আ.লীগের নতুন ছক!

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১২:২৬ , অনলাইন ভার্সন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ তার অঙ্গসংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, এ সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগেই দিয়েছে সরকার।  
সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশকে অস্থিতিশীল করতে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নামে মাসব্যাপী কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ করতে র‌্যাব-পুলিশের পোশাকে ছিনতাই-ডাকাতি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ ও ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার বন্ধের দাবিতে ঢাকা মহানগর ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গভীর রাতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং স্বল্প পরিসরে একত্রিত হয়ে ঝটিকা মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ কর্মসূচি পালনে নির্ধারিত তারিখ ২৩ জুনের আগে ও পরে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবার গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কর্মসূচি শেষে জনসাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের গুপ্ত কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীদের। আইনশৃঙ্খলা-সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এমন পরিকল্পনার তথ্য উঠে এসেছে।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ককটেল বিস্ফোরণ, সড়কে ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর পেছনে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রতা পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে মূলত তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তবে বিষয়গুলো নজরে নিয়ে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। অতীতের মতো এবারও আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নানা সংগঠন ও আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিভাগে কর্মরত তাদের নেতাকর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিদেশে বসে জুম, হোয়াটসঅ্যাপ ও সামাজিক মাধ্যমে মিটিং করে নানা পরিকল্পনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাসহ পলাতক নেতারা। তাদের প্রধান টার্গেট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ব্যর্থ করা। আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে বেশ কিছু প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সময়কে তারা টার্গেট করেছে। এই সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করবে রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে আউট হয়ে যাওয়া দলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি চাকরিবিধি অধ্যাদেশ-২০২৫ সংশোধনের নামে যে আন্দোলন চলছে, এর নেপথ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বড় একটি অংশ, যা গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে এসেছে। তারা দেশের প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়কে উত্তপ্ত করে সব কাজ স্থবির করতে চায়। এ জন্য ঈদের ছুটির আমেজ কাটতে না কাটতেই আবার আন্দোলনে সরব হয়ে উঠেছে সেই গোষ্ঠীটি। গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ করতে ছদ্মবেশে ছিনতাই-ডাকাতি করে দলটির একশ্রেণির গুপ্ত জঙ্গি। আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখন রাজধানী ঢাকাসহ সন্নিহিত এলাকায় অবস্থান করছে। তারা উদ্বেগ-আতঙ্ক সৃষ্টিতে প্রায়ই ছোট-বড় ঘটনা তৈরি করে ওই স্থান থেকে চলে যায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পড়তে হয় প্রশ্নের মুখে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। তারা যেকোনো কর্মসূচি করলে তা অবৈধ। আর এই দলটির যেকোনো কর্মসূচির বিরুদ্ধে ডিএমপির সব ইউনিট তৎপর রয়েছে। ঝটিকা মিছিল বা যেকোনো কর্মসূচি করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ইতিমধ্যে এ ধরনের কর্মসূচিকেন্দ্রিক গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078