করোনার অভিশাপ থেকে বুঝি মানবসভ্যতার নিস্তার নেই। ২০১৯ থেকে বিশ্বজুড়ে মহামারি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে। জন্মস্থান চীনের উহান প্রদেশ। তারপর মানুষের ধারণা ও প্রত্যাশা ছাপিয়ে সেই কোভিড-১৯ বিশ্বকে গ্রাস করতে শুরু করে। এরপর মানুষের ধারণাকে আরও পশ্চাতে ফেলে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর উৎসব শুরু হয়ে যায়। একশ ছাড়িয়ে পাঁচশ, পাঁচশ ছাড়িয়ে হাজার, হাজার ছাড়িয়ে লাখ এবং লাখ ছাড়িয়ে কোটি ছুঁই-ছুঁই। আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবের বাইরে। মানুষ দিশেহারা। ধনী-নির্ধন একাকার। প্রিয়জনকে শেষ দেখার সুযোগ মেলেনি। অনেকেই জায়গা পায়নি গোরস্থানে, শ্মশানে।
গোরস্থানে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই। শ্মশানে লাশ সৎকারের উপকরণের অভাব। লাশের গন্ধ আকাশে-বাতাসে। আকাশ-বাতাস ভারী স্বজন হারানোদের বুকফাটা হাহাকারে। কত কত প্রিয় মানুষ চোখের সামনে হারিয়ে গেল। যাদের স্মৃতি বুকে নিয়ে প্রিয়জনেরা আজও অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চলেছেন।
এরপর আশার আলো জ্বালিয়ে বিজ্ঞানীরা সফল হলেন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নাম। এফডিএর অনুমোদন সাপেক্ষে শুরু হলো ব্যবহার। ফলপ্রসূ হলো। স্বস্তি পেল মানুষ। আস্তে আস্তে বল হারাল কোভিড। ভ্যাকসিনের কোর্স শেষ হওয়ার পর প্রকোপ কমতে থাকল। কোভিডকালে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, একে একে তা প্রত্যাহার হতে থাকল। তবে কোভিড একেবারে গেল না, কোভিড নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেল। আস্তে আস্তে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসতে লাগল। রাস্তা-ঘাটে, কাজে-কর্মে মানুষের চলাচল বাড়তে লাগল। রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে আবারও জমতে শুরু করল আড্ডা। খরিদ্দারের ভিড়।
কোভিড সম্পূর্ণরূপে বিদায় না নিলেও মানুষের মন থেকে কোভিডের দুঃস্বপ্ন কেটে গেল। কিন্তু হায়, ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’। নতুন আতঙ্কের খবর, অন্য চরিত্র নিয়ে আবার ফিরে আসছে করোনা। নিউইয়র্কে করোনার এই নতুন খবর নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ঠিকানার ৯ আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত খবরে নতুন করে এই আতঙ্কের কথা বলা হয়েছে। শিরোনাম ‘নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ছে/নতুন আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক’।
খবরটিতে বলা হয়েছে, করোনা সম্পূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আগেই আবার নতুন করে ফিরে এসেছে। নিউইয়র্ক স্টেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার আকাশছোঁয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নিউইয়র্ক স্টেটে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নিউইয়র্কজুড়ে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালসমূহে ভর্তির হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত আগের সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালসমূহে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ। নিউইয়র্ক স্টেটের স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু আমরা স্টেটে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি লক্ষ করছি, আমি সকল নিউইয়র্কবাসীকে অনুরোধ করছি, কোভিড একটি চিকিৎসাযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য রোগ। কোভিড পরীক্ষাগুলোও ব্যবহার করা সহজ এবং একইভাবে নির্ভুল। আপনি কোভিড পজিটিভ হলে চিকিৎসার বিষয়ে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলুন। এই উদ্যোগ আপনার হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে।’
উল্লেখ্য, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনার ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই আশঙ্কা ও উদ্বেগজনক।
এ কথা সত্য যে কোভিড নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, যদি আপনি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাসেবকের শরণাপন্ন হন এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করেন। মনে রাখবেন, ‘সময়ের এক ফোঁড়, আর অসময়ের দশ ফোঁড়।’ তাই সতর্ক হয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই। তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক হয়ে চলুন। আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাস্ক পরুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন।
গোরস্থানে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই। শ্মশানে লাশ সৎকারের উপকরণের অভাব। লাশের গন্ধ আকাশে-বাতাসে। আকাশ-বাতাস ভারী স্বজন হারানোদের বুকফাটা হাহাকারে। কত কত প্রিয় মানুষ চোখের সামনে হারিয়ে গেল। যাদের স্মৃতি বুকে নিয়ে প্রিয়জনেরা আজও অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চলেছেন।
এরপর আশার আলো জ্বালিয়ে বিজ্ঞানীরা সফল হলেন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নাম। এফডিএর অনুমোদন সাপেক্ষে শুরু হলো ব্যবহার। ফলপ্রসূ হলো। স্বস্তি পেল মানুষ। আস্তে আস্তে বল হারাল কোভিড। ভ্যাকসিনের কোর্স শেষ হওয়ার পর প্রকোপ কমতে থাকল। কোভিডকালে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, একে একে তা প্রত্যাহার হতে থাকল। তবে কোভিড একেবারে গেল না, কোভিড নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেল। আস্তে আস্তে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসতে লাগল। রাস্তা-ঘাটে, কাজে-কর্মে মানুষের চলাচল বাড়তে লাগল। রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে আবারও জমতে শুরু করল আড্ডা। খরিদ্দারের ভিড়।
কোভিড সম্পূর্ণরূপে বিদায় না নিলেও মানুষের মন থেকে কোভিডের দুঃস্বপ্ন কেটে গেল। কিন্তু হায়, ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’। নতুন আতঙ্কের খবর, অন্য চরিত্র নিয়ে আবার ফিরে আসছে করোনা। নিউইয়র্কে করোনার এই নতুন খবর নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ঠিকানার ৯ আগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত খবরে নতুন করে এই আতঙ্কের কথা বলা হয়েছে। শিরোনাম ‘নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়ছে/নতুন আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক’।
খবরটিতে বলা হয়েছে, করোনা সম্পূর্ণভাবে বিদায় নেওয়ার আগেই আবার নতুন করে ফিরে এসেছে। নিউইয়র্ক স্টেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার আকাশছোঁয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নিউইয়র্ক স্টেটে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নিউইয়র্কজুড়ে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালসমূহে ভর্তির হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত আগের সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালসমূহে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ। নিউইয়র্ক স্টেটের স্বাস্থ্য কমিশনার ডা. জেমস ম্যাকডোনাল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু আমরা স্টেটে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি লক্ষ করছি, আমি সকল নিউইয়র্কবাসীকে অনুরোধ করছি, কোভিড একটি চিকিৎসাযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য রোগ। কোভিড পরীক্ষাগুলোও ব্যবহার করা সহজ এবং একইভাবে নির্ভুল। আপনি কোভিড পজিটিভ হলে চিকিৎসার বিষয়ে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলুন। এই উদ্যোগ আপনার হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে।’
উল্লেখ্য, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনার ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই আশঙ্কা ও উদ্বেগজনক।
এ কথা সত্য যে কোভিড নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই, যদি আপনি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাসেবকের শরণাপন্ন হন এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করেন। মনে রাখবেন, ‘সময়ের এক ফোঁড়, আর অসময়ের দশ ফোঁড়।’ তাই সতর্ক হয়ে চলার কোনো বিকল্প নেই। তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক হয়ে চলুন। আগের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাস্ক পরুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন।