মার্কিন শুল্ক কমানো রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক : আমীর খসরু

প্রকাশ : ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭:৫৯ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা রপ্তানি খাতের জন্য একটি ‘সন্তোষজনক অবস্থা’ হিসেবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ১ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, এটা জয়-পরাজয়ের কোনো বিষয় না। যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিযোগিতায় আমরা তুলনামূলকভাবে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। আমরা ২০ ভাগ, পাকিস্তান ১৯ ভাগ, ভিয়েতনামে ২০ ভাগ, ভারতে ২৫ ভাগ। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, সার্বিকভাবে ট্যারিফের ফিগারটা সন্তোষজনক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে। ট্যারিফ বিষয়ে আমাদের প্রতিযোগীদের সাথে যেটা হয়েছে সেটা ঠিকই আছে। এটা সন্তোষজনক।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের নতুন এই হারের পেছনে কী আছে সে প্রসঙ্গটি টেনে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি। সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। এর (ট্যারিফ) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর ইমপেক্টটা কী হবে সেটা আমরা বলতে পারছি না।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নেগোসিয়েশনের পেছনের যে বিষয়গুলো এটা তো একটা প্যাকেজ। এখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু ট্যারিফের কত পারসেন্ট কমানো হলো সেটা তো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক আলাপ-আলোচনা, আমেরিকানরা কী পাঠাতে পারবে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কী দাবি-দাওয়া ছিল- এ বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারব।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারণে একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন, এখন কী তারা স্বস্তির মধ্যে এসেছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলছি, আপাতত ২০ ভাগ ট্যারিফ নির্ধারণ অন্তত এই মুহূর্তে আমাদের রপ্তানি বাজার বাধাগ্রস্ত করবে না। সুতরাং এই মুহূর্তে এটা সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত। তবে এটার সাথে জড়িত অনেক যে বিষয়গুলো আছে সেটা তো আমাদের জানা নেই। সেগুলো আমরা যখন জানব তখন মন্তব্য করতে পারব।

সম্প্রতি বাণিজ্য সচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার একটা কথা বলেছেন এটার সাথে ট্যারিফের কোনো সম্পর্কের ইংগিত করছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, না, কিছু তো করতেই হবে। কারণ আমেরিকানদের পুরো ট্যারিফের বিষয়টা হচ্ছে, আমেরিকানদের পণ্য রপ্তানির স্বার্থে। সেজন্য তো এই অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কতটুকু এবজরভ করতে পারবে, আমাদের অর্থনীতি কতটুকু এবজরভ করতে পারবে, আমাদের ব্যবসায়ীরা কতটুকু এভজরভ করতে পারবে, আমাদের ইকোনমি কতটুকু এবজরভ করতে পারবে সেই বিষয়গুলো আলোচনার বিষয়। আমরা বিস্তারিত জানলে সেটার ওপর মন্তব্য করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা শুধু একটা ট্যারিফের বিষয় নয়। এর পেছনের আরও যে বিষয়গুলো জড়িত আছে সেগুলো সম্মিলিতভাবে আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। সে বিবেচনাটা গুরুত্বপূর্ণ আগামী দিনের জন্য। বাট আমাদের রপ্তানিকারকরা আপাতত স্বস্তি পেয়েছে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুরো বিষয়টি খোলাসা করা উচিত।

আমীর খসরু বলেন, বাণিজ্য শুধু আমাদের আমেরিকার সঙ্গে নয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়। সে জায়গাগুলো বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে আমরা কোথায় দাঁড়াচ্ছি সেটা বুঝতে হবে, পর্যালোচনা করতে হবে। একইসঙ্গে রপ্তানিটা আমাদের আরও বেশি ডাইভারসিফাই করতে হবে। আমাদের শুধু আমেরিকা নির্ভরশীল অর্থনীতি হতে পারে না। সেটাই হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, সেজন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থনীতিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এবং আমাদের যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ইউজ অব ড্রিম বিজনেস যেটা অত্যন্ত নিচে এখন সেটাকে এই ডিরেগুলেশনের মাধ্যমে, রিভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে। বড় ধরনের পরিবর্তন আমাদের আনতে হবে। আমরা সে দিকেই যাব আগামী দিনে।

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078