ছোট হয়ে আসছে দিন

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ২১:১৬ , অনলাইন ভার্সন
এখন সামার বা গ্রীষ্মকাল। শীত প্রধান নিউইয়র্কে সামারের বেশ কদর রয়েছে। সামারে স্কুল ছুটি থাকে। ফলে সামারে সপরিবারে বেড়ানোর মজা। কিন্তু এই সামার খুবই ক্ষীণ, অল্প সময় থাকে। এ বছর জুন মাসেও শীতের প্রকোপ ছিল। এখন চলছে জুলাই মাস। দিনে যেমন গরম আবহাওয়া থাকছে, রাতে তার পতনও হচ্ছে। 
৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত হয়েছে ৮টা ৩১ মিনিটে। এরপর থেকে প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় কমে আসছে। অন্যদিকে ৩ জুলাই থেকে সূযোর্দয়ের সময়ও বাড়ছে। ফলে দিন ছোট হচ্ছে প্রতিদিন। ২১ জুন দিনটি ছিল এ বছরের বছরের সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট। অন্যদিকে বছরের সবচেয়ে বড় রাত হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর। 
ঋতু পরিবর্তনের পাশাপাশি দিন ও রাতের সময়কালও বদলে যায়। বছরের ৩৬৫ দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন ছোট হয় এবং রাত বড় হয়, আবার কখনো দিন বড় হয় এবং রাত ছোট হয়। ঠিক এমনভাবেই, বছরে এমন একটি দিন আসে, যাকে সবচেয়ে বড় দিন এবং রাত সবচেয়ে ছোট হিসেবে ধরা হয়। সে হিসাবে  ২১ জুন শনিবার ছিল বছরের সবচেয়ে বড় দিন।
সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসে, কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। এই দিনে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে। তাই ২১ জুন বছরের দীর্ঘতম দিন। এই ঘটনাটিকে ‘সামার সলসটিস’ বলা হয়। সলসটিস একটি ল্যাটিন শব্দ। মানে সূর্য এবং সিস্টেরার মানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা। ২১ জুন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। সূর্যকে ২১ জুন মধ্যগগনে, প্রায় মাথার উপরে দেখা যায়। ২০ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে ‘সামার সলসটিস’ হয়ে থাকে।
কর্কট আর মকর নামে দু’টি ক্রান্তি রেখা চলে গেছে পৃথিবীর ওপর দিয়ে। আর ওদের মধ্যে দিন কতটা বড় হবে সেটা ঠিক করে দেয় কর্কটক্রান্তি রেখা। ওটাকে উত্তরের রেখাও বলা যায়। ২১ জুন সকাল আর সন্ধ্যার সূর্যটা সবচেয়ে বেশি হেলে থাকবে ওই উত্তরেই। আর ঠিক দুপুরবেলা সূর্য থাকবে কর্কটক্রান্তি রেখার একেবারে মাঝ বরাবর।
সলসটিস বছরে দু’বার ঘটে। একবার গ্রীষ্মের মৌসুমে, যখন সূর্যকে উত্তর বা দক্ষিণ মেরু থেকে দেখা যায়, তখন বছরের সবচেয়ে বড় দিন হয় অর্থাৎ ২১ জুন, সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে দীর্ঘ সময় উপস্থিত থাকে। দ্বিতীয়টি ঘটে ২২ ডিসেম্বর। এই দিনটি বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং দীর্ঘতম রাত। এই দিনে সূর্যের রশ্মি অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে থাকে। পৃথিবীর নিয়মে উত্তর গোলার্ধে আজকের পর থেকে ছোট হওয়া শুরু করবে দিন, আর রাত হবে বড়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২১ জুন মানুষ নিজের ছায়াও দেখতে পায় না। যখন সূর্য ঠিক কর্কটক্রান্তি রেখার উপর থাকে, তখন ছায়া কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এটি প্রকৃতির এক বিস্ময়কর ঘটনা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনে পালিত হয় বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। অনেকেই ২১ জুনকে কর্কটক্রান্তি দিবস নামে চেনেন। কেউবা অয়ন দিবস বলে থাকেন। প্রাচীনকালে ইউরোপের মানুষ এ দিনটি থেকে তাদের বছর শুরু করত বলে জানা যায়। মূলত গ্রীষ্মের সময় যে দিনটি সবচেয়ে বড় হতো সেই দিনের পর থেকে ফসল লাগানো এবং আগের ফসল কাটত তারা।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078