যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র নিউইয়র্কে মসজিদে উচ্চস্বরে আজান দেয়ার অনুমতি ছিলো না। অবশেষে নিউইয়র্কের মুসলমানদের জন্য ঐতিহাসিক এক অনুমতি দিল নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে নিউইয়র্কের মসজিদ থেকে ভেসে আসবে আজানের সুমধুর সুর। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে মাইকে আজান দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়। অবশেষে তাদের প্রতীক্ষার অবসান হলো। এখন থেকে নিউইয়র্কের মসজিদগুলোতে মাইকে আজান দেয়া যাবে।
গত ২৪ আগস্ট নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি কমিশনার মার্ক টি স্টুয়ার্ট স্বাক্ষরিত ঘোষণায় এ অনুমতি দেয়া হয়। আগে বিশেষ কারণে অনুমতি সাপেক্ষে মাইকে আজান দেয়া যেত। এখন থেকে আর অনুমতি লাগবে না। নিয়মিতভাবে মসজিদগেুলোতে নামাজ শুরুর আগে আজান দেয়া যাবে। তবে নিউইয়র্ক সিটির সাউন্ড স্লো করে সকাল ৯টার পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পর অনুমতি ব্যতিত কোথায়ও উচ্চ আওয়াজে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেই কারণে ফজর এবং এশা ব্যতিত এখন থেকে জোহর, আসর এবং মাগরিব এই তিন ওয়াক্ত নামাজের আজানের জন্য আর অনুমতি লাগবে না।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের জারিকৃত নোটিশে আজানের ভলিউম বা শব্দ সহনীয় পর্যায়ে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। মসজিদের প্রতিবেশি কমিউনিটির যাতে কোন অসুবিধা না হয় তা খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজেনে মসজিদ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কমিউনিটি ও প্রতিবেশিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা ও পরামর্শ করতে পারেন। এ ব্যাপারে সিটি সহযোগিতা করবে-এমন আশ্বাসও দেয়া হয়েছে-এ ঘোষণায়।
এদিকে মসজিদগুলোতে মাইকে আজানের অনুমতি সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমান সম্প্রদায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করে, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, নিউইয়র্ক সিটির এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই আমাদের জন্য সু-সংবাদ। আমাদেরকে নিউইয়র্ক সিটির ভলিউম ল’ মেনেই এ চর্চা করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে-যাতে এব্যাপারে অন্য কমিউনিটির লোকজন বিরক্ত বা আপত্তি না তোলেন।
বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় মুসলিম সেলিম রেংগেজ বলেন, অনেকদিন থেকেই তারা প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করছেন। অবশেষে আজ সফল হলেন। এই অনুমতি এখানে মুসলিম কমিউনিটির প্রতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানার সুযোগ হবে। তারা আজানের কারণে যাতে অন্য ধর্মের লোকদের অসুবিধা না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে সকল মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান জানান, এই অনুমতি ইসলামকে অন্য ধর্মের লোকদের জানারও সুযোগ করে দিবে। তিনি আজান দেয়ার জন্য সুমধুর কণ্ঠের অধিকারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ আজির উদ্দিন বলেন, এটা খুবই খুশির সংবাদ। আমেরিকার বুকে আল্লাহু আকবর প্রকাশ্যে বলা স্বপ্ন ছিলো। আজ তা পূরণ হলো। তিনি প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি দেয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের মেয়রসহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, শব্দ দূষণের দোহাই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের পিটারসন শহরে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি ছিল না। মসজিদের ভেতরে বক্স ব্যবহার করে স্বল্পমাত্রার ভলিউমে আজান দেয়া হতো সেখানে। যার আওয়াজ মসজিদ গণ্ডিতেই সীমবদ্ধ ছিল। এখন সেই নিউজার্সিতেও লাউড স্পিকারে (মাইকে) আজান দেয়ার অনুমতি মিলেছে।
ঠিকানা/এসআর
গত ২৪ আগস্ট নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি কমিশনার মার্ক টি স্টুয়ার্ট স্বাক্ষরিত ঘোষণায় এ অনুমতি দেয়া হয়। আগে বিশেষ কারণে অনুমতি সাপেক্ষে মাইকে আজান দেয়া যেত। এখন থেকে আর অনুমতি লাগবে না। নিয়মিতভাবে মসজিদগেুলোতে নামাজ শুরুর আগে আজান দেয়া যাবে। তবে নিউইয়র্ক সিটির সাউন্ড স্লো করে সকাল ৯টার পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পর অনুমতি ব্যতিত কোথায়ও উচ্চ আওয়াজে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেই কারণে ফজর এবং এশা ব্যতিত এখন থেকে জোহর, আসর এবং মাগরিব এই তিন ওয়াক্ত নামাজের আজানের জন্য আর অনুমতি লাগবে না।
পুলিশ ডিপার্টমেন্টের জারিকৃত নোটিশে আজানের ভলিউম বা শব্দ সহনীয় পর্যায়ে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। মসজিদের প্রতিবেশি কমিউনিটির যাতে কোন অসুবিধা না হয় তা খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজেনে মসজিদ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় কমিউনিটি ও প্রতিবেশিদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা ও পরামর্শ করতে পারেন। এ ব্যাপারে সিটি সহযোগিতা করবে-এমন আশ্বাসও দেয়া হয়েছে-এ ঘোষণায়।
এদিকে মসজিদগুলোতে মাইকে আজানের অনুমতি সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমান সম্প্রদায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করে, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, নিউইয়র্ক সিটির এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই আমাদের জন্য সু-সংবাদ। আমাদেরকে নিউইয়র্ক সিটির ভলিউম ল’ মেনেই এ চর্চা করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে-যাতে এব্যাপারে অন্য কমিউনিটির লোকজন বিরক্ত বা আপত্তি না তোলেন।
বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ভারতীয় মুসলিম সেলিম রেংগেজ বলেন, অনেকদিন থেকেই তারা প্রকাশ্যে আজান দেয়ার অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করছেন। অবশেষে আজ সফল হলেন। এই অনুমতি এখানে মুসলিম কমিউনিটির প্রতি অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানার সুযোগ হবে। তারা আজানের কারণে যাতে অন্য ধর্মের লোকদের অসুবিধা না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখতে সকল মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আতিকুর রহমান জানান, এই অনুমতি ইসলামকে অন্য ধর্মের লোকদের জানারও সুযোগ করে দিবে। তিনি আজান দেয়ার জন্য সুমধুর কণ্ঠের অধিকারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসের বায়তুল আমান ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব মোহাম্মদ আজির উদ্দিন বলেন, এটা খুবই খুশির সংবাদ। আমেরিকার বুকে আল্লাহু আকবর প্রকাশ্যে বলা স্বপ্ন ছিলো। আজ তা পূরণ হলো। তিনি প্রকাশ্যে আজানের অনুমতি দেয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের মেয়রসহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, শব্দ দূষণের দোহাই দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের পিটারসন শহরে মাইকে আজান দেয়ার অনুমতি ছিল না। মসজিদের ভেতরে বক্স ব্যবহার করে স্বল্পমাত্রার ভলিউমে আজান দেয়া হতো সেখানে। যার আওয়াজ মসজিদ গণ্ডিতেই সীমবদ্ধ ছিল। এখন সেই নিউজার্সিতেও লাউড স্পিকারে (মাইকে) আজান দেয়ার অনুমতি মিলেছে।
ঠিকানা/এসআর