ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি পর্যন্ত জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে কট্টর হিন্দুরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠী মামদানিকে ‘হিন্দুবিদ্বেষী’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে প্রচার করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয়-আমেরিকান হিন্দু সম্প্রদায়। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের প্রাথমিক নির্বাচনের দুই দিন আগে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ওপর দিয়ে একটি বিমান উড়ে যায়। সেটির সামনে ঝোলানো ছিল একটি ব্যানার। এতে লেখা ছিল, ‘সেভ নিউইয়র্ক ফ্রম গ্লোবাল ইন্তিফাদা অ্যান্ড রিজেক্ট মামদানি’ (ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন থেকে নিউইয়র্ককে বাঁচাও এবং মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করো)। ‘ইন্তিফাদা’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের উত্থান বোঝায়। এই প্রতিবাদকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়াটা ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন।
মোদির কড়া সমালোচনা : মামদানি মুসলিম। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব। অন্যদিকে মোদি জনপ্রিয় নেতা। তিনি ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
গত মে মাসে মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন মামদানি। তিনি মোদির নিউইয়র্ক সফরে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। একটি রাজ্য অ্যাসেম্বলি সদস্যকে ভারতীয়-আমেরিকানদের দেওয়া নির্বাচনী অনুদান ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। ওই ভারতীয়-আমেরিকানদের তিনি ‘হিন্দু ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।
দিল্লির রাজনীতি ও নিউইয়র্কের নির্বাচন : বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দিল্লির রাজনীতি নিউইয়র্কের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে মোদিপন্থী সংবাদমাধ্যম, লাখ লাখ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। সরাসরি মোদি ও তার শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কিছু ভারতীয়-আমেরিকান গোষ্ঠী আরও সূক্ষ্ম পদ্ধতিতে কাজ করছে। তারা মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেইট’-এর পরিচালক রকিব নায়েক বলেছেন, ‘ভারতভিত্তিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও আমেরিকান হিন্দু গোষ্ঠীগুলো একযোগে মামদানিকে হিন্দুবিরোধী প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছে।’
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের প্রাথমিক নির্বাচনের দুই দিন আগে স্ট্যাচু অব লিবার্টির ওপর দিয়ে একটি বিমান উড়ে যায়। সেটির সামনে ঝোলানো ছিল একটি ব্যানার। এতে লেখা ছিল, ‘সেভ নিউইয়র্ক ফ্রম গ্লোবাল ইন্তিফাদা অ্যান্ড রিজেক্ট মামদানি’ (ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন থেকে নিউইয়র্ককে বাঁচাও এবং মামদানিকে প্রত্যাখ্যান করো)। ‘ইন্তিফাদা’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের উত্থান বোঝায়। এই প্রতিবাদকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়াটা ইন্তিফাদার বিশ্বায়ন।
মোদির কড়া সমালোচনা : মামদানি মুসলিম। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরব। অন্যদিকে মোদি জনপ্রিয় নেতা। তিনি ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
গত মে মাসে মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন মামদানি। তিনি মোদির নিউইয়র্ক সফরে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। একটি রাজ্য অ্যাসেম্বলি সদস্যকে ভারতীয়-আমেরিকানদের দেওয়া নির্বাচনী অনুদান ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। ওই ভারতীয়-আমেরিকানদের তিনি ‘হিন্দু ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।
দিল্লির রাজনীতি ও নিউইয়র্কের নির্বাচন : বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দিল্লির রাজনীতি নিউইয়র্কের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে মোদিপন্থী সংবাদমাধ্যম, লাখ লাখ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী মামদানির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। সরাসরি মোদি ও তার শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত কিছু ভারতীয়-আমেরিকান গোষ্ঠী আরও সূক্ষ্ম পদ্ধতিতে কাজ করছে। তারা মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেইট’-এর পরিচালক রকিব নায়েক বলেছেন, ‘ভারতভিত্তিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও আমেরিকান হিন্দু গোষ্ঠীগুলো একযোগে মামদানিকে হিন্দুবিরোধী প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করছে।’