ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা 

প্রকাশ : ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১৩:০৮ , অনলাইন ভার্সন
দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, প্রাণহানির ঘটনা ভয়ংকর উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে দেশে খুন হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তিন হাজার। ধর্ষণচেষ্টা হয়েছে প্রায় সমসংখ্যক। নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, খুনের ঘটনা বরাবরই হয়েছে। কোনো সরকারই দাবি করতে পারবে না বর্বর, চরম অমানবিক ঘটনা কম ঘটেছে বা নিয়ন্ত্রিত ছিল। তবে চেষ্টা যে হয়নি এমন নয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে শিশু-নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে চলেছে। উল্লিখিত তথ্যচিত্রই এর প্রমাণ দেয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অভাবনীয় ও অস্বাভাবিক হারে সামাজিক অপরাধ, নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড কারা, কেন সংঘটিত করছে? বিগত সরকারদলীয় লোকজন, তাদের আশ্রিত সন্ত্রাসীরা এসব অপকর্ম করে সরকারকে কঠিন পরিস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবেই ফেলছে, এ অভিযোগ করার সুযোগ নেই। কারণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রকাশ্যে তাদের দেখা যায় না। বিগত সরকারের মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের প্রায় সবাই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এবং আত্মগোপনে আছেন। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একজনকে ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যার মতো চরম নিষ্ঠুর ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কতটা ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন উঠেছে, মানুষ এতটা নির্দয় কী করে হতে পারে! পাশবিক, চরম নৈরাজ্যকর এই ঘটনা ছাড়াও সাধারণভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা, সমাজ জীবনের অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা কেন? দেশে বিশাল পুলিশ, আনসার বাহিনী রয়েছে। সেনাসদস্যরা প্রশাসনে রয়েছেন। কিন্তু অপরাধীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে না কেন?
সমাজবিজ্ঞানী ও ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণকারী সামাজিক নিরাপত্তা বিশ্লেষণকারীদের মতে, প্রবহমান রাজনৈতিক সামাজিক-অর্থনৈতিক-আইনশৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এসবের প্রধান কারণ। সামাজিক-পারিবারিক বিচারব্যবস্থা যুগের পর যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এখনকার বাংলাদেশে তা আর নেই। অপরাধীরা নিজেদের নিরাপত্তাবোধ করে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায়। থানা পুলিশ অপরাধীদের দেখেও দেখে না। অপরাধীদের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক থাকার অভিযোগও রয়েছে। থানা আক্রমণ, পুলিশকে নির্মমভাবে প্রহার করে হত্যা, আহত করা, তাদের অস্ত্র লুট করে নেওয়ার মতো ভয়াবহ সব ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। যারা জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তাদের মধ্যেই যেখানে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে, সেখানে পুলিশের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা কী করেই-বা আশা করা যায়!
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078