
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, “আমি বারবার বলেছি, দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময় সুস্পষ্টভাবে বলেছি কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সব বিষয়ে একমত হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা সব বিষয়ে একমত হব না।”
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দশম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ; জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে।
সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নিয়ে দলগুলোর আপত্তি থাকায় সংশোধিত প্রস্তাবে তা আর রাখা হয়নি জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “একইভাবে চার প্রদেশে ভাগের প্রস্তাবে দলগুলোর দ্বিমতের কারণে উপস্থাপন করা হয়নি। সব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না…
“যেগুলো বাদ দিয়ে যে সমস্ত জায়গায় আমরা একমত হতে পারি, সেই জায়গায় যেন আমরা আসতে পারি, সেই চেষ্টা আমাদের থাকতে হবে।”
সংলাপে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি অর্জন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয় এখনো উপস্থাপন করিনি। তার মধ্যে একটি নতুন বিষয় আজকে উপস্থাপন করব।”
সংশোধিত প্রস্তাবের বিষয়ে দলগুলোর দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনা থাকবে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে দেখছি, সবাই আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করছে এক জায়গায় আসা, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রক্রিয়ায় যা হচ্ছে- কোনো বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল; কিন্তু আলোচনার মধ্য সেটা সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে।
“আমরা চেষ্টা করছি, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সেন্টিমেন্ট, বক্তব্যগুলোকে ধারণ করে সংশোধিতভাবে উপস্থাপন করা যায়।”
সংশোধিত প্রস্তাব তৈরিতে কমিশন ধারাবাহিক বৈঠক করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংশোধিত প্রস্তাবগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যকে ধারণ করে তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সেটা আমরা অব্যাহত রাখব।
“এতে করে যাতে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তির চেষ্টা না হয়। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে আন্তরিক চেষ্টা, সর্বাত্মকরণের চেষ্টা হচ্ছে আপনাদের বক্তব্য, আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান করা যায়।”
জুলাই আন্দোলনের স্মরণে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মসূচি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গ টেনে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি তিনি বলেন, “আপনাদের কর্মসূচি একটু অসুবিধা সৃষ্টি করবে। তবুও আমরা আশা করছি যে, আপনারা সেক্ষেত্রে আমাদের জায়গাতে একত্রে বসতে পারি। যত বেশি সময় বসা যায়, সময়ের একটা স্বল্পতা আছে- সেগুলো আপনারা নিশ্চয় বিবেচনা করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া বৈঠকে আছেন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছে ঐকমত্য কমিশন।
ঠিকানা/এসআর
তিনি বলেছেন, “আমি বারবার বলেছি, দলগুলোর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সময় সুস্পষ্টভাবে বলেছি কমিশন কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। সব বিষয়ে একমত হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা সব বিষয়ে একমত হব না।”
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দশম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ; জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে।
সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ নিয়ে দলগুলোর আপত্তি থাকায় সংশোধিত প্রস্তাবে তা আর রাখা হয়নি জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “একইভাবে চার প্রদেশে ভাগের প্রস্তাবে দলগুলোর দ্বিমতের কারণে উপস্থাপন করা হয়নি। সব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না…
“যেগুলো বাদ দিয়ে যে সমস্ত জায়গায় আমরা একমত হতে পারি, সেই জায়গায় যেন আমরা আসতে পারি, সেই চেষ্টা আমাদের থাকতে হবে।”
সংলাপে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি অর্জন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে এবং কিছু কিছু বিষয় এখনো উপস্থাপন করিনি। তার মধ্যে একটি নতুন বিষয় আজকে উপস্থাপন করব।”
সংশোধিত প্রস্তাবের বিষয়ে দলগুলোর দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনা থাকবে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে দেখছি, সবাই আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করছে এক জায়গায় আসা, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রক্রিয়ায় যা হচ্ছে- কোনো বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল; কিন্তু আলোচনার মধ্য সেটা সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে।
“আমরা চেষ্টা করছি, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সেন্টিমেন্ট, বক্তব্যগুলোকে ধারণ করে সংশোধিতভাবে উপস্থাপন করা যায়।”
সংশোধিত প্রস্তাব তৈরিতে কমিশন ধারাবাহিক বৈঠক করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংশোধিত প্রস্তাবগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যকে ধারণ করে তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। সেটা আমরা অব্যাহত রাখব।
“এতে করে যাতে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি বা বিভ্রান্তির চেষ্টা না হয়। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে আন্তরিক চেষ্টা, সর্বাত্মকরণের চেষ্টা হচ্ছে আপনাদের বক্তব্য, আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান করা যায়।”
জুলাই আন্দোলনের স্মরণে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মসূচি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গ টেনে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি তিনি বলেন, “আপনাদের কর্মসূচি একটু অসুবিধা সৃষ্টি করবে। তবুও আমরা আশা করছি যে, আপনারা সেক্ষেত্রে আমাদের জায়গাতে একত্রে বসতে পারি। যত বেশি সময় বসা যায়, সময়ের একটা স্বল্পতা আছে- সেগুলো আপনারা নিশ্চয় বিবেচনা করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া বৈঠকে আছেন। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছে ঐকমত্য কমিশন।
ঠিকানা/এসআর