পিপিএলে নিবন্ধনের সময় ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ২১:২০ , অনলাইন ভার্সন
পিপিএলে যেসব সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতা নিবন্ধন করেননি, তারা চাইলে এখনো নিবন্ধন করতে পারবেন। পিপিএলে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কেউ অন্য কোনো প্রোগ্রামের অধীনে গিয়ে থাকলে তারাও ওই সময়ের মধ্যে পিপিএলে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। নাম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। নাম নিবন্ধন করার পর ক্লক ইন ও ক্লক আউটের জন্য টাইমফোরকেয়ারে লগইন করতে হবে। কারও কেস পিপিএলে স্থানান্তরের পর পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি সেবা পেতে শুরু করবেন। ইতিমধ্যে সিডিপ্যাপের বেশির ভাগ রোগীই পিপিএলে তাদের কেস নিবন্ধন করেছেন ও সেবা নিচ্ছেন। এখনো ২০ হাজারের বেশি মানুষ পিপিএলে নিবন্ধন করেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেবা নেওয়া থেকে বিরত আছেন আর কেউ কেউ অন্য প্রোগ্রামে চলে গেছেন।
এদিকে সব নিয়মকানুন অনুসরণ করে যারা পিপিএলে কেস স্থানান্তর করেছেন, তারা সেবা পাচ্ছেন। কেয়ার গিভাররা তাদের পেমেন্টও পাচ্ছেন। যারা বিলম্ব করেছেন বা পুরোপুরি সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি, তাদেরকে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এদিকে আগে প্রতিটি হোম কেয়ার এই খাতে সেবা দিয়ে লাভবান হচ্ছিল, কিন্তু পিপিএলের সঙ্গে যারা এফআই হিসেবে আছে, তারা লাভবান হতে পারছে না। কারণ বেশি কমিশন মিলছে না। পিপিএল নিজেই সেবাদাতাদের সেবা দিচ্ছে। ফলে এফআইগুলো তেমন লাভ করতে না পারার কারণে খরচ কমিয়ে আনছে। পাশাপাশি কোনো কোনো এফআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা চিন্তা করছেন নতুন কিছু করার। অন্যদিকে যারা সিডিপ্যাপের সেবা নেননি, তারা পিসিএ সেবা নিচ্ছেন। পিসিএ সেবা নেওয়ার জন্য কিছুুসংখ্যক মানুষ আগ্রহী। এই সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে একজন অক্ষম ব্যক্তিকে তার ছেলে কিংবা মেয়ে যাকে বলে তার পরিবারের সদস্যরা সেবা দিতে পারবেন না। তবে পরিবারের বাইরে হলে সেবা দিতে পারবেন। এখন কিছু কিছু এজেন্সি নতুন করেই কাজ শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ এইচএইচএ, পিসিএ সেবা দেওয়ার জন্য হোম কেয়ার এজেন্সি করছেন। এই এজেন্সির মাধ্যমে তারা মানুষকে সেবা দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, কিছু হোম কেয়ার এ ব্যাপারে কিছুটা ফাঁকও বের করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা দেখাচ্ছে যে আমেরিকায় একটি পরিবার বলতে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ছেলেমেয়েকে বোঝানো হয়। এটাই পরিবারের সংজ্ঞা হিসেবে অ্যাখায়িত করা হয়। এটাও বলা হচ্ছে, ছেলে ও মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের পরিবারের সদস্য হলেও ছেলে ও মেয়ের স্পাউস ও তাদের সন্তানসন্ততিরা ওই পরিবারের সদস্য নন। ফলে নাতি-নাতনিরা তাদের দাদা-দাদি, নানা-নানির সেবা করতে পারবে। এ ছাড়া স্পাউসরা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করতে পারবেন। ফলে একই সঙ্গে থেকেও পিসিএ প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে যেটাকে যৌথ পরিবার বলা হয়, সেই যৌথ পরিবারের সদস্যরাও এখানে সেবা দিতে পারবেন। এই ফাঁকটি কাজে লাগিয়ে এখন নতুন নতুন পন্থায় সেবা দেওয়ার কাজ চলছে।
জ্যাকসন হাইটসের একটি হোম কেয়ার এজেন্সির মালিক বলেছেন, বাংলাদেশ আর আমেরিকায় পরিবারের সংজ্ঞা কিন্তু এক নয়। তাই নাতি-নাতনিরা তাদের দাদা-দাদির ও নানা-নানীর এবং স্ত্রী ও স্বামীরা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা দিতে পারবেন। এটা ভালো একটি সুযোগ। তাই বলব, যারা সিডিপ্যাপে সেবা নিতে চান না এবং পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সেবা নিতে চান, তারা সেবা নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না।
ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের সিইও এবং কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ বলেন, সিডিপ্যাপের নিবন্ধন এখনো অব্যাহত আছে। যারা নিবন্ধন করেননি, তারা এখনো করতে পারেন। আমাদের কাছে এলে আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করব। তিনি বলেন, আমরা পিপিএলকে পেশেন্টের কেস নিবন্ধন করে দিচ্ছি। এরপর পিপিএল নিজে নিজেই বাকি সব কাজ করছে। আমরা এখান থেকে ভালো কমিশন পাচ্ছি না। ফলে আমাদের ইনকাম আগের চেয়ে কমেছে। তাই আমাদেরকে নতুন কোনো ব্যবসার কথা ভাবতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি অনেকেই পিসিএ সার্ভিস নিচ্ছেন। এর সমস্যা হলো পরিবারের সন্তানেরা তার বাবা-মাকে সেবা দিতে পারবেন না। এই সেবা নিতে হবে পরিবারের বাইরের মানুষের কাছ থেকে। ফলে যারা মনে করছেন পিসিএ সেবা নেবেন, তারা পরিবারের সদস্য নন এমন মানুষের কাছ থেকে সেবা নিতে পারবেন।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078