ড. রফিকুল ইসলাম
বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের কিছু অভ্যাস থাকবেই, যা তাদেরকে বুদ্ধিমান করে তোলে। আপনিও হয়তোবা বুদ্ধিমান অথবা বুদ্ধিমান হতে চলছেন। মিলিয়ে নিন আপনারটি আর অভ্যাস করুন বুদ্ধিমান হওয়ার। মনে রাখবেন, ভালো অভ্যাস আপনাকে ভালো কিছু দেবেই। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই দুনিয়ার সবকিছুর স্বাদ বেশি পেয়ে থাকে।
দুনিয়ায় এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা বাকিদের থেকে আলাদা হন, বিশেষ হন। কিছু লক্ষণ আছে বা বলা যায় কিছু অভ্যাস, যা মেধাবী, বুদ্ধিমান, চালাক ব্যক্তিরা মেনে চলেন। আপনিও কি জিনিয়াস মানুষের ক্যাটাগরিতে পড়েন? দেখে নিন।
গভীর রাতে জেগে থাকার অভ্যাস : বেশির ভাগ জিনিয়াসের গভীর রাতে জেগে থাকার অভ্যাস থাকে। কিছু না কিছু পড়া বা চিন্তা করা একটি অভ্যাস। ইতিহাস সাক্ষী আছে, বেশির ভাগ প্রতিভাবান মানুষেরই অনিদ্রা অর্থাৎ নিদ্রাহীনতার রোগ ছিল। অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তির আত্মজীবনীতে দেখা যায়, তাদের সবার মধ্যে একটি জিনিস মিল ছিল। অর্থাৎ তাদের ঘুমের ব্যাধি ছিল বা তারা রাতে খুব কম ঘুমাতেন।
বিজ্ঞান, খেলাধুলা, ব্যবসা, রাজনীতি বা শিল্পকলার ক্ষেত্রে অনেক মহান ব্যক্তির খুব কম ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। সারাক্ষণ কিছু করার আবেগ ও চিন্তা তাদের ঘুমোতে দেয় না। নিকোলা টেসলা, যার দৌলতে আপনার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, তিনি দিনে মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমাতেন। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, যিনি মোনালিসার দুর্দান্ত চিত্রকর্মটি তৈরি করেছিলেন, তিনি দিনে মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমাতেন।
ভুলে যাওয়া বা সাধারণ জিনিস মনে না রাখা : আপনি কি তালা, চাবি বা ছোটখাটো কোনো জিনিস কখন, কোথায় রেখেছেন ভুলে যান? তাহলে জেনে খুশি হবেন যে অনেক বুদ্ধিমান লোকেরই ভুলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল। ফরগেটিং নামের প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ ছোট ছোট জিনিস মনে রাখেন না।
আপনি যদি সবকিছুতে ফোকাস করেন, তবে আপনি কোনো একটি বিষয়ে ফোকাস করতে পারবেন না। মহান প্রতিভা আইনস্টাইনের স্মৃতিশক্তিও খুব একটা ভালো ছিল না। এমনকি তারিখ ও ফোন নম্বরও মনে করতে পারছিলেন না। একবার ট্যাক্সিতে বসে নিজের বাড়ির ঠিকানাও ভুলে গিয়েছিলেন।
ঘুমানোর আগে চিন্তা করা : ঘুমানোর আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকলে তাও জিনিয়াস হওয়ার লক্ষণ। আজ কী হলো, কাল কী হবে, ঘুমানোর আগে এসব ভাবার অভ্যাস। সাধারণ মানুষ বিছানায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে, যেখানে প্রতিভাবান মানুষের মন সারাক্ষণ ছুটতে থাকে এবং তারা বিছানায়ও অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করে।
নিজের সঙ্গে কথা বলা : আপনি যখন নিজের সঙ্গে কথা বলেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, অনেক সময় মনের কথা বলা হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেতে এবং মনে রাখতে খুব সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়।
অভিনবত্ব : নতুন জিনিস দেখার ইচ্ছা, নতুন জিনিস অন্বেষণ করতে থাকুন। বুদ্ধিমানদের এই ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
এককথায়, আপনি পাঁচটি ইন্দ্রিয় (সাউন্ড, সাইট, স্মেল, টেস্ট, টাস) যত বেশি খোলা রাখবেন, যত বেশি ব্যবহার করবেন, আপনার তত বেশি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় উন্মুক্ত হতে থাকবে। আর আপনিও তত বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবেন।
বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের কিছু অভ্যাস থাকবেই, যা তাদেরকে বুদ্ধিমান করে তোলে। আপনিও হয়তোবা বুদ্ধিমান অথবা বুদ্ধিমান হতে চলছেন। মিলিয়ে নিন আপনারটি আর অভ্যাস করুন বুদ্ধিমান হওয়ার। মনে রাখবেন, ভালো অভ্যাস আপনাকে ভালো কিছু দেবেই। আর বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই দুনিয়ার সবকিছুর স্বাদ বেশি পেয়ে থাকে।
দুনিয়ায় এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা বাকিদের থেকে আলাদা হন, বিশেষ হন। কিছু লক্ষণ আছে বা বলা যায় কিছু অভ্যাস, যা মেধাবী, বুদ্ধিমান, চালাক ব্যক্তিরা মেনে চলেন। আপনিও কি জিনিয়াস মানুষের ক্যাটাগরিতে পড়েন? দেখে নিন।
গভীর রাতে জেগে থাকার অভ্যাস : বেশির ভাগ জিনিয়াসের গভীর রাতে জেগে থাকার অভ্যাস থাকে। কিছু না কিছু পড়া বা চিন্তা করা একটি অভ্যাস। ইতিহাস সাক্ষী আছে, বেশির ভাগ প্রতিভাবান মানুষেরই অনিদ্রা অর্থাৎ নিদ্রাহীনতার রোগ ছিল। অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তির আত্মজীবনীতে দেখা যায়, তাদের সবার মধ্যে একটি জিনিস মিল ছিল। অর্থাৎ তাদের ঘুমের ব্যাধি ছিল বা তারা রাতে খুব কম ঘুমাতেন।
বিজ্ঞান, খেলাধুলা, ব্যবসা, রাজনীতি বা শিল্পকলার ক্ষেত্রে অনেক মহান ব্যক্তির খুব কম ঘুমানোর অভ্যাস ছিল। সারাক্ষণ কিছু করার আবেগ ও চিন্তা তাদের ঘুমোতে দেয় না। নিকোলা টেসলা, যার দৌলতে আপনার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, তিনি দিনে মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমাতেন। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, যিনি মোনালিসার দুর্দান্ত চিত্রকর্মটি তৈরি করেছিলেন, তিনি দিনে মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমাতেন।
ভুলে যাওয়া বা সাধারণ জিনিস মনে না রাখা : আপনি কি তালা, চাবি বা ছোটখাটো কোনো জিনিস কখন, কোথায় রেখেছেন ভুলে যান? তাহলে জেনে খুশি হবেন যে অনেক বুদ্ধিমান লোকেরই ভুলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল। ফরগেটিং নামের প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ ছোট ছোট জিনিস মনে রাখেন না।
আপনি যদি সবকিছুতে ফোকাস করেন, তবে আপনি কোনো একটি বিষয়ে ফোকাস করতে পারবেন না। মহান প্রতিভা আইনস্টাইনের স্মৃতিশক্তিও খুব একটা ভালো ছিল না। এমনকি তারিখ ও ফোন নম্বরও মনে করতে পারছিলেন না। একবার ট্যাক্সিতে বসে নিজের বাড়ির ঠিকানাও ভুলে গিয়েছিলেন।
ঘুমানোর আগে চিন্তা করা : ঘুমানোর আগে চিন্তা করার অভ্যাস থাকলে তাও জিনিয়াস হওয়ার লক্ষণ। আজ কী হলো, কাল কী হবে, ঘুমানোর আগে এসব ভাবার অভ্যাস। সাধারণ মানুষ বিছানায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে, যেখানে প্রতিভাবান মানুষের মন সারাক্ষণ ছুটতে থাকে এবং তারা বিছানায়ও অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করে।
নিজের সঙ্গে কথা বলা : আপনি যখন নিজের সঙ্গে কথা বলেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, অনেক সময় মনের কথা বলা হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেতে এবং মনে রাখতে খুব সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়।
অভিনবত্ব : নতুন জিনিস দেখার ইচ্ছা, নতুন জিনিস অন্বেষণ করতে থাকুন। বুদ্ধিমানদের এই ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
এককথায়, আপনি পাঁচটি ইন্দ্রিয় (সাউন্ড, সাইট, স্মেল, টেস্ট, টাস) যত বেশি খোলা রাখবেন, যত বেশি ব্যবহার করবেন, আপনার তত বেশি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় উন্মুক্ত হতে থাকবে। আর আপনিও তত বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবেন।