
লন্ডন থেকে ফিরে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় উঠেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সঙ্গে আসা বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের মাহবুব ভবনে। গত কদিন ধরেই চলছিল বাড়িটির সাজসজ্জা-গোছগাছের কাজ। এটি তার বাবা সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসভবন। ১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা স্বস্তির। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের না আসা রহস্যঘন। তিনি কবে ফিরবেন বা আদৌ ফিরবেন বা ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে নানা কথা চাউর হচ্ছে। যেদিনই হোক, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে ফ্রন্টে তখন কে থাকবেন? মা খালেদা জিয়া না ছেলে তারেক রহমান? নাকি এ দুয়ের বাইরে পুত্রবধূ জুবাইদা? লন্ডন থেকে চার মাস চিকিৎসা নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিতে আসা নেতাকর্মীদের স্লোগানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় জুবাইদা রহমানের নাম।
বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে জুবাইদা রহমানের ছবিও শোভা পেতে দেখা যায়। ১৭ বছরের ‘নির্বাসিত জীবন শেষে’ জুবাইদার আগমনকেও বিশেষভাবে উদ্্যাপন করেন তারা। তার জন্য চার ধরনের স্পেশাল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা (সশস্ত্র গানম্যান, গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় পুলিশি পাহারা ও বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন) চাওয়ার মাঝে কেউ কেউ বার্তা খুঁজে নিয়েছেন। এ ধরনের নিরাপত্তা চাওয়া এবং সম্ভাষণের বিষয়টি কেবল জিয়া পরিবারের সদস্য, তারেক রহমানের স্ত্রী হিসেবে জীবনের ঝুঁকির বাইরেও তাকে দলের ভবিষ্যৎ কান্ডারি হিসেবে গড়ে তোলারও প্রক্রিয়া কি না, সেই জিজ্ঞাসা আছে। সঙ্গে নানা বিশ্লেষণও। তারেক রহমানের না ফেরা নিয়ে প্রশ্ন-বিশ্লেষণ আরও বেশি। তার আইনজীবীরা একাধিকবার বলেছেন, মামলাগুলো নিষ্পত্তি হওয়ায় তার দেশে ফিরতে বাধা নেই। তাহলে তিনি আসছেন না কেন? তার জীবন চরম ঝুঁকিতে বলে কানাঘুষা আছে। দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে, এমন একটি শঙ্কা ৫ আগস্টের পর নতুন করে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তেমন কিছু থাকলে তা মোকাবিলার রাজনৈতিক শক্তি কি বিএনপির নেই?-এ প্রশ্নেরও জবাব নেই।
নির্বাচনের দিন-তারিখের জন্য তারেক রহমানের অপেক্ষার কথাও আলোচিত। নির্বাচন সহসা হবে কি না, এ নিয়েও ক্যামোফ্লাজ ঘুরছে। তারেক রহমানের কাছে এ-সংক্রান্ত আপডেট তথ্য আরও বেশি। সরকার ও রাষ্ট্রের একটি অংশের গ্রিন সিগন্যালে ঘাটতির কথাও অন্তরালে আলোচিত। বিএনপির রাজনীতি বহু বছর ধরেই কার্যত পরিচালিত হচ্ছে লন্ডন থেকে। গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত পরিস্থিতি একরকম ছিল। এখন তাতে কিছুটা ভিন্নতা। চার মাস আগে চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, তখন নেতা-কর্মীদের অনেকের ধারণা হয়, ফেরার সময় তারেক রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরবেন। ভেতরের ঘটনাপ্রবাহ ভিন্ন। তারেক রহমান চাচ্ছেন আইনি প্রক্রিয়া (ডিউ প্রসেস অব ল’) শেষ করতে। আইনের শাসনের মাধ্যমে সেটা করতে হবে। শেখ হাসিনার মতো একটা অর্ডার দিয়ে সব মামলা বাতিলে ঝুঁকি আছে। মামলার পুরো জটিলতা এখনো কাটেনি। তার পরও ৫ আগস্টের আশীর্বাদে মা-ছেলে-স্ত্রী আজ মুক্ত। এই মা-ছেলের মিলন ঘটাতে বহু মা-ছেলের চিরবিচ্ছেদ ঘটেছে। বহু সন্তান চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে, অনেকেই অন্ধত্ব বরণ করেছে। জুলাই বিপ্লবের ফ্রন্টলাইনার শিক্ষার্থী হাসনাত, সারজিস, নাহিদরা তা বেশি বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপির কিছু লোকের চাঁদাবাজি, খবরদারি, তদবিরবাজির প্রতিবাদও করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাদের কাছে এটি অসহ্য।
নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং আগামী দিনের সরকার কাঠামো, নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছাত্রদের সংগঠন এনসিপির নেতারা। গাজীপুরে হাসনাত বা হাতিয়ায় হান্নান মাসুদের ওপর হামলায় বিএনপির জনা কয়েকের সম্পৃক্ততার ফুটেজসহ প্রমাণও তাদের হাতে। নোয়াখালীতে উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলায়ও তা-ই। কিন্তু জোর গলায় বলতে পারছে না। এর পরও অবস্থার ভয়াবহতায় মাঝেমধ্যে মুখ খুলছে। দেশের অনেক জায়গায় প্রশাসন এখন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে অভিযোগ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছে তারা। তাদের জোর দাবি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, পুলিশ, আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনকেও বাতিল করে নতুন করে গঠন করা লাগতে পারে।
এ ছাড়া তাদের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিএনপির একাত্ম না হয়ে চাতুরী-লুকোচুরির বিষয়টি ভেতরে ভেতরে এনসিপিকে কষ্ট দিচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে বিএনপির শেল্টার দেওয়ার তথ্য-প্রমাণও রয়েছে এনসিপি নেতাদের হাতে। আবার কোথাও কোথাও এনসিপি নেতাদের চাঁদাবাজি-তদবিরবাজির রেকর্ড আছে বিএনপির কাছে। এ নিয়ে কনফ্লিক্ট মারাত্মক পর্যায়ে। তা জামায়াতে ইসলামীর জন্য পুলকের। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ কম। জামায়াত বরং তাদের দখল বেহাত হয়ে যাওয়া ব্যাংক, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধার করছে।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা স্বস্তির। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের না আসা রহস্যঘন। তিনি কবে ফিরবেন বা আদৌ ফিরবেন বা ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে নানা কথা চাউর হচ্ছে। যেদিনই হোক, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে ফ্রন্টে তখন কে থাকবেন? মা খালেদা জিয়া না ছেলে তারেক রহমান? নাকি এ দুয়ের বাইরে পুত্রবধূ জুবাইদা? লন্ডন থেকে চার মাস চিকিৎসা নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিতে আসা নেতাকর্মীদের স্লোগানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাশাপাশি উচ্চারিত হয় জুবাইদা রহমানের নাম।
বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে জুবাইদা রহমানের ছবিও শোভা পেতে দেখা যায়। ১৭ বছরের ‘নির্বাসিত জীবন শেষে’ জুবাইদার আগমনকেও বিশেষভাবে উদ্্যাপন করেন তারা। তার জন্য চার ধরনের স্পেশাল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা (সশস্ত্র গানম্যান, গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন, বাসায় পুলিশি পাহারা ও বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন) চাওয়ার মাঝে কেউ কেউ বার্তা খুঁজে নিয়েছেন। এ ধরনের নিরাপত্তা চাওয়া এবং সম্ভাষণের বিষয়টি কেবল জিয়া পরিবারের সদস্য, তারেক রহমানের স্ত্রী হিসেবে জীবনের ঝুঁকির বাইরেও তাকে দলের ভবিষ্যৎ কান্ডারি হিসেবে গড়ে তোলারও প্রক্রিয়া কি না, সেই জিজ্ঞাসা আছে। সঙ্গে নানা বিশ্লেষণও। তারেক রহমানের না ফেরা নিয়ে প্রশ্ন-বিশ্লেষণ আরও বেশি। তার আইনজীবীরা একাধিকবার বলেছেন, মামলাগুলো নিষ্পত্তি হওয়ায় তার দেশে ফিরতে বাধা নেই। তাহলে তিনি আসছেন না কেন? তার জীবন চরম ঝুঁকিতে বলে কানাঘুষা আছে। দেশি-বিদেশি কোনো শক্তি তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে, এমন একটি শঙ্কা ৫ আগস্টের পর নতুন করে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তেমন কিছু থাকলে তা মোকাবিলার রাজনৈতিক শক্তি কি বিএনপির নেই?-এ প্রশ্নেরও জবাব নেই।
নির্বাচনের দিন-তারিখের জন্য তারেক রহমানের অপেক্ষার কথাও আলোচিত। নির্বাচন সহসা হবে কি না, এ নিয়েও ক্যামোফ্লাজ ঘুরছে। তারেক রহমানের কাছে এ-সংক্রান্ত আপডেট তথ্য আরও বেশি। সরকার ও রাষ্ট্রের একটি অংশের গ্রিন সিগন্যালে ঘাটতির কথাও অন্তরালে আলোচিত। বিএনপির রাজনীতি বহু বছর ধরেই কার্যত পরিচালিত হচ্ছে লন্ডন থেকে। গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত পরিস্থিতি একরকম ছিল। এখন তাতে কিছুটা ভিন্নতা। চার মাস আগে চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন লন্ডনে যান, তখন নেতা-কর্মীদের অনেকের ধারণা হয়, ফেরার সময় তারেক রহমানকে নিয়ে দেশে ফিরবেন। ভেতরের ঘটনাপ্রবাহ ভিন্ন। তারেক রহমান চাচ্ছেন আইনি প্রক্রিয়া (ডিউ প্রসেস অব ল’) শেষ করতে। আইনের শাসনের মাধ্যমে সেটা করতে হবে। শেখ হাসিনার মতো একটা অর্ডার দিয়ে সব মামলা বাতিলে ঝুঁকি আছে। মামলার পুরো জটিলতা এখনো কাটেনি। তার পরও ৫ আগস্টের আশীর্বাদে মা-ছেলে-স্ত্রী আজ মুক্ত। এই মা-ছেলের মিলন ঘটাতে বহু মা-ছেলের চিরবিচ্ছেদ ঘটেছে। বহু সন্তান চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে, অনেকেই অন্ধত্ব বরণ করেছে। জুলাই বিপ্লবের ফ্রন্টলাইনার শিক্ষার্থী হাসনাত, সারজিস, নাহিদরা তা বেশি বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপির কিছু লোকের চাঁদাবাজি, খবরদারি, তদবিরবাজির প্রতিবাদও করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাদের কাছে এটি অসহ্য।
নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং আগামী দিনের সরকার কাঠামো, নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছাত্রদের সংগঠন এনসিপির নেতারা। গাজীপুরে হাসনাত বা হাতিয়ায় হান্নান মাসুদের ওপর হামলায় বিএনপির জনা কয়েকের সম্পৃক্ততার ফুটেজসহ প্রমাণও তাদের হাতে। নোয়াখালীতে উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলায়ও তা-ই। কিন্তু জোর গলায় বলতে পারছে না। এর পরও অবস্থার ভয়াবহতায় মাঝেমধ্যে মুখ খুলছে। দেশের অনেক জায়গায় প্রশাসন এখন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে অভিযোগ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলেও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছে তারা। তাদের জোর দাবি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, পুলিশ, আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনকেও বাতিল করে নতুন করে গঠন করা লাগতে পারে।
এ ছাড়া তাদের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিএনপির একাত্ম না হয়ে চাতুরী-লুকোচুরির বিষয়টি ভেতরে ভেতরে এনসিপিকে কষ্ট দিচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদেরকে বিএনপির শেল্টার দেওয়ার তথ্য-প্রমাণও রয়েছে এনসিপি নেতাদের হাতে। আবার কোথাও কোথাও এনসিপি নেতাদের চাঁদাবাজি-তদবিরবাজির রেকর্ড আছে বিএনপির কাছে। এ নিয়ে কনফ্লিক্ট মারাত্মক পর্যায়ে। তা জামায়াতে ইসলামীর জন্য পুলকের। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ কম। জামায়াত বরং তাদের দখল বেহাত হয়ে যাওয়া ব্যাংক, বিমা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধার করছে।