গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ২১:২৮ , অনলাইন ভার্সন
গ্রিনকার্ড নেওয়ার পর অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকেন না। তারা এ দেশে বছরে এক-দুবার এসে ইন্স্যুরেন্স সুবিধাসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নেন। তারা বছরে এক-দুবার এসে যে চিকিৎসা নেন, তাতে সরকারের অনেক খরচ হয়। কিন্তু তারা এ দেশে থেকে কাজ করলে সেখান থেকে অর্থ আয় হতো এবং তারা কর দিতেন। এতে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। তারা সরকারকে তো কর দিচ্ছেনই না, উল্টো বছরে এক-দুই মাস থেকে অস্থায়ী কাজ করেছেন বলে কেউ কেউ দেখান। সেটিও তারা করেন কেবল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য। এ ধরনের মানুষের পেছনে সিটি, স্টেট ও সরকারকে বিরাট অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয়।
এদিকে কেউ কেউ আছেন, বাবা-মা ও সন্তান সবাই গ্রিনকার্ডধারী হলেও বাবা-মা এ দেশে থাকেন না। তারা নিজ দেশে থাকেন আর সন্তানদের এ দেশে লেখাপড়া করান। আর বাবা-মা বছরে একবার আসেন। যেসব গ্রিনকার্ডধারী এমনটা করছেন, তারা আর সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। এখন থেকে গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে।
সূত্র জানায়, কোনো গ্রিনকার্ডধারী যদি এই দেশে না থাকেন এবং বছরে এক-দুবার আসেন, তারা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন। গ্রিনকার্ডধারীরা যদি এ দেশে থাকার প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে তারা বিপদে পড়তে পারেন। ৫ জুলাইয়ের পর থেকে গ্রিনকার্ডধারীরা বেশি দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকলে তারা বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে পারেন। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে তিনি কোথায় থাকেন, কী করেন, কীভাবে তার জীবনযাপন চলে। তিনি যে এ দেশের স্থায়ী বাসিন্দা, এর প্রমাণ আছে কি না। থাকলে কী ধরনের প্রমাণ আছে। ব্যাংক হিসাব আছে কি না? বাসাবাড়ি আছে কি না। নিজস্ব বাসাবাড়ি না থাকলে লিজ আছে কি না? লিজ থাকলে তার মেয়াদ আছে কি না? তার নামে কোনো ইউটিলিটি বিল আছে কি না, থাকলে তা কী? ট্যাক্স ফাইল করেন কি না, করলে কর দেন কি না, না দিলে কেন দেন না। তার কি পর্যাপ্ত ইনকাম নেই, ইনকামের কি ব্যবস্থা আছেÑএ ধরনের সবকিছুুর প্রমাণ চাওয়া হতে পারে। তিনি অন্য দেশে থাকলে তার অন্য দেশে কর্মসংস্থান ও ইনকামের বিষয়গুলোও দেখা হতে পারে।
এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এ দেশের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা বা গ্রিনকার্ডধারী, তাদের যদি অন্য দেশে থাকার উপযুক্ত কারণ বা প্রমাণ না থাকে, তাহলে তাদের উচিত এই দেশেই থাকা। যারা এ দেশে এখনো নিয়মিত থাকছেন না, তাদেরকে চিন্তা করতে হবে, যাতে করে তারা আগামীতে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ীভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেউ যদি মনে করেন, তিনি এ দেশে থাকবেন না, তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় তার গ্রিনকার্ড সারেন্ডার করতে পারেন। পরে তিনি এ দেশে কোনো কারণে আসার প্রয়োজন হলে ভিজিট ভিসায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন। যারা সারেন্ডার করতে চান না, তারা এ দেশে নিয়মিত থাকতে পারেন। এরপর সিটিজেন হলে তিনি যেকোনো দেশে থাকতে পারবেন। সিটিজেনরা বিশ্বের যেকোনো দেশে তার প্রয়োজনে থাকতে পারেন।
তারা আরও বলেছেন, দিন যত যাচ্ছে এসব ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরও বাড়বে। তাই কেউ বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করলে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক, কোথায় থাকেন, তার বাড়ির ঠিকানা সংবলিত আইডি কার্ড, কোনো বিল থাকলে সেই বিলের কপি, ব্যাংক হিসাবের নথিপত্র, ট্যাক্স ফাইলের ছবি মোবাইলে রাখতে পারেন। আর কারও যদি মনে হয় তার মোবাইলে চার্জ নাও থাকতে পারে, তাহলে তারা অবশ্যই ফটোকপি কিংবা প্রিন্ট কপি রাখতে পারেন, যাতে প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তারা সেটি দিতে পারেন।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078