মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা

যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে বহিষ্কার

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ০১:০৫ , অনলাইন ভার্সন
পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনাকে ‘রোমহর্ষক ও নৃশংসতম’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, কোনো দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় বিএনপি নেবে না। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে।’

ঘটনার ভিডিও ফুটেজে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তাদেরকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় পৃথকভাবে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বহিষ্কৃত চারজন হলেন—যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কালু ওরফে ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’।

বহিষ্কৃতদের বিষয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের কোনো অপরাধ বা অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন বহন করবে না।’ নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখতে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন এক বিবৃতিতে জানান, অপু দাসের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে জনসমক্ষে পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে মাথা ও বুক থেঁতলে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যাওয়া কয়েকজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ঘটনার পরই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। এর পরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো হচ্ছে—এটা নোংরা রাজনীতিরই অংশ।’

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে দল কোনোভাবেই তা বরদাশত করবে না।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পুরোনো শত্রুতার কারণ রয়েছে। ইতিমধ্যে নিহত সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078