পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপ নিল ভারত

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫, ১৫:৩৩ , অনলাইন ভার্সন
চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবারও পদক্ষেপ নিল ভারত। এবার পাকিস্তান থেকে সব ধরনের মালামাল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদির সরকার জানিয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ। এ ছাড়া ভারতের বন্দরে পাকিস্তানি কোনো জাহাজ ভিড়তে পারবে না।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানিকৃত সমস্ত পণ্যের সরাসরি বা পরোক্ষ আমদানি বা ট্রানজিট, তা মুক্তভাবে আমদানিযোগ্য হোক বা অন্যথায় অনুমোদিত হোক- জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। যতক্ষণ না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হয় তা কার্যকর থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যতিক্রমের জন্য ভারত সরকারের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হবে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একমাত্র বাণিজ্যপথ ওয়াঘা-আটারি ক্রসিং পেহেলগাম হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরও পাকিস্তান থেকে পরোক্ষ আমদানি চালু ছিল।

পাকিস্তান থেকে আমদানি পণ্য মূলত ওষুধ, ফল এবং তৈলবীজ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকে কয়েক বছর ধরে তা হ্রাস পেয়েছে। আমদানি কমার আরও একটি কারণ হলো, ভারত পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২০০% শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে ২০২৪-২৫ সালে ভারতের মোট আমদানির ০.০০০১% এরও কম ছিল পাকিস্তানি পণ্য।

এদিকে ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানে বিতরণ করা ঋণ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। ২ মে (শুক্রবার) ভারতীয় সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা পেল।

সূত্র বলছে, গত বছর পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে। মার্চ মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ঋণ পেয়েছে।

এই প্রোগ্রামটি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পাকিস্তান বলেছে, এ ঋণ তাদের অনেক অর্থনৈতিক হুমকি এড়াতে সাহায্য করেছে।

কিন্তু ভারত পাকিস্তানের ঋণ বন্ধে তদবির শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনার অনুরোধ করেছে। দেশটি চায় না পাকিস্তান এ ধরনের বিদেশি ঋণ পাক। নয়াদিল্লির একটি সরকারি সূত্র বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে রয়টার্সকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078