
সাক্ষীকে প্রভাবিত করা ও প্রতারণার অভিযোগে কলম্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলভারো উরিবেকে ১২ বছর গৃহবন্দির আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
ছয় মাসের বিচারপ্রক্রিয়া ও প্রায় ১৩ বছরের আইনি জটিলতার পর শুক্রবার (১ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক সান্দ্রা লিলিয়ানা হেরেদিয়া। এই রায়ের মাধ্যমে কলম্বিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অপরাধে দণ্ডিত হলেন।
৭৩ বছর বয়সী উরিবেকে ৫ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বোগোতার আদালতে বিচারকের সামনে উরিবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, এই মামলা ‘বিরোধী কণ্ঠকে দমনের’ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উরিবে দেশজুড়ে এখনো জনপ্রিয়। তবে তার বিরুদ্ধে বামপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে ডানপন্থী প্যারামিলিটারি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি বরাবর অস্বীকার করে আসছেন।
১৩ বছর ধরে চলা এই মামলায় সোমবার উরিবে দুটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। মামলার প্রধান অভিযোগ, উরিবের আইনজীবী দিয়েগো কাদেনা কারাবন্দি দুই সাবেক প্যারামিলিটারি সদস্যকে ঘুষ দিয়ে উরিবের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই দুই সদস্য আদালতে প্রমাণ দিয়ে জানান, কাদেনা তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কাদেনা নিজেও এখন এই মামলার আসামি, তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উরিবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলাটি কলম্বিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। উরিবের সমর্থকরা দাবি করছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কলম্বিয়ার বিচারব্যবস্থা ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘উরিবের একমাত্র অপরাধ, তিনি তার দেশকে রক্ষা করতে লড়াই করেছেন।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে কলম্বিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। উরিবের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আপিলের মাধ্যমে এই মামলার চূড়ান্ত ফলাফল এখনো অপেক্ষমাণ।
ঠিকানা/এনআই
ছয় মাসের বিচারপ্রক্রিয়া ও প্রায় ১৩ বছরের আইনি জটিলতার পর শুক্রবার (১ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক সান্দ্রা লিলিয়ানা হেরেদিয়া। এই রায়ের মাধ্যমে কলম্বিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অপরাধে দণ্ডিত হলেন।
৭৩ বছর বয়সী উরিবেকে ৫ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বোগোতার আদালতে বিচারকের সামনে উরিবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, এই মামলা ‘বিরোধী কণ্ঠকে দমনের’ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উরিবে দেশজুড়ে এখনো জনপ্রিয়। তবে তার বিরুদ্ধে বামপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে ডানপন্থী প্যারামিলিটারি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, যা তিনি বরাবর অস্বীকার করে আসছেন।
১৩ বছর ধরে চলা এই মামলায় সোমবার উরিবে দুটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। মামলার প্রধান অভিযোগ, উরিবের আইনজীবী দিয়েগো কাদেনা কারাবন্দি দুই সাবেক প্যারামিলিটারি সদস্যকে ঘুষ দিয়ে উরিবের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই দুই সদস্য আদালতে প্রমাণ দিয়ে জানান, কাদেনা তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কাদেনা নিজেও এখন এই মামলার আসামি, তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে উরিবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলাটি কলম্বিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। উরিবের সমর্থকরা দাবি করছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কলম্বিয়ার বিচারব্যবস্থা ‘রাজনৈতিক অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘উরিবের একমাত্র অপরাধ, তিনি তার দেশকে রক্ষা করতে লড়াই করেছেন।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে কলম্বিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। উরিবের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আপিলের মাধ্যমে এই মামলার চূড়ান্ত ফলাফল এখনো অপেক্ষমাণ।
ঠিকানা/এনআই