
নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকা এস্টেট এলাকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি বসতবাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত এবং বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। ২০ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চেভি চেইস স্ট্রিটের ওই বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িটি ক্যামব্রিজ রোড ও হেনলি রোডের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। গুরুতর আহত বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদ ব্রঙ্কসের জ্যাকোবি হাসপাতাল সেন্টারে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত মিসবাহ মাহমুদ বাংলাদেশি-আমেরিকান অ্যাডভোকেসি গ্রুপের (বাগ) বোর্ড সদস্য।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ইস্টার সানডের শুরুতেই রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ৯১১-এ খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ও ইএমএসের ১০০ জনেরও বেশি সদস্য কাজ করেন। ভোর তিনটার কিছু পরে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহত তিনজনের সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ৪৫, ৫২ ও ৬৭ বছর। তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আহতদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয় জ্যামাইকা হসপিটাল সেন্টারে এবং একজনকে ব্রঙ্কসের জ্যাকোবি হাসপাতাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
নিউইয়র্ক দমকল বিভাগের প্রধান জন এসপোসিটো জানান, দমকল কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই আগুন বাড়ির প্রথম তলার জানালা ভেদ করে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত তা দ্বিতীয় তলা ও অ্যাটিক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। রান্নাঘরের মধ্যে অস্বাভাবিক একটি দেয়াল এবং দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার জন্য তৈরি অস্থায়ী পথ আগুনের বিস্তারকে আরও ত্বরান্বিত করে। তিনি বলেন, এই বাড়িটি শুধু এর বাসিন্দাদের জন্যই নয়, ফায়ারফাইটারদের জন্যও চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আরও চারজন অগ্নিদগ্ধ হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। আগুন নেভাতে গিয়ে চারজন দমকল কর্মীও আহত হন।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিংস (DOB) প্রাথমিকভাবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে বাড়িটি ‘আবাসের অযোগ্য’ ঘোষণা করেছে। বাড়ির বহিরাংশ এবং কাঠামোগত বিভিন্ন অংশ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশি-আমেরিকান মিসবাহ মাহমুদের বাড়িতে অন্য কমিউনিটির মানুষ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনায় কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সময় দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী আদহাম আম্মার বাড়িতে ছিলেন না। তিনি জানান, তিনি সেদিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ম্যানহাটনে ছিলেন। এই বাড়িতে তিনি সাত বছর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার মতে, সেখানে অন্তত ১০-১৫ জন বসবাস করতেন, যার মধ্যে বাড়ির মালিকও ছিলেন।
ভাড়াটিয়া আদহাম আম্মার এবং প্রতিবেশী জসপাল সিধু জানান, বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদ এলমহার্স্টের একটি ঠিকানায় বসবাস করেন এবং সেই ঠিকানাই সরকারি রেকর্ডে মালিকানা ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। সিধু আরও বলেন, গত বছর মাহমুদ সাহেব আমার দরজায় এসে বললেন, তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির প্রার্থী। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, ‘আপনি নিজের বাড়িটাই ঠিক রাখতে পারেন না, সিটি পরিচালনা করবেন কীভাবে?
আদহাম আম্মার বলেন, বাড়িটি ছিল গাদাগাদি করে থাকা, কিন্তু কলেজের কাছে এবং ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় থেকেছি। এটাই সস্তায় থাকার মূল্য।
প্রতিবেশী সিধু বলেন, আগুন থেকে বাঁচা ভাড়াটিয়াদের জন্য আমি জুতা, জামাকাপড়, পানি, চা আর রুটি নিয়ে গিয়েছিলাম। মানুষ হিসেবে যা পারি করেছি। এত বড় দুর্ঘটনা দেখে সত্যিই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এফডিএনওয়াই কমিশনার রবার্ট টাকার বলেন, স্মোক ডিটেক্টর জীবন রক্ষা করে। বাড়িতে অবশ্যই কার্যকর স্মোক অ্যালার্ম থাকতে হবে। এই বাড়িতে এমন কোনো যন্ত্র ছিল না বলেই প্রমাণ পেয়েছি। বরং অতিরিক্ত এক্সটেনশন কর্ড এবং অব্যবস্থাপনার চিহ্ন মিলেছে।
আমেরিকান রেডক্রস জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত আটজন প্রাপ্তবয়স্ককে তারা জরুরি সহায়তা প্রদান করছে। পাশাপাশি খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ইস্টার সানডের শুরুতেই রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ৯১১-এ খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউইয়র্ক ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ও ইএমএসের ১০০ জনেরও বেশি সদস্য কাজ করেন। ভোর তিনটার কিছু পরে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিহত তিনজনের সবাই পুরুষ এবং তাদের বয়স ৪৫, ৫২ ও ৬৭ বছর। তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আহতদের মধ্যে তিনজনকে স্থানীয় জ্যামাইকা হসপিটাল সেন্টারে এবং একজনকে ব্রঙ্কসের জ্যাকোবি হাসপাতাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
নিউইয়র্ক দমকল বিভাগের প্রধান জন এসপোসিটো জানান, দমকল কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই আগুন বাড়ির প্রথম তলার জানালা ভেদ করে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত তা দ্বিতীয় তলা ও অ্যাটিক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। রান্নাঘরের মধ্যে অস্বাভাবিক একটি দেয়াল এবং দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার জন্য তৈরি অস্থায়ী পথ আগুনের বিস্তারকে আরও ত্বরান্বিত করে। তিনি বলেন, এই বাড়িটি শুধু এর বাসিন্দাদের জন্যই নয়, ফায়ারফাইটারদের জন্যও চরম ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আরও চারজন অগ্নিদগ্ধ হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। আগুন নেভাতে গিয়ে চারজন দমকল কর্মীও আহত হন।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব বিল্ডিংস (DOB) প্রাথমিকভাবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে বাড়িটি ‘আবাসের অযোগ্য’ ঘোষণা করেছে। বাড়ির বহিরাংশ এবং কাঠামোগত বিভিন্ন অংশ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশি-আমেরিকান মিসবাহ মাহমুদের বাড়িতে অন্য কমিউনিটির মানুষ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনায় কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সময় দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী আদহাম আম্মার বাড়িতে ছিলেন না। তিনি জানান, তিনি সেদিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ম্যানহাটনে ছিলেন। এই বাড়িতে তিনি সাত বছর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার মতে, সেখানে অন্তত ১০-১৫ জন বসবাস করতেন, যার মধ্যে বাড়ির মালিকও ছিলেন।
ভাড়াটিয়া আদহাম আম্মার এবং প্রতিবেশী জসপাল সিধু জানান, বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদ এলমহার্স্টের একটি ঠিকানায় বসবাস করেন এবং সেই ঠিকানাই সরকারি রেকর্ডে মালিকানা ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। সিধু আরও বলেন, গত বছর মাহমুদ সাহেব আমার দরজায় এসে বললেন, তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির প্রার্থী। আমি তখন তাকে বলেছিলাম, ‘আপনি নিজের বাড়িটাই ঠিক রাখতে পারেন না, সিটি পরিচালনা করবেন কীভাবে?
আদহাম আম্মার বলেন, বাড়িটি ছিল গাদাগাদি করে থাকা, কিন্তু কলেজের কাছে এবং ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় থেকেছি। এটাই সস্তায় থাকার মূল্য।
প্রতিবেশী সিধু বলেন, আগুন থেকে বাঁচা ভাড়াটিয়াদের জন্য আমি জুতা, জামাকাপড়, পানি, চা আর রুটি নিয়ে গিয়েছিলাম। মানুষ হিসেবে যা পারি করেছি। এত বড় দুর্ঘটনা দেখে সত্যিই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এফডিএনওয়াই কমিশনার রবার্ট টাকার বলেন, স্মোক ডিটেক্টর জীবন রক্ষা করে। বাড়িতে অবশ্যই কার্যকর স্মোক অ্যালার্ম থাকতে হবে। এই বাড়িতে এমন কোনো যন্ত্র ছিল না বলেই প্রমাণ পেয়েছি। বরং অতিরিক্ত এক্সটেনশন কর্ড এবং অব্যবস্থাপনার চিহ্ন মিলেছে।
আমেরিকান রেডক্রস জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত আটজন প্রাপ্তবয়স্ককে তারা জরুরি সহায়তা প্রদান করছে। পাশাপাশি খাদ্য, পানি ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়েছে।