আগামী আগস্ট মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তবে পরিবর্তিত এক পরিস্থিতিতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের এই সফরটি আটকে যেতে পারে। এর পাশাপাশি সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারিত এশিয়া কাপও স্থগিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর বাকি ম্যাচগুলো আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসেই আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। আর এ কারণেই ওই সময়ে আন্তর্জাতিক সূচিতে থাকা ভারতের বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বিসিসিআই প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিতের কথা জানালেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি শিগগিরই চালুর সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। এর প্রধান কারণ হলো ৮ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের সময়ের একটি ঘটনা। ওই রাতের পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা তীব্র অস্বস্তির মধ্যে আছেন।
গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে—এমন শঙ্কার মধ্যেই ৮ মে (বৃহস্পতিবার) ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচ খেলতে নামে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচের মাঝপথে হঠাৎ করেই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঠিক ওই একই সময়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, ধর্মশালায় আকস্মিক খেলা বন্ধের পর পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড়েরা একেবারে স্তম্ভিত অবস্থায় ছিলেন এবং ৯ মে (শুক্রবার) ভোরে তাঁরা ধর্মশালা ছেড়ে যান। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এবারের আসরে আইপিএলের বাকি ১৬ ম্যাচ কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
সূচি অনুসারে চলতি মাসেই আইপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর ভারত ক্রিকেট দল জুনের প্রথম সপ্তাহে ইংল্যান্ড রওনা দেবে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে। ইংল্যান্ড সফরের পর ভারতের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ ছিল বাংলাদেশে। এখন আইপিএলের বাকি ১৬ ম্যাচ আয়োজনের জন্য সময় বের করতে হলে আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত এশিয়া কাপের সময়েই নজর দিতে হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এমনকি যদি আইপিএলের বাকি অংশ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং এশিয়া কাপের আগে শেষও হয়ে যায়, তবু এই দুটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, ধর্মশালার ঘটনার পর খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও মানসিক শান্তিই এখন বিসিসিআইয়ের প্রধান অগ্রাধিকার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থানে কোনোভাবে নমনীয় হওয়ার মনোভাব দেখাবে না।
ঠিকানা/এএস
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত স্থগিত হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর বাকি ম্যাচগুলো আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসেই আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। আর এ কারণেই ওই সময়ে আন্তর্জাতিক সূচিতে থাকা ভারতের বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বিসিসিআই প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিতের কথা জানালেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি শিগগিরই চালুর সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। এর প্রধান কারণ হলো ৮ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের সময়ের একটি ঘটনা। ওই রাতের পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা তীব্র অস্বস্তির মধ্যে আছেন।
গত মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে—এমন শঙ্কার মধ্যেই ৮ মে (বৃহস্পতিবার) ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচ খেলতে নামে পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচের মাঝপথে হঠাৎ করেই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে জানানো হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঠিক ওই একই সময়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, ধর্মশালায় আকস্মিক খেলা বন্ধের পর পাঞ্জাব ও দিল্লির খেলোয়াড়েরা একেবারে স্তম্ভিত অবস্থায় ছিলেন এবং ৯ মে (শুক্রবার) ভোরে তাঁরা ধর্মশালা ছেড়ে যান। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এবারের আসরে আইপিএলের বাকি ১৬ ম্যাচ কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে।
সূচি অনুসারে চলতি মাসেই আইপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর ভারত ক্রিকেট দল জুনের প্রথম সপ্তাহে ইংল্যান্ড রওনা দেবে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে। ইংল্যান্ড সফরের পর ভারতের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ ছিল বাংলাদেশে। এখন আইপিএলের বাকি ১৬ ম্যাচ আয়োজনের জন্য সময় বের করতে হলে আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত এশিয়া কাপের সময়েই নজর দিতে হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এমনকি যদি আইপিএলের বাকি অংশ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং এশিয়া কাপের আগে শেষও হয়ে যায়, তবু এই দুটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, ধর্মশালার ঘটনার পর খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও মানসিক শান্তিই এখন বিসিসিআইয়ের প্রধান অগ্রাধিকার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত ক্রিকেট বোর্ড এই পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থানে কোনোভাবে নমনীয় হওয়ার মনোভাব দেখাবে না।
ঠিকানা/এএস