প্রধান উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এর তীব্র বিরোধিতা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জোর দাবি করে দলের নেতাকর্মীদের সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে বলেছে। সম্প্রতি জাপান সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি দল ছাড়া কেউ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না। প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য বিএনপি শিবিরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মতে, একমাত্র ড. ইউনূস ছাড়া সবাই ডিসেম্বরে নির্বাচন চান।
দেশে ফিরে অবশ্য প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, ক্ষমতায় এসে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন সেই ঘোষণা থেকে তিনি সরে গেলেন কেন? কী এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে সরকারের সদিচ্ছা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে বলেই ডিসেম্বর পরবর্তী এপ্রিলে চার মাসের ব্যবধান মেনে নিতে পারছে না অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তাদের আশঙ্কা, সরকারের নেপথ্যের শক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন। কোনো না কোনো ছুতোয় নির্বাচন যতটা সম্ভব আরও পিছিয়ে নিতে চায় তারা। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে আগ্রহী নয়। শেখ হাসিনা ও তার সরকার বিগত সংসদে আইন করে অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা অধিগ্রহণ সর্বোচ্চ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে সাংবিধানিক বিধান করে গেছে। দৃশ্যত এটি বড় অন্তরায় হলেও সেনাবাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে আদৌ উৎসাহীই নয় বলে জানা যায়। বিরোধী শক্তি বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে দেশ রক্ষায় বিকল্প কী থাকবে? অপর রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অসাংবিধানিক দেশি-বিদেশি শক্তির সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার আজন্মলালিত স্বপ্ন পূরণে পিছপা হবে না। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে মনে করাও যায় না। তারা কখন কার স্বার্থে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, উৎকণ্ঠাভরে তার প্রতীক্ষায় থাকতে হবে! অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারসহ সব পক্ষই কঠিন সংকটে।
দেশে ফিরে অবশ্য প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, ক্ষমতায় এসে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন সেই ঘোষণা থেকে তিনি সরে গেলেন কেন? কী এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে সরকারের সদিচ্ছা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে বলেই ডিসেম্বর পরবর্তী এপ্রিলে চার মাসের ব্যবধান মেনে নিতে পারছে না অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তাদের আশঙ্কা, সরকারের নেপথ্যের শক্তির উদ্দেশ্য ভিন্ন। কোনো না কোনো ছুতোয় নির্বাচন যতটা সম্ভব আরও পিছিয়ে নিতে চায় তারা। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা নিতে আগ্রহী নয়। শেখ হাসিনা ও তার সরকার বিগত সংসদে আইন করে অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতা অধিগ্রহণ সর্বোচ্চ দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে সাংবিধানিক বিধান করে গেছে। দৃশ্যত এটি বড় অন্তরায় হলেও সেনাবাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে আদৌ উৎসাহীই নয় বলে জানা যায়। বিরোধী শক্তি বিএনপি নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে দেশ রক্ষায় বিকল্প কী থাকবে? অপর রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অসাংবিধানিক দেশি-বিদেশি শক্তির সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার আজন্মলালিত স্বপ্ন পূরণে পিছপা হবে না। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে মনে করাও যায় না। তারা কখন কার স্বার্থে কী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, উৎকণ্ঠাভরে তার প্রতীক্ষায় থাকতে হবে! অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারসহ সব পক্ষই কঠিন সংকটে।