
নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় রচনা করলেন জুমানি ডি. উইলিয়ামস, যিনি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত প্রগতিশীল রাজনীতিক হিসেবে নগরবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ কম্পট্রোলার পদে বিজয়ের পথে মার্ক লেভিন, যিনি বর্তমানে ম্যানহাটন বরো প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫২৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাস্টিন ব্রানন পেয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ ভোট।
২৪ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে ‘মিস্টার ক্যারিবিয়ান’ নামে পরিচিত জুমানি উইলিয়ামসের বিজয়ে নিউইয়র্কজুড়ে উদযাপন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো ও অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যে। প্রাইমারিতে তিনি মোট ৯৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৭১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি পেয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেনিফার রাজকুমার পেয়েছেন ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৪ ভোট। আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জুমানি উইলিয়ামস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
জুমানি উইলিয়ামস প্রথমবার পাবলিক অ্যাডভোকেট নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে। এরপর তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা, পুলিশি জবাবদিহিতা, আবাসন সংকট মোকাবিলা, শিক্ষায় সমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তারে কার্যকর ভূমিকার কারণে তিনি দ্রুত নিউইয়র্কবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর বিজয় প্রমাণ করেÑনগরবাসী এখনও সেই দৃঢ় নেতৃত্বেই আস্থা রাখছে, যে নেতৃত্ব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ, কিন্তু জনগণের সেবায় নিবেদিত।
উইলিয়ামস বলেন, এই শহরের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষত যারা প্রান্তিক ও অবহেলিতÑতাদের অধিকার, মর্যাদা ও ভবিষ্যতের জন্য আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা কেবল প্রতিবাদ নয়, প্রস্তাব দিচ্ছিÑএকটি আরও ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিউইয়র্ক গড়ার।
উল্লেখ্য, পাবলিক অ্যাডভোকেট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে সিটির বিভিন্ন দপ্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের অভিযোগ ও সমস্যার নিরসনে সোচ্চার থাকা এবং আইনসভায় প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা। নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদ হিসেবে এই পদের গুরুত্ব অত্যন্ত গভীর।
জুমানে উইলিয়ামসের বিজয় শুধু একজন নেতার বিজয় নয়, বরং নিউইয়র্ক সিটির বহুসাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ সহনশীল নগর গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কম্পট্রোলার পদে জয়ী মার্ক লেভিন
নিউইয়র্ক সিটির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদ ‘কম্পট্রোলার’-এর জন্য অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে বিজয়ী হয়েছেন ম্যানহাটনের বর্তমান বরো প্রেসিডেন্ট মার্ক লেভিন। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচনে কম্পট্রোলার পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নগরীর বাজেট ও অর্থ ব্যবস্থাপনা তদারকির দায়িত্বে থাকা কম্পট্রোলার পদে লেভিনের প্রার্থিতা শুরু থেকেই আলোচিত ছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাশ্রয়ী আবাসন এবং নগর উন্নয়ন ইস্যুতে তার সুদৃঢ় অবস্থান, দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধিত্বের অভিজ্ঞতা এবং কার্যকর প্রশাসনিক দক্ষতা তাঁকে এই নির্বাচনে এগিয়ে রেখেছিল।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রুকলিন কাউন্সিল সদস্য জাস্টিন ব্র্যানন শেষ মুহূর্তে কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও, ফলাফল স্পষ্ট করে দেয় যে শহরের ডেমোক্রেটিক ভোটাররা লেভিনের অভিজ্ঞতাকেই বেশি বিশ্বাস করেছেন। ইউনিফর্মড ফায়ার অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটি গ্রুপ লেভিনকে সমর্থন জানায়।
বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মার্ক লেভিন বলেন, “এই জয় নিউইয়র্কবাসীর। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—নগরবাসীর ট্যাক্সের অর্থ যেন যথাযথ ও স্বচ্ছ উপায়ে ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করব। ফেডারেল চাপ ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যেও আমাদের শহরের স্বার্থ সর্বাগ্রে রক্ষা করাই আমার অঙ্গীকার।”
মার্ক লেভিন ইতিপূর্বে সিটি কাউন্সিলে কাজ করার সময় ‘রাইট টু কাউন্সেল’ আইনসহ একাধিক সামাজিক ন্যায়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর এবং হ্যাভারফোর্ড কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আগামী সাধারণ নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে ডেমোক্রেটিক ভোটব্যাংক ও নগরবাসীর আস্থা বিবেচনায় ধরে নেওয়া যাচ্ছে, লেভিন নিউইয়র্ক সিটির ৪৪তম কম্পট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
নির্বাচনে নিউইয়র্ক সিটির তৃতীয় সর্বোচ্চ পদ কম্পট্রোলার পদে বিজয়ের পথে মার্ক লেভিন, যিনি বর্তমানে ম্যানহাটন বরো প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫২৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাস্টিন ব্রানন পেয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ ভোট।
২৪ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে ‘মিস্টার ক্যারিবিয়ান’ নামে পরিচিত জুমানি উইলিয়ামসের বিজয়ে নিউইয়র্কজুড়ে উদযাপন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিনো ও অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যে। প্রাইমারিতে তিনি মোট ৯৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৭১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি পেয়েছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেনিফার রাজকুমার পেয়েছেন ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৪ ভোট। আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জুমানি উইলিয়ামস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত।
জুমানি উইলিয়ামস প্রথমবার পাবলিক অ্যাডভোকেট নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে। এরপর তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা, পুলিশি জবাবদিহিতা, আবাসন সংকট মোকাবিলা, শিক্ষায় সমতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তারে কার্যকর ভূমিকার কারণে তিনি দ্রুত নিউইয়র্কবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর বিজয় প্রমাণ করেÑনগরবাসী এখনও সেই দৃঢ় নেতৃত্বেই আস্থা রাখছে, যে নেতৃত্ব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ, কিন্তু জনগণের সেবায় নিবেদিত।
উইলিয়ামস বলেন, এই শহরের প্রতিটি নাগরিক, বিশেষত যারা প্রান্তিক ও অবহেলিতÑতাদের অধিকার, মর্যাদা ও ভবিষ্যতের জন্য আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা কেবল প্রতিবাদ নয়, প্রস্তাব দিচ্ছিÑএকটি আরও ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিউইয়র্ক গড়ার।
উল্লেখ্য, পাবলিক অ্যাডভোকেট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে সিটির বিভিন্ন দপ্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নাগরিকদের অভিযোগ ও সমস্যার নিরসনে সোচ্চার থাকা এবং আইনসভায় প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা। নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদ হিসেবে এই পদের গুরুত্ব অত্যন্ত গভীর।
জুমানে উইলিয়ামসের বিজয় শুধু একজন নেতার বিজয় নয়, বরং নিউইয়র্ক সিটির বহুসাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ সহনশীল নগর গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কম্পট্রোলার পদে জয়ী মার্ক লেভিন
নিউইয়র্ক সিটির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পদ ‘কম্পট্রোলার’-এর জন্য অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে বিজয়ী হয়েছেন ম্যানহাটনের বর্তমান বরো প্রেসিডেন্ট মার্ক লেভিন। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচনে কম্পট্রোলার পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নগরীর বাজেট ও অর্থ ব্যবস্থাপনা তদারকির দায়িত্বে থাকা কম্পট্রোলার পদে লেভিনের প্রার্থিতা শুরু থেকেই আলোচিত ছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাশ্রয়ী আবাসন এবং নগর উন্নয়ন ইস্যুতে তার সুদৃঢ় অবস্থান, দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধিত্বের অভিজ্ঞতা এবং কার্যকর প্রশাসনিক দক্ষতা তাঁকে এই নির্বাচনে এগিয়ে রেখেছিল।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রুকলিন কাউন্সিল সদস্য জাস্টিন ব্র্যানন শেষ মুহূর্তে কিছুটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও, ফলাফল স্পষ্ট করে দেয় যে শহরের ডেমোক্রেটিক ভোটাররা লেভিনের অভিজ্ঞতাকেই বেশি বিশ্বাস করেছেন। ইউনিফর্মড ফায়ার অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটি গ্রুপ লেভিনকে সমর্থন জানায়।
বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মার্ক লেভিন বলেন, “এই জয় নিউইয়র্কবাসীর। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—নগরবাসীর ট্যাক্সের অর্থ যেন যথাযথ ও স্বচ্ছ উপায়ে ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চিত করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করব। ফেডারেল চাপ ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যেও আমাদের শহরের স্বার্থ সর্বাগ্রে রক্ষা করাই আমার অঙ্গীকার।”
মার্ক লেভিন ইতিপূর্বে সিটি কাউন্সিলে কাজ করার সময় ‘রাইট টু কাউন্সেল’ আইনসহ একাধিক সামাজিক ন্যায়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর এবং হ্যাভারফোর্ড কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আগামী সাধারণ নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে ডেমোক্রেটিক ভোটব্যাংক ও নগরবাসীর আস্থা বিবেচনায় ধরে নেওয়া যাচ্ছে, লেভিন নিউইয়র্ক সিটির ৪৪তম কম্পট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।