
ডায়াবেটিস (মধুমেহ) এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেখানে শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজ বা চিনি জমা হতে থাকে, যা ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
ডায়াবেটিস সনাক্তের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা। তবে রক্ত পরীক্ষার আগেই শরীরের কিছু লক্ষণ আপনাকে সতর্ক করে দিতে পারে। নিচে ডায়াবেটিসের এমনই ৭টি লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা দেখা গেলে অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া : অস্বাভাবিকভাবে বারবার প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে একাধিকবার ঘুম ভেঙে টয়লেটে যাওয়া, ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ। উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনিকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করতে বাধ্য করে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
২. অতিরিক্ত পানির পিপাসা : ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা অতিরিক্ত তৃষ্ণার সৃষ্টি করে। আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন, বারবার পানি পান করার পরও পিপাসা মিটছে না। এই তৃষ্ণা সাধারণ নয়, বরং স্থায়ী ও অস্বাভাবিক রকমের।
৩. বারবার খিদে পাওয়া : যথেষ্ট খাওয়া-দাওয়ার পরও যদি মনে হয় পেট ভরছে না, সবসময় খিদে লাগছে তবে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। শরীর যখন ইনসুলিন ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে না, তখন কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করে না। এতে কোষ ‘ক্ষুধার্ত’ থেকে যায় এবং মস্তিষ্ক আরও খাবার চায়।
৪. দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব : ভালোভাবে ঘুমানোর পরও যদি আপনি সারাদিন দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। গ্লুকোজ যখন কোষে প্রবেশ করতে না পারে, তখন শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় না। ফলে স্বাভাবিক কাজেও ক্লান্তি লাগে।
৫. ত্বকে চুলকানি ও খসখসে ভাব : উচ্চ রক্তে চিনি শরীরকে পানিশূন্য করে তোলে, যা ত্বককে শুষ্ক ও চুলকানিময় করে তোলে। এটি খুব সাধারণ সমস্যা মনে হলেও, যদি নিয়মিত লোশন বা ত্বকের যত্ন নেয়ার পরও চুলকানি না কমে, তবে সেটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
৬. দৃষ্টির সমস্যা : রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে চোখের লেন্সের আকার পরিবর্তিত হয়। এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় বা পরিষ্কার দেখতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
৭. ত্বকে কালো দাগ : ঘাড়, বগল, কুঁচকি বা শরীরের ভাঁজে হঠাৎ করে কালো, মোটা ও মসৃণ দাগ দেখা দিলে তা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ইঙ্গিত দিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকান্স বলা হয়, যা ডায়াবেটিসের অন্যতম অগ্রদূত।
ঠিকানা/এএস
ডায়াবেটিস সনাক্তের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো রক্ত পরীক্ষা। তবে রক্ত পরীক্ষার আগেই শরীরের কিছু লক্ষণ আপনাকে সতর্ক করে দিতে পারে। নিচে ডায়াবেটিসের এমনই ৭টি লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যা দেখা গেলে অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া : অস্বাভাবিকভাবে বারবার প্রস্রাব হওয়া, বিশেষ করে রাতে একাধিকবার ঘুম ভেঙে টয়লেটে যাওয়া, ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণ। উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনিকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করতে বাধ্য করে, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
২. অতিরিক্ত পানির পিপাসা : ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা অতিরিক্ত তৃষ্ণার সৃষ্টি করে। আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন, বারবার পানি পান করার পরও পিপাসা মিটছে না। এই তৃষ্ণা সাধারণ নয়, বরং স্থায়ী ও অস্বাভাবিক রকমের।
৩. বারবার খিদে পাওয়া : যথেষ্ট খাওয়া-দাওয়ার পরও যদি মনে হয় পেট ভরছে না, সবসময় খিদে লাগছে তবে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। শরীর যখন ইনসুলিন ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারে না, তখন কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করে না। এতে কোষ ‘ক্ষুধার্ত’ থেকে যায় এবং মস্তিষ্ক আরও খাবার চায়।
৪. দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব : ভালোভাবে ঘুমানোর পরও যদি আপনি সারাদিন দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। গ্লুকোজ যখন কোষে প্রবেশ করতে না পারে, তখন শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় না। ফলে স্বাভাবিক কাজেও ক্লান্তি লাগে।
৫. ত্বকে চুলকানি ও খসখসে ভাব : উচ্চ রক্তে চিনি শরীরকে পানিশূন্য করে তোলে, যা ত্বককে শুষ্ক ও চুলকানিময় করে তোলে। এটি খুব সাধারণ সমস্যা মনে হলেও, যদি নিয়মিত লোশন বা ত্বকের যত্ন নেয়ার পরও চুলকানি না কমে, তবে সেটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
৬. দৃষ্টির সমস্যা : রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে চোখের লেন্সের আকার পরিবর্তিত হয়। এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় বা পরিষ্কার দেখতে সমস্যা হয়। হঠাৎ করে চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
৭. ত্বকে কালো দাগ : ঘাড়, বগল, কুঁচকি বা শরীরের ভাঁজে হঠাৎ করে কালো, মোটা ও মসৃণ দাগ দেখা দিলে তা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ইঙ্গিত দিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকান্স বলা হয়, যা ডায়াবেটিসের অন্যতম অগ্রদূত।
ঠিকানা/এএস