মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরসহ নদীপারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫, ০২:৩৬ , অনলাইন ভার্সন
মৌলভীবাজারে গত দু-তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে তলিয়ে গেছে হাকালুকি হাওরসহ হাওর-বাঁওড় ও নদীপারের নিম্নাঞ্চল। বাড়ছে মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি।

বুধবার (২১ মে) জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যার পদধ্বনি শুরু হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু মে ২০২৫ মাসে এসে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যামুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৭ শতাংশ। অথচ বন্যার আগাম সতর্কতা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মনু নদীর ভাঙন থেকে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলাকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ২০২২ সালে ৯৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরে চর অপসারণ বাঁধ মেরামত ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজের ৭২টি প্রকল্প টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হয়।

জানা যায়, মনু নদীর বাঁধের কাজ চলছে ৪ বছর ধরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসএফের বাধা, জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ সংকট জটিলতায় ৫০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু নদীর পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশের কারণে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিশারি। গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় বন্যাকবলিতদের। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান, ওই সময় একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। তার পরও টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের গুদামঘাট নামক স্থানে প্রায় ৬০০ ফুট বাঁধ ও মিয়ারপাড়া এলাকায় ৩০০ ফুটের মতো বাঁধ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া ডেমা বিল এলাকায় ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান  আব্দুল লতিফ জানান, মনু নদীর শিকড়িয়া (ডেমা বিল) এলাকায় গত বছর ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে এখনো করা হয়নি। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকা প্রতিরক্ষা বাঁধ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শিকড়িয়ার ভাঙনটি ভরাট না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, অনেক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078