ভোটের আর ২৫ সপ্তাহ♦হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি

‘জুলাই সনদে’ অবহেলিত প্রবাস

প্রকাশ : ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৪ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের ইতিহাসে বাঁকবদলের দিন ‘৫ আগস্ট’। ২০২৪-এর ‘ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে’র প্রথম বর্ষপূর্তি অতিবাহিত। ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ ঘোষিত হয়েছে ঢাকায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস তা ঘোষণা করেছেন। তাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সন্নিবেশিত হয়েছে। এসেছে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি। নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন। শেখ হাসিনার শাসনকালে তিনটি প্রহসনমূলক নির্বাচন এবং জুুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণআন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র। ২৮ স্তবকের ঘোষণাপত্রটি সংবিধানের অংশে পরিণত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত খসড়া। এটি প্রণয়নে প্রবাসের বিশেষজ্ঞরাই ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। কিন্তু প্রবাসীদের কীর্তিগাথা কোথাও লিপিবদ্ধ হয়নি। সামান্য একটি পঙক্তিও যুক্ত হয়নি ঘোষণাপত্রে।

রেমিট্যান্স শাটডাউন, প্রবাসী সাংবাদিকদের অবদান স্বীকৃতি পেল না
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণআন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকা ব্যাপকতর। প্রথমত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবাসী সাংবাদিকেরা ছিলেন সক্রিয়। দ্বিতীয়ত ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ কর্মসূচি ছিল ঘটনাবহুল। অর্থনৈতিক প্রবাহধারায় ২৮% রেমিট্যান্স কমে যায়। চলতি ২০২৫-এর জুলাইয়ে আয় ২৪৮ কোটি ডলার। অথচ ২০২৪-এ যা ছিল ১৯৯ কোটি মার্কিন ডলার।
তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর করুণ অনুরোধ স্মৃতিময়। জুনাইদ আহমদ পলক প্রবাসীদের প্রতি করজোড়ে অনুরোধ জানান। বলেন, দোহাই লাগে, রেমিট্যান্স প্রেরণ বহাল রাখুন। কিন্তু প্রবাসীরা সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। বরং জুলাই আন্দোলনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ান। নিউইয়র্ক, লন্ডন, টরন্টোসহ বৃহত্তর শহরগুলোও ছিল আন্দোলনমুখর।
আন্দোলনের সমর্থনে রেকর্ড গড়ে মধ্যপ্রাচ্য। বাংলাদেশে সরকারের গণহত্যা বন্ধে বিশাল মিছিল করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রেফতারও হন প্রবাসীরা। রাজপথে মিছিল-স্লোগান নিষিদ্ধ। সে ক্ষেত্রে তিনজন প্রবাসীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ৪৩ জনের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ কারাদণ্ড। প্রফেসর ইউনূস ক্ষমতাসীন হলে সাজা মওকুফের আবেদন করেন। ফলে মুক্তি পেলেও চাকরি ফেরত পাননি কেউ। রেমিট্যান্স-যোদ্ধা তথা আন্দোলন-সহযোগীরা শূন্য হাতে স্বদেশে ফেরেন।
জুলাই আন্দোলনে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ রেখে হত্যাকাণ্ড চালায়। এ সময়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেন প্রবাসীরা। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। প্রবাসের সাংবাদিক, ইউটিউবাররা ছিলেন অদম্য। এমন এক ডজন অ্যাক্টিভিস্ট কাম সাংবাদিক ছিলেন সক্রিয়। বিগত হাসিনা সরকারের আগ্রাসী কার্যক্রমের চরম সমালোচক। অধিকাংশ জনেরই মূল্যায়ন হয়নি হাসিনা-উত্তর সরকারে।

মুক্তিযুদ্ধ, মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও দেশের গৌরবে প্রবাসীরা
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা ‘প্রবাসী সরকারের’। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সফল হয় সরকার। প্রতিবেশী দেশ ‘ভারত’ সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়েছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা বহির্বিশ্বের প্রবাসীদের। ব্রিটেনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সক্রিয় কমিটি। ব্র্র্যাক-খ্যাত স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন কোষাধ্যক্ষসম। নিউইয়র্কে উপস্থিত হলে একযোগে পান ৬০ হাজার ডলার। মার্কিন প্রবাসী প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ঘনিষ্ঠতা।
আমেরিকা থেকে ফোন দেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন সমীপে। যুদ্ধক্ষেত্রে কিছু লাগবে কি না জানতে চান। প্রধানমন্ত্রীর পাশে তখন বসা ছিলেন মেজর জিয়া। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ফোনটি দেন সেক্টর কমান্ডার জিয়াকে। তাজউদ্দীন বলেন, ওনারা মাঠে সক্রিয়। কী কী লাগবে ওনার কাছ থেকে জেনে নিন। যোদ্ধা জিয়া বলেন, আমাদের ভালো বাইনোকুলার চাই। আমেরিকায় তা সহজে পাওয়া যায়, যা যুদ্ধের উপযোগী। প্রবাসীদের সহযোগিতায় ডজন ডজন ‘বাইনোকুলার’ সংগৃহীত হয়। নগদ মার্কিন ডলার, বাইনোকুলারসহ কলকাতা পৌঁছান স্যার আবেদ।
১৯৭১-এর এপ্রিল থেকে যুদ্ধের পক্ষে প্রফেসর ইউনূস। আওয়ামী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আত্মজীবনীতে লিখেছেন। বলেছেন, আমি জুন ১২ পর্যন্ত পাক সরকারের চাকরিতে। কিন্তু মিডল টেনেসির অধ্যাপক ইউনূসরা শুরু করল এপ্রিলেই। প্রথম সপ্তাহেই আমার ওয়াশিংটনের বাসায় এল। সংখ্যায় ৩/৪ জন, আমার গ্যারেজে ঘুমাত। প্রচণ্ড ঠান্ডায় হিটারবিহীন কষ্টের রাত। সারা দিন বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে মতবিনিময় করত। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ। স্মারকলিপি হস্তান্তর, আবার মিডিয়া সংযোগ।
উল্লেখ্য, স্থপতি এফআর খানের সহযোগিতাও নিয়েছিলেন। মাসিক বুলেটিনে যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে লিখতেন ড. ইউনূস। তৎকালীন রাশিয়ান স্ত্রী অনুবাদও করতেন। স্মৃতিময় সেই সংকলনগুলো ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে’ সংরক্ষিত রয়েছে। একটি সংগ্রহ সংকলনও প্রকাশ করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়েও প্রবাসীরা সফলতা দেখিয়েছেন। প্রায় পৌনে দুই কোটি প্রবাসী বিশ্বের দেশে দেশে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের। কিন্তু সংবিধান, সংসদ, ক্ষমতায়নে প্রবাসীরা পশ্চাৎপদ।
অন্তর্বর্তী সরকারে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অসংখ্য প্রবাসী। নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বিশেষভাবে আলোচিত। মার্কিন শুল্কহার ৩৫% থেকে ২০% করতে ভূমিকা রেখেছেন। বিনিয়োগ সংগ্রহে ‘বিডা’ চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লড়ছেন। আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান। ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নে মুখ্য সমন্বয়ক তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। তিনিও নিউইয়র্কে বসবাসরত সাংবাদিক।
অভিযোগ উঠেছে-তবু প্রবাসীরা উপেক্ষিত। ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণাকালে পাশে ছিলেন রাজনীতিকেরা। কিন্তু বিশাল প্রবাসের কোনো প্রতিনিধির ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি প্রবাসী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সচেতন মহলেও প্রশ্ন- এত অবমূল্যায়ন কেন?
নিজের সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন ড. ইউনূস হ ফেব্রুয়ারি মানে ২৫ সপ্তাহ পরই নির্বাচন হ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসিতে ৫ আগস্ট পালন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন জিতলেন। অনুরোধ করেছিলেন ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিতে। ‘লন্ডন বৈঠকে’ বিষয়টি মেনেছিলেন সরকার-প্রধান ড. ইউনূস। যদিও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস সময়ক্ষেপণে আর আগ্রহী নন।
৫ আগস্ট ২০২৫ দুটি ঐতিহাসিক ঘটনাই ঘটালেন। সংসদ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করলেন বিকেলে। আর নির্বাচনের সময়কাল জানালেন সন্ধ্যায়। মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেন। বিধি অনুসারে তারিখ জানাবে ‘নির্বাচন কমিশন’। সম্ভাব্য তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি বলে অনেকের ধারণা। প্রার্থী ও ভোটারদের হাতে সময় থাকল ২৫ সপ্তাহ।
গত ৫ আগস্ট ছিল ‘স্বৈরাচার পতন ও পলায়ন দিবস’। দেশ-বিদেশে বিচিত্র রকমের কর্মসূচি ছিল। রাজধানী ঢাকায় ‘৩৬ জুলাই’ প্রদর্শনী ছিল নজরকাড়া। বিগত আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি, মোটিফ, অভিনয় ছিল আকর্ষণীয়। জনতার আদালতে শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসিও দেওয়া হয়। ব্যাপক সংখ্যক দর্শক তা উপভোগ করেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনা গং-এর বিচারকাজ চলমান।

গণঅভ্যুত্থান দিবসে এনসিপির শীর্ষ ৬ নেতা কক্সবাজার বিনোদনে
যাদের সাহসিকতার বিনিময়ে ‘৫ আগস্ট-এর বিজয়লাভ’, তাদের আধা ডজন শীর্ষ নেতা অভিমান করেছেন। ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম অনুষ্ঠানে ছিলেন। কিন্তু হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম বা নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী. ড. তাসনিম জারাসহ ৬ জন ছিলেন না। সকালের ফ্লাইটে রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজার। ইনানি ‘সি বিচের’ একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। প্রচারণা চলে, কূটনীতিক পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক। বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। এনসিপি-বিরোধী পক্ষ ব্যাপকভাবে ফুঁসে ওঠে। সাংবাদিক মাসুদ কামাল থেকে ফেসবুকার মিলি সুলতানা নানা রকম গল্পগুজবে ফেসবুক ভরিয়ে তোলেন। পরে জানা যায়, পিটার হাস রয়েছেন ওয়াশিংটনে। অর্থাৎ ‘মার্কিন কূটনীতিক সকাশে এনসিপির বৈঠক’ তথ্যটি ভুয়া।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সেই সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মেজর ফারুক-রশিদ। হত্যার ৯৫% সহযোগীই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, তরুণ সৈনিক। ১৯৭৫-এর ৪ নভেম্বর সবাই বিদেশ চলে যান। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ক্ষমতাসীন হয়ে তাদের বিদায় দেন। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতা পান জে. জিয়া। ইনডেমনিটি থাকায় তাদেরকে পদচ্যুত করতে পারেননি। দেশে ফেরার অনুমতি না থাকলেও কর্নেল ফারুক তা মানেননি। জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
১৯৮১-এর ৩০ মে চট্টগ্রামে সামরিক ক্যুতে জিয়া নিহত। ১৯৮২-এর ২৪ মার্চ ক্ষমতা নেন সেনাপ্রধান জে. এরশাদ। ১৯৮৬-তে জাতীয় পার্টি গঠন করেন তিনি। অন্যদিকে ফারুক-রশিদরা গড়েন ‘ফ্রিডম পার্টি’। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কর্নেল (অব.) ফারুক প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৯৬-এর ১৫ ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনও স্মৃতিময়। আওয়ামী লীগ, জাপা, জামায়াতবিহীন নির্বাচনে বিএনপি পুনঃক্ষমতাসীন। প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল ‘ফ্রিডম পার্টি’। ২০০৮-এ ক্ষমতা পায় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী হিসেবে ফ্রিডম পার্টি নিষিদ্ধ হয়। নেতারা একে একে ফাঁসিতে ঝুলতে থাকেন। মেজর (অব.) ডালিম, রশিদসহ ৩/৪ জন এখনো বিদেশে।
জুলাই আন্দোলনের সিপাহসালারদের নিয়েও নানা আতঙ্ক। তারা ‘এনসিপি’ নামে দলও গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার ক্ষমতার যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন। ‘মুজিব ডাইনেস্টি’র বিরুদ্ধে সুতীব্র প্রতিবাদ চলমান। কিন্তু ‘ফ্রিডম পার্টি’র রাজনীতি ভূতলে পতিত। অনেকের প্রশ্ন- প্রথম বিজয় দিবসে এনসিপির মুখ্য নেতারা দূরের অবকাশে কেন?
সূত্রমতে, এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিপক্ষে। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসকে আর আটকাতে পারছে না। বিএনপির শিডিউলেই নির্বাচন দিচ্ছেন। সরকার গঠন করলে বিএনপির রাষ্ট্রপতিও হতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ‘এনসিপি’ নেতাদের কী হবে? সুস্পষ্ট সমাধান না পাওয়ায় অভিমান-পর্বে রয়েছেন তরুণ নেতারা।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078