
এই অস্পষ্ট ধূপের ধোঁয়ায়
পোড়া ঝলসানো লাশের গন্ধ পাই,
সে লাশ আর কারো নয়!
হাসপাতালের করিডোরের শেষ মাথায়
রক্তমাখা থেঁতলানো মুখের আমি!
শুয়ে আছি নিথর, আলুথালু বেশে
জং পড়া স্ট্রেচারের উপরে
চিত হয়ে পড়ে আছি ভেজা রক্তাক্ত চাদরে
আপাদমস্তক গজ তুলোর কাফনে জড়িয়ে।
সারা শরীরে জড়িয়ে আছে
কেরোসিন তেলের উৎকট গন্ধ,
মিশে আছে দগদগে মন পোড়ানো ঘা।
অপরিচিত জনা কয়েক রোগীর স্বজন
পথচারী, ফেরিওয়ালা, চায়ের বন্ধু
উকিঝুঁকি দেয় নিথর নিষ্প্রাণ চোখে,
আহারে! কী হয়েছে মহিলার?
রেপ কেস না পরকীয়া?
যৌতুক না কুলভ্রষ্টা?
আত্মহত্যা নাকি হত্যা?
প্রত্যুত্তরে দোটানায় আমার
শ্লেষ্মায় পুড়ে যাওয়া চামড়ার ঠোঁটযুগল
ব্যথাহীন শোকে পাথর।
কেউ জানবে না কোনো দিন
আমি তো মরেছি আরো এক যুগ আগে।
মরমে, মননে, অতিষ্ঠ অত্যাচারে,
আলোহীন পৃথিবীর নির্জন আন্দামানে।
স্ট্রেচার ঠেলে নির্দয়ভাবে
হাসপাতালের বাইরের পৃথিবীতে
লাশটাকে কে যেন নিয়ে এল!
ব্যথাহীন বেদনায় কুঁকড়ে আকাশ দেখি।
মাছিরা পোড়া লাশের গন্ধের স্বাদ পেয়ে
উড়ছে রঙিন ঘুড়ির মতো দিগবিদিক
অনুভূতির দাসত্ব ভেঙে বেড়িয়ে পড়েছি,
আজন্ম অপমান থেকে মুক্তি পেতে
কেজিখানেক জ্বালানি ঢেলেছিলাম
বোধহীন ভাবনায় সর্বাঙ্গে যত্ন করে।
শলাকায় অনলের সুবাস তুলে
ঝাপসা দেয়াল জড়িয়ে ধরি।
অতঃপর
দু’পাশের পাইন গাছের সারিরা
ঝিরঝির হাওয়ার স্পর্শ দিয়ে
যেন বলছে কেবল-
বাছারে!! তুই নিশ্চিত হয়ে ঘুমিয়ে যা,
কোনো যন্ত্রণা নেই/ কষ্টও পাবি না আর,
বেশ্যার মিছিলে তোকে নামাবে না কেউ।
যুগ ধরে তোর হৃদয়কে ফালা ফালা করে কাটবে না কেউ আর অহরহ।
ভিসুভিয়াস তোকে মুক্তি দিয়েছে
আগুনের লেলিহানে আঁচল বিছিয়ে
ঘুমাতে চেয়েছিলি।
দেখ! তুই মুক্তির সনদ সারাটা অঙ্গে
প্রাণপণে গোপন প্রেমে জড়িয়েছিস।
এখন ঘুমো তুই কালের সীমানা পেরিয়ে।
আমরা জেগে আছি
তোর মাথার ছায়া হয়ে,
কসাইয়ের হাত যেন না পৌঁছায়
কস্মিনকালেও
তোর জর্জরিত খানাখন্দের
ঐ হৃদয়টাতে।
পোড়া ঝলসানো লাশের গন্ধ পাই,
সে লাশ আর কারো নয়!
হাসপাতালের করিডোরের শেষ মাথায়
রক্তমাখা থেঁতলানো মুখের আমি!
শুয়ে আছি নিথর, আলুথালু বেশে
জং পড়া স্ট্রেচারের উপরে
চিত হয়ে পড়ে আছি ভেজা রক্তাক্ত চাদরে
আপাদমস্তক গজ তুলোর কাফনে জড়িয়ে।
সারা শরীরে জড়িয়ে আছে
কেরোসিন তেলের উৎকট গন্ধ,
মিশে আছে দগদগে মন পোড়ানো ঘা।
অপরিচিত জনা কয়েক রোগীর স্বজন
পথচারী, ফেরিওয়ালা, চায়ের বন্ধু
উকিঝুঁকি দেয় নিথর নিষ্প্রাণ চোখে,
আহারে! কী হয়েছে মহিলার?
রেপ কেস না পরকীয়া?
যৌতুক না কুলভ্রষ্টা?
আত্মহত্যা নাকি হত্যা?
প্রত্যুত্তরে দোটানায় আমার
শ্লেষ্মায় পুড়ে যাওয়া চামড়ার ঠোঁটযুগল
ব্যথাহীন শোকে পাথর।
কেউ জানবে না কোনো দিন
আমি তো মরেছি আরো এক যুগ আগে।
মরমে, মননে, অতিষ্ঠ অত্যাচারে,
আলোহীন পৃথিবীর নির্জন আন্দামানে।
স্ট্রেচার ঠেলে নির্দয়ভাবে
হাসপাতালের বাইরের পৃথিবীতে
লাশটাকে কে যেন নিয়ে এল!
ব্যথাহীন বেদনায় কুঁকড়ে আকাশ দেখি।
মাছিরা পোড়া লাশের গন্ধের স্বাদ পেয়ে
উড়ছে রঙিন ঘুড়ির মতো দিগবিদিক
অনুভূতির দাসত্ব ভেঙে বেড়িয়ে পড়েছি,
আজন্ম অপমান থেকে মুক্তি পেতে
কেজিখানেক জ্বালানি ঢেলেছিলাম
বোধহীন ভাবনায় সর্বাঙ্গে যত্ন করে।
শলাকায় অনলের সুবাস তুলে
ঝাপসা দেয়াল জড়িয়ে ধরি।
অতঃপর
দু’পাশের পাইন গাছের সারিরা
ঝিরঝির হাওয়ার স্পর্শ দিয়ে
যেন বলছে কেবল-
বাছারে!! তুই নিশ্চিত হয়ে ঘুমিয়ে যা,
কোনো যন্ত্রণা নেই/ কষ্টও পাবি না আর,
বেশ্যার মিছিলে তোকে নামাবে না কেউ।
যুগ ধরে তোর হৃদয়কে ফালা ফালা করে কাটবে না কেউ আর অহরহ।
ভিসুভিয়াস তোকে মুক্তি দিয়েছে
আগুনের লেলিহানে আঁচল বিছিয়ে
ঘুমাতে চেয়েছিলি।
দেখ! তুই মুক্তির সনদ সারাটা অঙ্গে
প্রাণপণে গোপন প্রেমে জড়িয়েছিস।
এখন ঘুমো তুই কালের সীমানা পেরিয়ে।
আমরা জেগে আছি
তোর মাথার ছায়া হয়ে,
কসাইয়ের হাত যেন না পৌঁছায়
কস্মিনকালেও
তোর জর্জরিত খানাখন্দের
ঐ হৃদয়টাতে।