এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে ধস

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩৭ , অনলাইন ভার্সন
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
স্কুলের গণ্ডি পেরোনো এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

২০১০ সালের পর ২০২১ সালে রেকর্ড ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করে। এই সময়ের মধ্যে ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল সবচেয়ে কম, ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এবারের এসএসসি ও সমমানই ছিল প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। তাতে অংশ নিয়েছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী। তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২টায় একযোগে ফল প্রকাশ করে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড।

অন্যান্য বছরের মত ফল প্রকাশের আগে সরকার প্রধানের হাতে পরিসংখ্যান তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানিকতা এবার ছিল না। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।

শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারছেন।
গত বছরের মতই এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে।

চলতি বছর যে শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসেছেন তারা ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়েছিলেন।

রেওয়াজ ছিল ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার। কোভিড ১৯ মহামারির জেরে তিন বছর ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।

আর এবার গণঅভ্যুত্থানের পর দুই মাস পিছিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।

যেভাবে মিলবে ফল
ফল প্রকাশে কারিগরি সহায়তায় কাজ করা রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে যেকোন মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উদাহারণ : SSC<Space> Board Name (First 3 letters)<Space>Roll<Space>Year

দাখিলের ফল পেতে Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2025 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে SSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2025 লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল পাওয়া যাবে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd-এ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল মিলবে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ইনপুট দিয়ে ও শিক্ষাবোর্ড সিলেক্ট করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

শুক্রবার থেকে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে কোন পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট হলে তা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। শুক্রবার থেকে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।

টেলিটক জানিয়েছে, শুধু টেলিটকের মাধ্যমে ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।

এ আবেদন করতে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে, স্পেস দিয়ে যে বিষয়ের ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে চান তার বিষয় কোড লিখতে হবে। যদি একাধিক বিষয়ের ফল পুনর্নিরীক্ষণ করতে চান সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয়কোড লিখে তা ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি হবে ১৫০ টাকা।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078