বাংলাদেশে আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অনেকেই এখন কোমর বেঁধে রাজপথে নামছে। বিশেষ করে, রাজপথের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি পদযাত্রা, গণমিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ, মহাসমাবেশের মতো কর্মসূচি দিয়ে নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করেছে। আগামী সেপ্টেম্বরকে টার্গেট করে তারা আরও কঠিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বলেও বিএনপি সূত্রগুলো বলছে। ঢাকামুখী কর্মসূচিকে টার্গেট করেই তারা আন্দোলনের রোডম্যাপ ঠিক করেছে। বৃহৎ অবস্থান, সচিবালয় ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন ঘেরাওসহ আরও কঠিন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে দলটি। এর সঙ্গে অন্য ডানপন্থী যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তারাও সর্বশক্তি নিয়ে মাঠ নামবে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবির আড়ালে দেশে ডান ও বামপন্থীদের মধ্যে একটি স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চীন, রাশিয়া ও ভারতের প্রভাবে এখানে বামপন্থীদের উত্থান ঘটেছে। আদর্শিক স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে বামপন্থীদের দ্বারা ডানপন্থীদের অনেকেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গত কয়েক বছরে এর বড় একটি সমীকরণ মার্কিন সরকারের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মার্কিন সরকারের যে অসন্তোষ রয়েছে, তা নানাভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারকে দুর্নীতি, ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও ঐকমত্য হচ্ছে ডানপন্থী ব্লকের বড় অংশ। এ বিষয়টি আবার বামপন্থী ব্লকের হিন্দুস্তানি অংশ ভালোভাবে নিতে পারছে না। তারা মনে করছে, শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটবে। এ জন্য তারা বিএনপিকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানেরও রাজনৈতিক মূল ভিত্তি ছিল ডানপন্থী। তাই ওপারের বামপন্থীরা শেখ হাসিনা সরকারকেই আবার ক্ষমতায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি-পুত্র তারেক রহমান দেশের ডানপন্থীদের পক্ষেই রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। নির্বাচন-পূর্ব এ ব্লকের একটি বিস্ফোরণ হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের সব ডানপন্থীই একজোট হয়ে যাবে।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্দার আড়ালে এখন পর্যন্ত ডান ব্লকের অবস্থান বেশি মজবুত বলেই অনেকে মনে করছেন। বড় দুই দলের অনেকেই বাম ব্লককে চাপে ফেলতে শক্তিশালী ডান ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। দীর্ঘ সময়ে বাম ব্লকে থেকে যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের সম্পদ যেকোনো সময় ক্রোক হতে পারে। ডানপন্থীদের হাতেই পুরোনো শক্তি আবার ফিরে যেতে পারে। ডানপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশের ওপরে ডানপন্থীদের অবস্থান। গুটিকয়েক বাম ব্লক এখানে আধিপত্য বিস্তার করে আদর্শ বাস্তবায়নে বড় একটি অংশকে জিম্মি করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই এ অবস্থানকে ভালো চোখে দেখছে না। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশির ভাগ মানুষের আদর্শের পথকে যুক্তরাষ্ট্র সাপোর্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রথমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে র্যাব ও র্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর মার্কিন প্রশাসন থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। পিটার ডি হাস বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশমুখী অভিযান আরও শক্তিশালী হয়। বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের হস্তক্ষেপ এবং নানা রকম তৎপরতা ক্রমশ চাপের পর্যায়ে চলে যায়। গত এক বছরে অন্তত ১০ জনের বেশি মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশে এসেছেন। উজরা জেয়া, ডেনাল্ড লুর মতো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। আগামী নির্বাচন-পূর্ব মুহূর্তে তাদের হস্তক্ষেপ আরও শক্তিশালী হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিকপাড়াগুলোতেও চলছে বিদেশি হস্তক্ষেপের হিসাব-নিকাশ। সাধারণ মানুষও নজর রাখছেন বিদেশিদের কর্মকাণ্ডের ওপর। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগকে তাদের পছন্দ নয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে মার্কিন সরকারকে প্রেসনোট দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হাসিনা সরকার দুর্বল হলে বাংলাদেশে ডানপন্থীদের উত্থান ঘটবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভারত এখন উপরে উপরে সরকারের পক্ষে সাফাই গাইলেও শেষবেলায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে না। ডানপন্থীদের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মার্কিন সরকার আহ্বান জানালে নীরব রাজনীতির কৌশল গ্রহণ করবে ভারত। এতেও যদি ডানপন্থী ব্লক সুবিধা করতে না পারে, তাহলে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে সূত্রের দাবি। রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক হিসাবের আড়ালে আদর্শ বাস্তবায়নের ভূ-রাজনীতিতে পড়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির হাইকমান্ডের অনেকেও এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিএনপির মধ্যে বড় একটি বামপন্থী ভর করেছে। যেকোনো সময় ডানপন্থী যুক্তরাষ্ট্র ব্লকের বিজয় ঘটলে বিএনপির অনেকেই মাইনাস হয়ে যেতে পারেন। এ শঙ্কা কাজ করছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। যারা দীর্ঘ সময় বাম ব্লকের রাজনীতি করেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নির্বাচন এলে বিদেশিরা সব সময় তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলে। তারা যাকে নিরাপদ মনে করবে, তার পক্ষ হয়ে কাজ করছে। এগুলো নতুন বিষয় নয়। এবারও দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু বললে অনেক রাজনৈতিক দল খুশি হচ্ছে। আবার ভারত কিছু বললেও কয়েকটা রাজনৈতিক দল খুশি হচ্ছে। এগুলোর প্রভাব কতটুকু পড়বে এখনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে জনগণ যেদিকে রায় দেবে, এবার তারাই বেশি শক্তিশালী হবে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দাবির আড়ালে দেশে ডান ও বামপন্থীদের মধ্যে একটি স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চীন, রাশিয়া ও ভারতের প্রভাবে এখানে বামপন্থীদের উত্থান ঘটেছে। আদর্শিক স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে বামপন্থীদের দ্বারা ডানপন্থীদের অনেকেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। গত কয়েক বছরে এর বড় একটি সমীকরণ মার্কিন সরকারের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মার্কিন সরকারের যে অসন্তোষ রয়েছে, তা নানাভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারকে দুর্নীতি, ব্যাংক খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও ঐকমত্য হচ্ছে ডানপন্থী ব্লকের বড় অংশ। এ বিষয়টি আবার বামপন্থী ব্লকের হিন্দুস্তানি অংশ ভালোভাবে নিতে পারছে না। তারা মনে করছে, শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটবে। এ জন্য তারা বিএনপিকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানেরও রাজনৈতিক মূল ভিত্তি ছিল ডানপন্থী। তাই ওপারের বামপন্থীরা শেখ হাসিনা সরকারকেই আবার ক্ষমতায় রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি-পুত্র তারেক রহমান দেশের ডানপন্থীদের পক্ষেই রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। নির্বাচন-পূর্ব এ ব্লকের একটি বিস্ফোরণ হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের সব ডানপন্থীই একজোট হয়ে যাবে।
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্দার আড়ালে এখন পর্যন্ত ডান ব্লকের অবস্থান বেশি মজবুত বলেই অনেকে মনে করছেন। বড় দুই দলের অনেকেই বাম ব্লককে চাপে ফেলতে শক্তিশালী ডান ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। দীর্ঘ সময়ে বাম ব্লকে থেকে যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের সম্পদ যেকোনো সময় ক্রোক হতে পারে। ডানপন্থীদের হাতেই পুরোনো শক্তি আবার ফিরে যেতে পারে। ডানপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশের ওপরে ডানপন্থীদের অবস্থান। গুটিকয়েক বাম ব্লক এখানে আধিপত্য বিস্তার করে আদর্শ বাস্তবায়নে বড় একটি অংশকে জিম্মি করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই এ অবস্থানকে ভালো চোখে দেখছে না। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশির ভাগ মানুষের আদর্শের পথকে যুক্তরাষ্ট্র সাপোর্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রথমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে র্যাব ও র্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর মার্কিন প্রশাসন থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়। পিটার ডি হাস বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশমুখী অভিযান আরও শক্তিশালী হয়। বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের হস্তক্ষেপ এবং নানা রকম তৎপরতা ক্রমশ চাপের পর্যায়ে চলে যায়। গত এক বছরে অন্তত ১০ জনের বেশি মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশে এসেছেন। উজরা জেয়া, ডেনাল্ড লুর মতো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। আগামী নির্বাচন-পূর্ব মুহূর্তে তাদের হস্তক্ষেপ আরও শক্তিশালী হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিকপাড়াগুলোতেও চলছে বিদেশি হস্তক্ষেপের হিসাব-নিকাশ। সাধারণ মানুষও নজর রাখছেন বিদেশিদের কর্মকাণ্ডের ওপর। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগকে তাদের পছন্দ নয়। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে মার্কিন সরকারকে প্রেসনোট দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হাসিনা সরকার দুর্বল হলে বাংলাদেশে ডানপন্থীদের উত্থান ঘটবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ভারত এখন উপরে উপরে সরকারের পক্ষে সাফাই গাইলেও শেষবেলায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে না। ডানপন্থীদের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মার্কিন সরকার আহ্বান জানালে নীরব রাজনীতির কৌশল গ্রহণ করবে ভারত। এতেও যদি ডানপন্থী ব্লক সুবিধা করতে না পারে, তাহলে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে সূত্রের দাবি। রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক হিসাবের আড়ালে আদর্শ বাস্তবায়নের ভূ-রাজনীতিতে পড়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির হাইকমান্ডের অনেকেও এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিএনপির মধ্যে বড় একটি বামপন্থী ভর করেছে। যেকোনো সময় ডানপন্থী যুক্তরাষ্ট্র ব্লকের বিজয় ঘটলে বিএনপির অনেকেই মাইনাস হয়ে যেতে পারেন। এ শঙ্কা কাজ করছে আওয়ামী লীগের মধ্যেও। যারা দীর্ঘ সময় বাম ব্লকের রাজনীতি করেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এসব বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নির্বাচন এলে বিদেশিরা সব সময় তাদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলে। তারা যাকে নিরাপদ মনে করবে, তার পক্ষ হয়ে কাজ করছে। এগুলো নতুন বিষয় নয়। এবারও দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু বললে অনেক রাজনৈতিক দল খুশি হচ্ছে। আবার ভারত কিছু বললেও কয়েকটা রাজনৈতিক দল খুশি হচ্ছে। এগুলোর প্রভাব কতটুকু পড়বে এখনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে জনগণ যেদিকে রায় দেবে, এবার তারাই বেশি শক্তিশালী হবে।