চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ার পর এটি দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জেদ্দায় সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
কয়েক বছর ধরে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর চলতি বছরের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে, তারপর থেকে এটি তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।
সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সৌদি সফরে জেদ্দা যান আব্দুল্লাহিয়ান। জেদ্দায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইবনে সৌদের সঙ্গে বেঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘সঠিক পথে আছে’ বলে মন্তব্য করেন আব্দুল্লাহিয়ান।
এর পরদিন শুক্রবার অনির্ধারিত বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি যুবরাজ।
মোহাম্মদ বিনা সালমান সৌদি আরবের যুবরাজ হলেও তিনিই প্রকৃত শাসক। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র নীতি ঢেলে সাজানো শুরু করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির ধারাবাহিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দেওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলে ইরানি প্রতিনিধি দলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ইরানের প্রেস টিভি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বহু বছর ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের তৎপরতায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবপন্থি শিয়া মুসলিম নেতাদের সঙ্গে সৌদি আরবের সুন্নি রাজ পরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তারা ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও বাহরাইনের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও যুদ্ধগুলোতে প্রভাব বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত ছিলেন।
২০১৬ সালে সৌদি আরব নিজ দেশের একজন প্রখ্যাত শিয়া আলেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করার পর ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। শিয়া আলেম শেখ নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জেরে তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানি বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনার পর তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
এরপর চলতি বছর মার্চে চীনের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
জুনের সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল তেহরান সফর করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহি রাইসি ‘উপযুক্ত সময়ে’ সৌদি আরব সফরে যাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
ঠিকানা/এসআর
কয়েক বছর ধরে তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর চলতি বছরের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় এ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়েছে, তারপর থেকে এটি তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।
সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো সৌদি সফরে জেদ্দা যান আব্দুল্লাহিয়ান। জেদ্দায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইবনে সৌদের সঙ্গে বেঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘সঠিক পথে আছে’ বলে মন্তব্য করেন আব্দুল্লাহিয়ান।
এর পরদিন শুক্রবার অনির্ধারিত বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি যুবরাজ।
মোহাম্মদ বিনা সালমান সৌদি আরবের যুবরাজ হলেও তিনিই প্রকৃত শাসক। কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র নীতি ঢেলে সাজানো শুরু করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির ধারাবাহিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দেওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলে ইরানি প্রতিনিধি দলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ইরানের প্রেস টিভি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বহু বছর ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের তৎপরতায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবপন্থি শিয়া মুসলিম নেতাদের সঙ্গে সৌদি আরবের সুন্নি রাজ পরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তারা ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও বাহরাইনের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও যুদ্ধগুলোতে প্রভাব বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত ছিলেন।
২০১৬ সালে সৌদি আরব নিজ দেশের একজন প্রখ্যাত শিয়া আলেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করার পর ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। শিয়া আলেম শেখ নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জেরে তেহরানে সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা চালায় ইরানি বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনার পর তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
এরপর চলতি বছর মার্চে চীনের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
জুনের সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল তেহরান সফর করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহি রাইসি ‘উপযুক্ত সময়ে’ সৌদি আরব সফরে যাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
ঠিকানা/এসআর