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, আমরা দুর্বল সরকার হওয়ায় আমরা এটি করতে পারি না), বড় আকারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষিত করেছে (টেক্সটাইলে হান্ডা গ্রুপের ২৫০ মিলিয়ন ডলারসহ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে) এবং গত সরকারের সময়ের তুলনায় এফডিআই প্রবাহ দ্বিগুণ হয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছেন।
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জুলাই সনদ’- সংস্কার কমিশন গঠন করে, ৩০টির বেশি দলের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করে এবং ঐতিহাসিক জুলাই সনদকে চূড়ানস্ত করে, ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের যেকোনও প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে। জুলাই সনদ আমাদের ক্ষমতা কাঠামোতে বর্ধিত চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সসহ একটি নতুন গণতান্ত্রিক যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুলাই গণহত্যার জন্য ন্যায়বিচার: জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ বিচার চলছে, অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করা। চারটি বড় ট্রায়াল শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে।
নির্বাচনি রোডম্যাপ ও সংস্কার: প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোটার এবং নারীদের অন্তর্ভুক্তি করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং উত্সব নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনকে গণতন্ত্রের জাতীয় উত্সবে পরিণত করার লক্ষ্যে নাগরিকদের প্রতিক্রিয়ার জন্য ডিজিটাল পরামর্শ প্ল্যাটফঅর্ম চালু করা। জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, অনিয়মিত আনসার ও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ঠিকানা/এসআর
গণ-অভ্যুত্থানের কোনো লিখিত আনুষ্ঠানিক ইশতেহার ছিল না। কিন্তু, দেয়াললিখনে, মিছিলে, স্লোগানে, বক্তৃতায় উচ্চারিত জনপ্রত্যাশাগুলোই হয়ে উঠেছিল ইশতেহার। ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ ‘মৌলিক সংস্কার’, ‘নতুন বাংলাদেশ’, ‘নতুন বন্দোবস্ত’, ‘সমতল থেকে পাহাড়, এবারের মুক্তি সবার’- এরকম নানা দেয়াললিখনের মধ্য দিয়ে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, শ্রেণি ইত্যাদি সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়ে উঠেছিল। এক বছরে কতটা পূরণ হলো সেসব জনআকাঙ্ক্ষা?
জুলাইয়ের দায় থেকে জনমনে বহু প্রশ্ন থাকলেও বিভিন্ন খাতে সাফল্য দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষত: রাষ্ট্র সংস্কারে সংস্কার কমিশন গঠন এবং কমিশনগুলোর সুপারিশের কিছু কিছু বাস্তবায়ন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা, জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু, মূল্যস্ফীতি কমানো, রিজার্ভ বৃদ্ধি ও খাদ্যের মজুত বৃদ্ধি করতে পারাকে অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছে ড. ইউনূস সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৩৭তম বৈঠক হয়েছে ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার)। বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্নে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, প্রশাসন ভেঙে পড়েছে-এবিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী?’
জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘আপনি যদি বিগত সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন, অপরাধ ও খুন কম হচ্ছে। একটা-দুইটা খুন হলেই বলা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। প্রতি মাসে অপরাধ ও খুনের চিত্র তুলে ধরতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নেন। দেখবেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী।’ আর প্রশাসন ভেঙে পড়লে গত এক বছরে এত অর্জন হতো কিনা, পাল্টা প্রশ্ন রাখেন শফিকুল আলম। তিনি অর্জনের হিসাব দিতে গিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার সময় দেশে খাদ্যের মজুত ছিল ১৮ লাখ টন। এখন তা বেঢ়ে ২১ লাখ টনে। প্রথমবারের মতো ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রিজার্ভ বাড়ছে। এসব কারা করছে? আমলাতন্ত্র করেছে। আমলাতন্ত্র ভেঙে পড়লে ছয়টি বন্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হতো না। এসময় আরেক সাংবাদিক জানতে চান, পুলিশ যদি সক্রিয়ই হয়, তাহলে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামতে হলো কেন? তখন প্রেস সচিব বলেন, এ ধরনের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মোট ৩১৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৭টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা শতাংশে ৭৮ দশমিক ৪১ ভাগ। স্বাধীনতার পর এটা যেকোনো সরকারের জন্য রেকর্ড।
তিনি বলেন, ১১টি সংস্কার কমিশন যে ১২১টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ করেছিল, এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬টি বাস্তবায়িত হয়েছে। ৮৫টি আশু বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াধীন। ১০টির আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর ১০টি বাস্তবায়ন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এক বছরে ১২ অর্জন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে ১২টি অর্জনের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো-
শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা-জুলাই অভ্যুত্থানের পরে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে, বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিশোধের চক্র রোধ করে। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নৈতিক নেতৃত্ব একটি স্থিতিশীল শক্তি প্রদান করে, যা জাতিকে সহিংসতার পরিবর্তে পুনর্মিলন ও নতুন করে গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করে।
‘অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন’- একটি বিধ্বস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে প্রায় অর্ধেকে হ্রাস পেয়েছে, সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৮ (৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন), ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স, রফতানি ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং টাকার মান বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে। ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল হয়েছে।
‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ লাভ’- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল বাণিজ্য শুল্ক আলোচনা শেষ হয়েছে (কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, আমরা দুর্বল সরকার হওয়ায় আমরা এটি করতে পারি না), বড় আকারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষিত করেছে (টেক্সটাইলে হান্ডা গ্রুপের ২৫০ মিলিয়ন ডলারসহ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করেছে) এবং গত সরকারের সময়ের তুলনায় এফডিআই প্রবাহ দ্বিগুণ হয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছেন।
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জুলাই সনদ’- সংস্কার কমিশন গঠন করে, ৩০টির বেশি দলের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করে এবং ঐতিহাসিক জুলাই সনদকে চূড়ানস্ত করে, ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদের যেকোনও প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে। জুলাই সনদ আমাদের ক্ষমতা কাঠামোতে বর্ধিত চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সসহ একটি নতুন গণতান্ত্রিক যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুলাই গণহত্যার জন্য ন্যায়বিচার: জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বচ্ছ বিচার চলছে, অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করা। চারটি বড় ট্রায়াল শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে।
নির্বাচনি রোডম্যাপ ও সংস্কার: প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোটার এবং নারীদের অন্তর্ভুক্তি করে অবাধ, সুষ্ঠু এবং উত্সব নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনকে গণতন্ত্রের জাতীয় উত্সবে পরিণত করার লক্ষ্যে নাগরিকদের প্রতিক্রিয়ার জন্য ডিজিটাল পরামর্শ প্ল্যাটফঅর্ম চালু করা। জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, অনিয়মিত আনসার ও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ঠিকানা/এসআর