প্রতারণা মামলায় ৭ বছরের সাজা

সাবেক কংগ্রেসম্যান জর্জ  স্যান্টোস কারাগারে

প্রকাশ : ০১ অগাস্ট ২০২৫, ২০:৩২ , অনলাইন ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ও কুখ্যাত সাবেক কংগ্রেসম্যান জর্জ স্যান্টোস অবশেষে কারাভোগ শুরু করেছেন। ২৫ জুলাই শুক্রবার সকালে তিনি ফেডারেল কারেকশনাল ইনস্টিটিউশন (ঋঈও) ফেয়ারটন, নিউজার্সিতে আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে তিনি ৮৭ মাস (সাড়ে ৭ বছর) সাজা ভোগ করবেন।
২০২৪ সালে ওয়্যার ফ্রড (wire fraud) ও পরিচয় জালিয়াতির (aggravated identity theft) অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রিপাবলিকান দলের এই সাবেক কংগ্রেসম্যান, যিনি নিউইয়র্কের তৃতীয় কংগ্রেসনাল জেলার প্রতিনিধি ছিলেন।
কারাগারে যাওয়ার ঠিক আগের রাতে একটি নাটকীয় বার্তা দেন স্যান্টোস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, ‘Well, darlings„ The curtain falls, the spotlight dims, and the rhinestones are packed. From the halls of Congress to the chaos of cable news — what a ride itÕs been! Was it messy? Always. Glamorous? Occasionally. Honest? I tried„ most days.’
এই পোস্টে তিনি নিজেকে ‘রাজনৈতিক ক্যাবারে’র নায়ক হিসেবে তুলে ধরে লেখেন, ‘To my supporters: You made this wild political cabaret worth it.
To my critics: Thanks for the free press.
I may be leaving the stage (for now), but trust me, legends never truly exit.’
শেষে সাইন করেন, ‘Forever fabulously yours, George.’
কারাগারে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে স্যান্টোস তার মানসিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতা তার জীবনে এক নতুন অধ্যায়। তবে এখনো তিনি নিজেকে ‘জনগণের মধ্যে একজন সাহসী চরিত্র’ হিসেবে কল্পনা করতে চান।
জর্জ স্যান্টোসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ছিল চরম বিতর্কিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ব্যাংকিং তথ্য জালিয়াতি, অপরের নামে অর্থ উত্তোলন, নির্বাচনী প্রচারে মিথ্যা তথ্য প্রদান, এমনকি নিজের শিক্ষাগত ও পারিবারিক পরিচয় নিয়েও অসত্য তথ্য ছড়ানো। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর ২০২৪ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
রাজনীতিতে রঙিন উপস্থিতি, মিডিয়ার বিতর্ক এবং শেষ পর্যন্ত কারাবরণ-জর্জ স্যান্টোসের গল্প যেন এক পলিটিক্যাল ট্র্যাজিক কমেডি। তবে তার বক্তব্যেই হয়তো উত্তর মেলে : ‘Legends never truly exit.’
কেলেঙ্কারির ফিরিস্তি
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের মতে, সান্টোস ও তার নির্বাচনী কোষাধ্যক্ষ ন্যান্সি মার্কস মিলে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় ফান্ডিং পেতে দাতা তালিকা সাজিয়েছিলেন। সান্টোস মিথ্যা দাবি করেন যে তিনি নিজের প্রচারে ৫ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছেন, যদিও তার অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ৮ হাজার ডলার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বয়স্ক ও মানসিক দুর্বলতায় আক্রান্ত দাতাদের ক্রেডিট কার্ড তথ্য চুরি করে প্রচার ও ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির সময় বেকার থাকাকালীন ভুয়া দাবি করে ২৪ হাজার ডলার বেকার ভাতা নিয়েছেন, যদিও তিনি তখন একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
পতনের শুরু ও বিতর্কিত উত্থান
২০২২ সালে নিউইয়র্কের ৩ নম্বর কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে রিপাবলিকানদের পক্ষে বিজয়ী হন সান্টোস। কিন্তু খুব দ্রুতই তার জীবনবৃত্তান্ত ভুয়া প্রমাণিত হয়-স্নাতক ডিগ্রি, ওয়াল স্ট্রিটে চাকরি, এমনকি হলোকাস্ট ও ৯/১১ এর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের দাবিও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি কঠোর এথিকস রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মাত্র ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এমন ভাগ্যবরণ করতে হয় তাকে। জানা গেছে, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে এখনো হোয়াইট হাউস বা সান্টোসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078