ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন উমামা 

‘জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে?’

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫১ , অনলাইন ভার্সন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র ও সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘জুলাই কেন মানি মেকিং মেশিন হবে?’ ২৭ জুলাই (রবিবার) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আনফরচুনেটলি সেটা হয়েছে।’

প্রায় দুই ঘণ্টার ভিডিওতে তিনি বলেন, কারও ক্ষতি করার বা অসম্মান করার ইচ্ছা তার নেই। আন্দোলনের সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা শ্লোগান দিতে দিতে কখনো ভাবিনি শিশুরাও রাস্তায় নামবে, জীবন দেবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা লড়েছি, সেখান থেকেই এক বছর টিকে ছিলাম। কারণ আমরা একটা স্বপ্ন দেখছিলাম।

উমামা জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি আর চালিয়ে যেতে পারছিলেন না। দেশকে আরও বড় পরিসরে কিছু দেওয়ার চিন্তা থেকে ছাত্র ফেডারেশন থেকে সরে এসে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। তখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কারণ, তিনি প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

জুলাই আন্দোলনে সমন্বয়কদের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ৫২, ৬২ বা ১৫৮ জন সমন্বয়কের কথা বলা হলেও তারা তেমন কার্যকর ছিল না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিল। তার মতে, সমন্বয়কদের চেয়ে অন্যদের কাছ থেকেই বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন।


তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন র‍্যালি ও কর্মসূচির সময় সমন্বয়ক পরিচয়ে একেকজন একেক জায়গা দখল করেছে। কেউ কেউ চাঁদাবাজিও করেছে। তার ভাষায়, ‘এখন কি সমন্বয়করা আওয়ামী লীগের রক্ষী বাহিনীর মতো হয়ে যাচ্ছে? আস্তে আস্তে সব জায়গা দখল করে ফেলছে তারা।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সমন্বয়কদের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এখন দরকার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা শুধু ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না—সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করা যাবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ নয়, বরং এটি আরও ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

উমামা অভিযোগ করেন, আন্দোলনের নামে কেউ কেউ টেন্ডার ও তদবির বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন, ডিসি নিয়োগেও প্রভাব খাটিয়েছেন। বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি, এটা দিয়ে টাকা-পয়সা ইনকাম করা যায়। আমি মুখপাত্র হওয়ার পর আবিষ্কার করলাম, অনেকেই এটা করছে।’

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন যে, আমি কত হাজার কোটি টাকা কামাইছি? তাদের আমি বলতে পারি, আমার একটি ভালো জীবন আছে। ভালো পরিবারের সদস্য। এত খারাপ অবস্থা আসে নাই। আমার স্কলারশিপেরও প্রয়োজন নাই। আমার পরিবারের সাপোর্ট আছে। তারা চায়, আমি দেশের জন্য কিছু করি।’

তিনি আরও বলেন, এসব প্রশ্ন তোলার কারণেই অনেক শত্রু তৈরি হয়েছে, অনেকেই তাকে ভুল বুঝেছে। তবে জেলার পর জেলা ঘুরে দেখেছেন, অনেক তরুণ দেশকে গড়ে তুলতে চায়। তারাই এখন আশার জায়গা।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078