সংবাদ মাধ্যমের ‘রেফারেল ট্রাফিক’ কমিয়ে দিচ্ছে ফেইসবুক

প্রকাশ : ২০ অগাস্ট ২০২৩, ১০:৪২ , অনলাইন ভার্সন
অন্য কোনো সাইট বা প্লাটফর্ম থেকে কাঙ্ক্ষিত ডোমেইনে প্রবেশ করলে সেটাকে রেফারেল ট্রাফিক হিসেবে ধরা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদ মাধ্যমের ব্যবসায় লাগাম টানছে ফেইসবুক। মেটার এই কোম্পানি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে ধীরে ধীরে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে, যার ফলে সংবাদ কোম্পানিগুলোর ‘রেফারেল ট্রাফিক’ কমে গেছে নাটকীয়ভাবে।

ফেইসবুকের নীতি পরিবর্তনে এই সমস্যায় পড়া বেশ কয়েকজন সংবাদ প্রকাশক সিএনএনকে এমনটাই জানিয়েছেন।

প্রকাশকরা দেখছেন, ফেইসবুকের ওই পদক্ষেপে মিডিয়া কোম্পানিগুলোর দৈনন্দিন ট্রাফিক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমছে। অন্যদিকে যারা কেবল সংবাদভিত্তিক কনটেন্টই বেশি তৈরি করে, তাদের বেলায় এই ক্ষতি আরও স্পষ্ট।

সিএনএনকে এক প্রকাশক বলেন, বছরের ব্যবধানে তারা রেফারেল ট্রাফিকে ৩০ শতাংশের বেশি হ্রাস দেখেছেন। আরকেজন বলছেন, রেফারেল ট্রাফিক প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে।

এই দুই প্রকাশকই অনেক বেশি লাইফস্টাইল কনটেন্ট তৈরি করেন। যারা ‘হার্ড নিউজ’ কনটেন্ট তৈরি করেন, রেফারেল ট্রাফিকে তারা আরও বেশি পতন দেখেছেন।

সরাসরি ওয়েবসাইটে না ঢুকে বা গুগলে সার্চ না করে অন্য কোনো সাইট থেকে কাঙ্ক্ষিত ডোমেইন বা সাইটে প্রবেশ করলে সেটাকে বলা হয় রেফারেল ট্রাফিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো সাইট ব্যবহারের সময়ে কোনো কনটেন্ট লিংক সামনে চলে এলে কেউ চাইলে সেই লিংকে প্রবেশ করতে পারে। এরপর সেখান থেকে বের হলে আবার আগের সাইটেই ফিরে আসে। গুগলের ট্র্যাকিং সিস্টেম এমন ভিজিটরদের ‘রেফারেল’ হিসেবে বিবেচনা করে। সংবাদ বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর কোম্পানিগুলো ইউটিএম কোড ব্যবহার করেও রেফারেল ট্রাফিক সোর্সগুলো শনাক্ত করে থাকে।

এক সংবাদ প্রকাশক বলেন, ফেইসবুক সবার ট্রাফিককে ‘ধ্বংস করে দিয়েছে’। তার মতে, প্লাটফর্মটি সমস্যা সমাধানে তার শক্তিশালী অ্যালগরিদমের উন্নয়ন ঘটালেও এই সমস্যার সমাধান করেনি। যার কারণে এক বছর আগে যা ছিল, তার চেয়ে অনেক নিচে রয়েছে রেফারেল ট্রাফিক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি একবারে কী পরিমাণ ট্রাফিক ডিজিটাল পাবলিশারদের পাঠায় সেই বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য। ফেইসবুকের সুসময়ে নিউজ আউটলেটগুলোকে ‘ফায়ারহোস’ হিসেবে বিবেচনা করা হত। আর্টিকেলগুলো নিয়মিতই তখন ভাইরাল হত ফেইসবুকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রাফিকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে ফেইসবুকনির্ভর কোম্পানিগুলো বাজারে হিমশিম খাচ্ছে। ফেইসবুকের সাম্প্রতিক এই পরিবর্তনে ইতোমধ্যে কমে যাওয়া রেফারেল ট্রাফিক আরও বেশি কমে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের এক অনুরোধে মেটার এক প্রকাশক কথা বলতে রাজি হননি জানিয়ে সিএনএন লিখেছে, বছরের পর বছর প্রকাশকদের লাগাম টানার চেষ্টার পর এটা স্পষ্ট যে, মার্ক জাকারবার্গ ও ফেইসবুক তাদের প্লাটফর্ম থেকে সংবাদ ব্যবসাকে বের করে দেওয়ার পথে হাঁটছে।

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041