মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে ফুটবলারকে চুমু দেওয়ার ঘটনায় রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।
এক বিবৃতিতে শনিবার বিষয়টি জানায় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা।
৯০ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল-সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের ফুটবল প্রধান।
ফিফা জানিয়েছে, সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রুবিয়ালেস, আরএফইএফ ও ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (উয়েফা) অবহিত করেছে তারা।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে রুবিয়ালেস ও আরএফইএফকে জেনিফার এরমোসো অথবা তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করতে বলা হয়েছে ফিফার বিবৃতিতে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে গত রোববার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেনের মেয়েরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক পরিয়ে দেওয়ার সময়ে ওই বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন রুবিয়ালেস। সেখানে স্পেন দলের সব ফুটবলারকেই তিনি আলিঙ্গন করেন, গালে ও কপালে চুমু এঁকে দেন অনেকের। তবে এরমোসোকে বেশ কিছুটা সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন ৪৫ বছর বয়সী রুবিয়ালেস।
প্রবল সমালোচনার মুখে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন রুবিয়ালেস। গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেয় ফিফা।
সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, গত শুক্রবার আরএফইএফ-এর ডাকা জরুরি সভায় পদত্যাগ করতে পারেন রুবিয়ালেস। তবে সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই দায়িত্ব ছাড়বেন না। পাশাপাশি বিতর্কিত ওই ঘটনাটি ‘দুজনের সম্মতিতে’ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে তা অস্বীকার করেন এরমোসো। নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়নের একটি বিবৃতিতে বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার সম্মতি ছিল না এতে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে এরই মধ্যে স্পেনের ৮১ জন খেলোয়াড় জানিয়েছে, রুবিয়ালেসকে বিদায় করা না হলে দেশের হয়ে আর খেলবেন না তারা। ফুটপ্রো ইউনিয়নের ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ী ২৩ জন ফুটবলারও।
এরই মধ্যে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্পেন সরকার। স্পেনের ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রধান ভিক্তর ফ্রাঙ্কোস গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্রীড়া আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে সাময়িক নিষিদ্ধ হবেন রুবিয়েলস।
আরএফইএফ অবশ্য পাশে দাঁড়িয়েছে রুবিয়ালেসের। এরমোসোর বক্তব্যকে মিথ্যাচার দাবি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
ফিফার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ঘন্টাখানেক পর আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে লড়াই চালিয়ে যাবেন রুবিয়ালেস।
ঠিকানা/এসআর
এক বিবৃতিতে শনিবার বিষয়টি জানায় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা।
৯০ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল-সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের ফুটবল প্রধান।
ফিফা জানিয়েছে, সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রুবিয়ালেস, আরএফইএফ ও ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (উয়েফা) অবহিত করেছে তারা।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে রুবিয়ালেস ও আরএফইএফকে জেনিফার এরমোসো অথবা তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করতে বলা হয়েছে ফিফার বিবৃতিতে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে গত রোববার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেনের মেয়েরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পদক পরিয়ে দেওয়ার সময়ে ওই বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন রুবিয়ালেস। সেখানে স্পেন দলের সব ফুটবলারকেই তিনি আলিঙ্গন করেন, গালে ও কপালে চুমু এঁকে দেন অনেকের। তবে এরমোসোকে বেশ কিছুটা সময় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথায় ধরে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন ৪৫ বছর বয়সী রুবিয়ালেস।
প্রবল সমালোচনার মুখে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন রুবিয়ালেস। গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেয় ফিফা।
সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, গত শুক্রবার আরএফইএফ-এর ডাকা জরুরি সভায় পদত্যাগ করতে পারেন রুবিয়ালেস। তবে সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনোভাবেই দায়িত্ব ছাড়বেন না। পাশাপাশি বিতর্কিত ওই ঘটনাটি ‘দুজনের সম্মতিতে’ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে তা অস্বীকার করেন এরমোসো। নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়নের একটি বিবৃতিতে বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার সম্মতি ছিল না এতে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে এরই মধ্যে স্পেনের ৮১ জন খেলোয়াড় জানিয়েছে, রুবিয়ালেসকে বিদায় করা না হলে দেশের হয়ে আর খেলবেন না তারা। ফুটপ্রো ইউনিয়নের ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ী ২৩ জন ফুটবলারও।
এরই মধ্যে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্পেন সরকার। স্পেনের ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রধান ভিক্তর ফ্রাঙ্কোস গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্রীড়া আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে সাময়িক নিষিদ্ধ হবেন রুবিয়েলস।
আরএফইএফ অবশ্য পাশে দাঁড়িয়েছে রুবিয়ালেসের। এরমোসোর বক্তব্যকে মিথ্যাচার দাবি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
ফিফার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ঘন্টাখানেক পর আরএফইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে লড়াই চালিয়ে যাবেন রুবিয়ালেস।
ঠিকানা/এসআর