ইরান-ইসরাইল ইস্যুতে ভয়ঙ্কর কিছু করতে পারেন ট্রাম্প!

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১৫:৪৪ , অনলাইন ভার্সন
কানাডায় চলমান জি-৭ সম্মেলন শেষ না করেই দেশে ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই পথ অবলম্বন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের দ্রুত দেশে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আজ ১৭ জুন (মঙ্গলবার) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 
 
বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের তড়িঘড়ি করে কানাডা থেকে দেশে ফেরার বিষয় এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ফিরে আসার কারণ হচ্ছে মধ্যপাচ্যে চলমান ঘটনা। ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটনে ফেরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

তবে দেশে ফেরার আগে সোমবার ট্রাম্প তার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, অবিলম্বে তেহরানের বাসিন্দাদের শহরটি ছাড়তে হবে। তবে তিনি কেন এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। 

ট্রাম্পের কানাডা ত্যাগের পর জি-৭ নেতারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি উল্টো ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন।
 
বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান 'আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসের প্রধান উৎস'। 

এদিকে আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জানিয়েছেন তার দেশে ফেরার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কোনও সম্পর্ক নেই। এ ছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর দাবিকে ভুল বলেছেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্প বলেছেন, প্রচারণার জন্য ম্যাক্রো ভুল করে বলেছেন যে আমি ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করার জন্য জি-৭ সম্মেলন ত্যাগ করেছি। এটা ভুল! তার কোনও ধারণা নেই আমি ওয়াশিংটনে কেন ফিরছি। তবে অবশ্যই আমার ফেরার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কোনও সম্পর্ক নেই। 

ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অনেক বড় কিছু হতে যাচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি কিছু। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দ্রুত দেশে ফেরার একটি কারণ হতে পারে যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে।

কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েল জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। 

এদিকে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ছাড়া ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে পারবে না ইসরায়েল। 

ওয়াশিংটন ডিসির স্টিমসন সেন্টার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশিষ্ট ফেলো বারবারা স্লাভিন আল-জাজিরাকে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলের মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। 

এর আগে গতকাল মেরিট টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লিটার। তিনি বলেছেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার জন্য প্রয়োজনীয় বোমা কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই আছে। 

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078