
হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম। এ মাসের ১০ তারিখকে বলা হয় ‘আশুরা’-যা ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিন রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদিনায় গিয়ে দেখেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এই দিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন, সে আনন্দেই তারা রোজা রাখে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, “আমি তোমাদের চেয়ে মুসার (আ.) অধিক হকদার।” এরপর তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)
নবিজি (সা.) আশুরার রোজা কখনো বাদ দিতেন না। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ চারটি আমল কখনো পরিত্যাগ করেননি-১) আশুরার রোজা, ২) জিলহজের প্রথম দশ দিনের রোজা, ৩) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, এবং ৪) ফজরের আগে দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)
আশুরার দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,
صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।” (সহিহ মুসলিম: ২৬১৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এ বিষয়ে বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)
কেন দুই দিন রোজা রাখার নির্দেশ?
ইহুদিরা শুধু ১০ মহররমে একদিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের নির্দেশ দেন আশুরার দিনটির আগে বা পরে আরও এক দিন মিলিয়ে দুই দিন রোজা রাখতে যেন মুসলমানদের আমল ইহুদিদের আমলের সাথে পুরোপুরি মিলে না যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا
“তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো।” (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)
আশুরার রোজা রাখবেন যে দুই দিন
বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরির মহররম মাস শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের ২৭ জুন। সে অনুযায়ী, ১০ মহররম বা আশুরা পড়েছে ৬ জুলাই, রোববারে। যারা দু’দিন রোজা রাখতে চান, তারা ৫ ও ৬ জুলাই শনি ও রোববার অথবা ৬ ও ৭ জুলাই রবি ও সোমবার রোজা রাখবেন।
ঠিকানা/এএস
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হিজরতের পর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মদিনায় গিয়ে দেখেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, এই দিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন, সে আনন্দেই তারা রোজা রাখে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, “আমি তোমাদের চেয়ে মুসার (আ.) অধিক হকদার।” এরপর তিনি নিজে রোজা রাখেন এবং সাহাবিদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)
নবিজি (সা.) আশুরার রোজা কখনো বাদ দিতেন না। উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ চারটি আমল কখনো পরিত্যাগ করেননি-১) আশুরার রোজা, ২) জিলহজের প্রথম দশ দিনের রোজা, ৩) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, এবং ৪) ফজরের আগে দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)
আশুরার দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,
صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
“আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজার কারণে আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।” (সহিহ মুসলিম: ২৬১৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এ বিষয়ে বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)
কেন দুই দিন রোজা রাখার নির্দেশ?
ইহুদিরা শুধু ১০ মহররমে একদিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের নির্দেশ দেন আশুরার দিনটির আগে বা পরে আরও এক দিন মিলিয়ে দুই দিন রোজা রাখতে যেন মুসলমানদের আমল ইহুদিদের আমলের সাথে পুরোপুরি মিলে না যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا
“তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো।” (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)
আশুরার রোজা রাখবেন যে দুই দিন
বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরির মহররম মাস শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের ২৭ জুন। সে অনুযায়ী, ১০ মহররম বা আশুরা পড়েছে ৬ জুলাই, রোববারে। যারা দু’দিন রোজা রাখতে চান, তারা ৫ ও ৬ জুলাই শনি ও রোববার অথবা ৬ ও ৭ জুলাই রবি ও সোমবার রোজা রাখবেন।
ঠিকানা/এএস