
ইমিগ্র্যান্টদের জন্য দিন দিনই কঠিন হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তা-ই নয়, তিনি ইমিগ্র্যান্টের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্র্যান্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন। ইউএসসিআইএসের যে দপ্তরটি হাজার হাজার অভিবাসীকে ভিসা-সংক্রান্ত জটিল সব সমস্যা সমাধানে সাহায্য করত, সেই ‘অম্বুডসম্যানে’র দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে। মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে এফ-১ ভিসা [আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং এইচ-১বি ভিসা (দক্ষ কর্মী)] আবেদনকারীদের ওপর সরাসরি বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবীরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কা করছেন যে এই দপ্তর বন্ধ হওয়ায় সিআইএসের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি কমে যাবে।
আইনজীবীরা বলছেন, প্রশাসনিক বিলম্বের কারণে ভিসাধারীদের আইনি মর্যাদা যখন হুমকির মুখে পড়ত, তখন তারা প্রায়ই এই অম্বুডসম্যান দপ্তরের শরণাপন্ন হতেন। ইউএসসিআইএসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এফ-১ এবং এইচ-১বি ভিসা ধারকরা অম্বুডসম্যানের দপ্তরের সাহায্যের জন্য হাজির হলে তারা সাহায্যে এগিয়ে আসত। দপ্তরটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণায় তাদের আইনি মর্যাদা ও জীবিকার প্রতি হুমকি দেখা দিয়েছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএসএ) তথ্যমতে, অম্বুডসম্যানের দপ্তর ২০২৪ সালে প্রায় ৩০ হাজার অনুরোধ প্রক্রিয়া করেছে। এর মধ্যে আবেদন-সংক্রান্ত ত্রুটি এবং বিলম্বের বিষয়ে সহায়তাও দিয়েছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইমিগ্র্যান্ট বিষয়ক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বিলুপ্তি ইমিগ্র্যান্ট ব্যবস্থায় নিঃসন্দেহে একটি সংকটের জন্ম দেবে, যা এরই মধ্যে অনিয়ম ও বিলম্বের কারণে জর্জরিত। ২০২৪ বার্ষিক প্রতিবেদনে সিআইএস অম্বুডসম্যান জানায়, ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় প্রতিষ্ঠানটি ব্যাকলগ এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াকরণের সময় কমাতে কাজ করেছে। অন্যান্য অগ্রাধিকার তাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রভাব ফেললেও তারা প্রক্রিয়াকরণ কর্মে সময় ও মামলার ব্যাকলগ ১৫ শতাংশ কমিয়েছে। তবে অম্বুডসম্যান দপ্তর বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
শুধু অম্বুডসম্যান দপ্তর বন্ধ করে দিয়ে ট্রাম্প অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেননি, সমগ্র বিশ্বের স্বপ্নহীন মানুষদের জন্য যে যুক্তরাষ্ট্র ছিল স্বপ্নপূরণের সেরা দেশ, সেই দেশই এখন ইমিগ্র্যান্টদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে পড়ছে দিনে দিনে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা দায়িত্ব পেয়ে সেদিনই ২০০টির মতো নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর মধ্যে অনেকগুলোই ছিল ইমিগ্র্যান্ট-সংক্রান্ত এবং বলাই বাহুল্য, এসবের মধ্যে একটি আদেশও ছিল না ইমিগ্র্যান্টদের পক্ষে। সবই ছিল ইমিগ্র্যান্ট স্বার্থবিরোধী আদেশ।
ইমিগ্র্যান্টদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে সুসময়েও বসবাসের জন্য যাদের বৈধ কাগজপত্র ছিল না, তাদের জন্য কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও নাগরিকত্ব নিয়েছে যারা, গ্রিনকার্ড যাদের ছিল, শ্রমকার্ড যাদের ছিল, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে যাদের, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কোনো সমস্যা হয়নি কখনো। শোনা যায়, এখন সব ক্যাটাগরির অভিবাসীদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনকি গ্রিনকার্ড নিয়েও অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না। শোনা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী অনেককে নাকি আগমন-নির্গমনের পথে হয়রানিমূলক নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ভেতরে আইস অভিযান চালিয়ে কাগজপত্রহীন অনেককে ধরে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আগে এমনটা কখনোই শোনা যায়নি।
অভিবাসী সে বৈধ-অবৈধ যেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন কাউকে হতে না হয়-এটাই হোক আমাদের একান্ত কামনা।
আইনজীবীরা বলছেন, প্রশাসনিক বিলম্বের কারণে ভিসাধারীদের আইনি মর্যাদা যখন হুমকির মুখে পড়ত, তখন তারা প্রায়ই এই অম্বুডসম্যান দপ্তরের শরণাপন্ন হতেন। ইউএসসিআইএসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এফ-১ এবং এইচ-১বি ভিসা ধারকরা অম্বুডসম্যানের দপ্তরের সাহায্যের জন্য হাজির হলে তারা সাহায্যে এগিয়ে আসত। দপ্তরটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণায় তাদের আইনি মর্যাদা ও জীবিকার প্রতি হুমকি দেখা দিয়েছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএসএ) তথ্যমতে, অম্বুডসম্যানের দপ্তর ২০২৪ সালে প্রায় ৩০ হাজার অনুরোধ প্রক্রিয়া করেছে। এর মধ্যে আবেদন-সংক্রান্ত ত্রুটি এবং বিলম্বের বিষয়ে সহায়তাও দিয়েছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইমিগ্র্যান্ট বিষয়ক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বিলুপ্তি ইমিগ্র্যান্ট ব্যবস্থায় নিঃসন্দেহে একটি সংকটের জন্ম দেবে, যা এরই মধ্যে অনিয়ম ও বিলম্বের কারণে জর্জরিত। ২০২৪ বার্ষিক প্রতিবেদনে সিআইএস অম্বুডসম্যান জানায়, ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় প্রতিষ্ঠানটি ব্যাকলগ এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াকরণের সময় কমাতে কাজ করেছে। অন্যান্য অগ্রাধিকার তাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রভাব ফেললেও তারা প্রক্রিয়াকরণ কর্মে সময় ও মামলার ব্যাকলগ ১৫ শতাংশ কমিয়েছে। তবে অম্বুডসম্যান দপ্তর বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
শুধু অম্বুডসম্যান দপ্তর বন্ধ করে দিয়ে ট্রাম্প অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেননি, সমগ্র বিশ্বের স্বপ্নহীন মানুষদের জন্য যে যুক্তরাষ্ট্র ছিল স্বপ্নপূরণের সেরা দেশ, সেই দেশই এখন ইমিগ্র্যান্টদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে পড়ছে দিনে দিনে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা দায়িত্ব পেয়ে সেদিনই ২০০টির মতো নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর মধ্যে অনেকগুলোই ছিল ইমিগ্র্যান্ট-সংক্রান্ত এবং বলাই বাহুল্য, এসবের মধ্যে একটি আদেশও ছিল না ইমিগ্র্যান্টদের পক্ষে। সবই ছিল ইমিগ্র্যান্ট স্বার্থবিরোধী আদেশ।
ইমিগ্র্যান্টদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে সুসময়েও বসবাসের জন্য যাদের বৈধ কাগজপত্র ছিল না, তাদের জন্য কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও নাগরিকত্ব নিয়েছে যারা, গ্রিনকার্ড যাদের ছিল, শ্রমকার্ড যাদের ছিল, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে যাদের, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কোনো সমস্যা হয়নি কখনো। শোনা যায়, এখন সব ক্যাটাগরির অভিবাসীদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনকি গ্রিনকার্ড নিয়েও অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না। শোনা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী অনেককে নাকি আগমন-নির্গমনের পথে হয়রানিমূলক নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ভেতরে আইস অভিযান চালিয়ে কাগজপত্রহীন অনেককে ধরে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আগে এমনটা কখনোই শোনা যায়নি।
অভিবাসী সে বৈধ-অবৈধ যেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন কাউকে হতে না হয়-এটাই হোক আমাদের একান্ত কামনা।