আনুপাতিক ভোট পদ্ধতিতে হলে নেতা তৈরি হবে না : রিজভী

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৫ , অনলাইন ভার্সন
আনুপাতিক ভোট পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজন কী? এই ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নেতা তৈরি হবে না, নেতৃত্বের বিকাশও হবে না। আমরা চিরায়ত গণতন্ত্রের পক্ষে, যেখানে বৈধ ভোটাররা ভোট দিয়ে নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’ ৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, একটা লোক তার একটা এলাকায় দীর্ঘ দিন কাজ করছে, মানুষের সাথে তার যোগাযোগ হচ্ছে, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এসব কাজ করতে করতে ধীরে ধীরে নেতা হয়। যখন আনুপাতিক ভোটের বিষয়টি আসবে তখন তো মানুষ দলকে ভোট দেবে। তারপরে দল বেচে বেচে তার লোকদের এমপি বলে ঘোষণা করবে। তাহলে তো আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে।

পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে কী হবে তা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে আর কোনো নেতৃত্ব থাকবে না। স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলে কেউ ক্যারিয়ার তৈরি করবে, সেটি থাকবে না। আমরা চেয়েছি চিরায়িত গণতন্ত্রের সেই ভোট, যারা বৈধ ভোটার তারা ভোট দিয়ে তার এলাকায় প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। যে দলের প্রতিনিধিরা সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে তারা সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, এই ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রায় ১২ কোটির মতো ভোটার, সেখানে আপনারা কীভাবে এই আনুপাতিক ভোটের কথা বলছেন- এটা তো আমরা বুঝতে পারছি না। যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, বছরের পর বছর কারাবরণ করেছে, সেই গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন, গণতন্ত্র ও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপি কখনো আপস করেনি।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের কোনো তরুণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে, আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা, গঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে—এটাই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। এই ভয়াবহ সময় পার করতে হয়েছে আমাদের। শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্র মানে হচ্ছে একে অপরের বিরুদ্ধে মুক্তভাবে মত প্রকাশ ও সমালোচনার সুযোগ থাকবে। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সবাই এক হতে পারি। গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অকল্পনীয় দমন-পীড়ন চালিয়েও দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা যায়নি। গুম, খুন ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি ঐক্য ধরে রেখেছে। গণতন্ত্রের আন্দোলনে বিএনপি সব সময় আপসহীন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়ানো চলবে না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের আচরণে যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন বিএনপির কাছ থেকে ন্যায়বিচার পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি এসব অপকর্মে জড়িত থাকে, দল সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে—এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।

ঠিকানা/এএস
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078