
স্টার্টআপ, ব্লু ইকোনমি, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে উৎসাহ দিতে বরাদ্দ ও কর ছাড়ের বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে একাধিক উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণায় বরাদ্দ
সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গবেষণা কার্যক্রমে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর এই গবেষণার লক্ষ্য হবে সমুদ্রসম্পদ, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতে নতুন উদ্ভাবনের পথ খোঁজা।
জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ঠেকাতে নানা ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। এর আওতায় গণমাধ্যমের জলবায়ু সংবেদনশীলতা ও তথ্য উপস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার কথাও বলেছেন উপদেষ্টা।
স্টার্টআপের জন্য শতকোটি টাকার তহবিল
নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল। এই তহবিলের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তা এবং ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
আইসিটি খাতে কর ছাড় ও ভ্যাট অব্যাহতি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সহায়তা দিতে কর কাঠামোতেও বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। ইন্টারনেট সেবার উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ডিজিটাল সংযোগকে আরও সাশ্রয়ী করতে সহায়তা করবে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরে ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রযুক্তিপণ্য আরও সাশ্রয়ী করতে পারে।
অনলাইনে পণ্যের বিক্রয় কমিশনের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে।
মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন
মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে এই ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাজার দরে কোন প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, মোবাইল হ্যান্ড সেটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কমানোর কোন প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না। বেশিরভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। তাই আমার ধারণা, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে কর ছাড়
দেশে ই-বাইক উৎপাদনে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট এবং লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারির উৎপাদনে ভ্যাট ২০২৭ সাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি ও ২০২৮ থেকে ৫ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এসি ও কম্প্রেসরের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০২৮ সাল পর্যন্ত মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
ঠিকানা/এসআর
ব্লু ইকোনমি নিয়ে গবেষণায় বরাদ্দ
সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গবেষণা কার্যক্রমে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর এই গবেষণার লক্ষ্য হবে সমুদ্রসম্পদ, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতে নতুন উদ্ভাবনের পথ খোঁজা।
জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ঠেকাতে নানা ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। এর আওতায় গণমাধ্যমের জলবায়ু সংবেদনশীলতা ও তথ্য উপস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার কথাও বলেছেন উপদেষ্টা।
স্টার্টআপের জন্য শতকোটি টাকার তহবিল
নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল। এই তহবিলের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তা এবং ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
আইসিটি খাতে কর ছাড় ও ভ্যাট অব্যাহতি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সহায়তা দিতে কর কাঠামোতেও বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব এসেছে। ইন্টারনেট সেবার উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ডিজিটাল সংযোগকে আরও সাশ্রয়ী করতে সহায়তা করবে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের টার্নওভার কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরে ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রযুক্তিপণ্য আরও সাশ্রয়ী করতে পারে।
অনলাইনে পণ্যের বিক্রয় কমিশনের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে।
মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজন
মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে এই ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাজার দরে কোন প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, মোবাইল হ্যান্ড সেটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা কমানোর কোন প্রভাব ভোক্তা পর্যায়ে পড়বে না। বেশিরভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রায় ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে এবং ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে এত বেশি ব্যয় হয় না। তাই আমার ধারণা, ব্যবসায়িক পর্যায়েও এর কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে না।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে কর ছাড়
দেশে ই-বাইক উৎপাদনে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট এবং লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারির উৎপাদনে ভ্যাট ২০২৭ সাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি ও ২০২৮ থেকে ৫ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব এসেছে। এছাড়া রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এসি ও কম্প্রেসরের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০২৮ সাল পর্যন্ত মওকুফের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
ঠিকানা/এসআর