ইরানি হেলিকপ্টার ও মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মুখোমুখি, পরিস্থিতি উত্তপ্ত

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৯ , অনলাইন ভার্সন
মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ইরানের আঞ্চলিক জলসীমার (ওমান উপসাগর) দিকে অগ্রসর হলে তাদের সতর্র্তা দিয়ে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। তবে মার্কিন বাহিনী এই ঘটনার গুরুত্ব খাটো করে দেখিয়েছে এবং একে “পেশাদার ও নিরাপদ” বলে বর্ণনা করেছে। খবর আল জাজিরার। 

২৩ জুলাই (বুধবার) ঘটে যাওয়া এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করেছে ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এটি গত জুনে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামরিক মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা।

ইরানি টেলিভিশনে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস ফিটজেরাল্ড’ একটি উসকানিমূলক আচরণে ইরানের পর্যবেক্ষণাধীন জলসীমার দিকে অগ্রসর হয়েছিল।”

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একটি হেলিকপ্টার মার্কিন যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি উড়ে যাচ্ছে এবং হেলিকপ্টার থেকে এক ইরানি সেনা সদস্যকে ইংরেজিতে রেডিওর মাধ্যমে যুদ্ধজাহাজটিকে সতর্ক করে দিক পরিবর্তনের নির্দেশ দিতে শোনা যায়। ঘটনাটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ঘটেছে বলে জানানো হয়।

ইরানি সংবাদমাধ্যম জানায়, মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি হুমকি দেয় যে, হেলিকপ্টারটি স্থান না ছাড়লে তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। তবে ইরানের পক্ষ থেকে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পর যুদ্ধজাহাজটি এলাকা ত্যাগ করে।

তবে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এই ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। তাদের ভাষায়, “এই ঘটনা ছিল সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পেশাদার, যার ইউএসএস ফিটজেরাল্ড-এর মিশনের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি।”

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান,

“ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।”

তারা আরও জানান, ঘটনাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে এবং ইরানি হেলিকপ্টারটি ছিল একটি এসএইচ-৩ ‘সি কিং’ মডেলের হেলিকপ্টার।

ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের পক্ষে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়, যার মধ্যে শুধুমাত্র ফোর্ডো স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায়।

এই হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, “এটি ছিল একটি অসাধারণ সাফল্য, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মুছে দিয়েছে।”

তবে বাস্তবতা বলছে, ইরান এখনও পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বুধবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তবে ইসরায়েল যদি আবার আগ্রাসন চালায়, আমরা প্রস্তুত।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আমি আশাবাদী নই।”

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078