
ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহে জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হলেও এলাকার লোকজন সময়মতো নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না, পেতে অনাকাঙ্খিত হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের অধিকাংশই অকার্যকর হয়ে পড়েছে, জনস্বার্থে ভূমিকা রাখতে পারছে না।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা গ্রামের সাধারণ মানুষ। ৪ হাজার ৫৮০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন এখনো পলাতক। মেম্বার, সংরক্ষিত আসনের সদস্যরাসহ ১৮ হাজার প্রতিনিধি অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের প্রায় সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদাধিকারী বা স্থানীয় নেতা বা সমর্থক। গ্রেফতার হওয়া, হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে এরা পরিষদে আসনে না। প্যানেল চেয়ারম্যানরাও একই কারণে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক যোগ্য মানুষ পাওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি স্থানীয় প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহের শূন্য পদসমূহে অস্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের শূন্য পদে যথাযোগ্য লোকদের দায়িত্ব দিতে পারেনি। কারণ তারা লোকই খুঁজে পাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন এতে আগ্রহী হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে গ্রামের মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও এখন তাদের দায়িত্ব না নিতে সৃষ্ট অনাগ্রহ স্থানীয় প্রশাসনকেও বিস্মিত করেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার বিগত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ করেছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তারা কার্যকালের একটা নির্দিষ্ট সময় স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহে কাজ করেন। এলাকার মানুষ সব সময়ের জন্য তাদের না পাওয়ায় নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় কাউন্সিলর না থাকায় স্থানীয় অধিবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছোট, সাধারণ সেবার জন্যও কয়েক দিন আসতে হয়। এতে মানুষের মধ্যে হতাশা, অসন্তোষও বাড়ছে। শিক্ষা, পানি সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালি, ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন, স্বাস্থ্যসেবা, বাজার মনিটরিং, সড়ক সংস্কার, নির্মাণকাজ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি ও উন্নয়নে কাউন্সিলর, মেয়রদের সরেজমিন দায়িত্ব পালন করতেও দেখা যেত। এখন তা পাচ্ছেন না নগরবাসী, দেশের মানুষ।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা গ্রামের সাধারণ মানুষ। ৪ হাজার ৫৮০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন এখনো পলাতক। মেম্বার, সংরক্ষিত আসনের সদস্যরাসহ ১৮ হাজার প্রতিনিধি অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের প্রায় সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদাধিকারী বা স্থানীয় নেতা বা সমর্থক। গ্রেফতার হওয়া, হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে এরা পরিষদে আসনে না। প্যানেল চেয়ারম্যানরাও একই কারণে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক যোগ্য মানুষ পাওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি স্থানীয় প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহের শূন্য পদসমূহে অস্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের শূন্য পদে যথাযোগ্য লোকদের দায়িত্ব দিতে পারেনি। কারণ তারা লোকই খুঁজে পাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন এতে আগ্রহী হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে গ্রামের মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও এখন তাদের দায়িত্ব না নিতে সৃষ্ট অনাগ্রহ স্থানীয় প্রশাসনকেও বিস্মিত করেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার বিগত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ করেছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তারা কার্যকালের একটা নির্দিষ্ট সময় স্থানীয় সরকার সংস্থাসমূহে কাজ করেন। এলাকার মানুষ সব সময়ের জন্য তাদের না পাওয়ায় নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় কাউন্সিলর না থাকায় স্থানীয় অধিবাসীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ছোট, সাধারণ সেবার জন্যও কয়েক দিন আসতে হয়। এতে মানুষের মধ্যে হতাশা, অসন্তোষও বাড়ছে। শিক্ষা, পানি সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালি, ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন, স্বাস্থ্যসেবা, বাজার মনিটরিং, সড়ক সংস্কার, নির্মাণকাজ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি ও উন্নয়নে কাউন্সিলর, মেয়রদের সরেজমিন দায়িত্ব পালন করতেও দেখা যেত। এখন তা পাচ্ছেন না নগরবাসী, দেশের মানুষ।