২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৫৮ দল নিয়ে গঠন করেছিলেন সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ)। নামসর্বস্ব দল হওয়ায় বেশ সমালোচনা
হয়েছিল সেই সময়ে। শুরুতে বেশ তৎপরতা থাকলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ৫৮ দলীয় জোটের কার্যক্রম। এরশাদের অসুস্থতা ও দলের মহাসচিব পরিবর্তনের জন্যই জোটটা হোঁচট খায়।
এরশাদের হাতে গড়া এই জোট অক্ষুণ্ন রেখেই নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত আরও কয়েকটি দলকে নিয়ে এবার নতুন নির্বাচনী জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছেন রওশন এরশাদ ও তার অনুসারীরা। জোটের চেয়ারম্যানও থাকবেন রওশনই। তফসিল ঘোষণার আগেই, অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বরে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হতে পারে। বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে এই নির্বাচনী জোটে পাশে রাখতে চান পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তবে নতুন জোটেও থাকছে চমক। তারা মহাজোটে যোগ দেবে না, তবে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চমক দিয়ে জাপার ওই নির্বাচনী জোটে যোগ দিতে পারে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন), জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদের বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) এবং এম এ মতিনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি)। এ ছাড়া যোগ দিতে পারে আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজার বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হারিকেন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (গাভী), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট - বিএনএফ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ও আল্লামা ইমাম হায়াতের ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল)। আন্দালিব রহমান পার্থর বিজেপির একাধিক নেতাও যোগাযোগ করছেন। প্রাথমিকভাবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব দলই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জোট করতে আগ্রহী। শিগগিরই এক মঞ্চে উঠবেন তারা। সেই মঞ্চে জি এম কাদেরকেও চান রওশন এরশাদ। যদিও দুজনই বিপরীতমুখী অবস্থানে চলছেন দুই বছরের বেশি সময়। চলছে সম্পর্কের টানাপোড়েনও।
জি এম কাদেরপন্থীরা বলছেন, রওশন এরশাদ দলের সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে জি এম কাদেরসহ পার্টির সব নেতাকর্মী যথেষ্ট সম্মান করেন। তবে উনি (রওশন) দলের কোনো পদে নেই। তাই কাউন্সিল ডাকা বা জোট করার কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন না। এ ছাড়া তার দলীয় প্রতীকও নেই। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরই ঠিক করবেন আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জোট করবে কি না? জোট করলেও কাকে রাখবেন, দলে কে থাকবে আর কে থাকবে না।
তবে রওশন এরশাদপন্থীরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে থাকতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো দলের ‘লাঙ্গল’ প্রতীক। কারণ প্রতীক জি এম কাদেরের নামে। তবে প্রতীকের সব বৈধ কাগজপত্র রওশন এরশাদের কাছে রয়েছে। ফলে নির্বাচনের আগে পৃথক কাউন্সিলের ডাক দেবেন তিনি। ওই কাউন্সিলে রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান পদে আসবেন। এরপর প্রতীক বরাদ্দের প্রয়োজনীয় দলীয় কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। তখন উল্টো চাপে পড়বেন দেবর জি এম কাদের। কারণ সরকারের সমর্থন সব সময় রওশন এরশাদের দিকে।
জাপার আরেকটি সূত্রমতে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির এমপিরা। এমনকি বিদেশিদের চাপ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখতে পারেন রওশন এরশাদের ওপর। তাকে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানও করা হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী পেছনে থেকে সব দিকনির্দেশনা দেবেন। যদিও আগে জি এম কাদেরের প্রতি আস্থা রাখতে চাইলেও সেই সম্ভাবনা বর্তমানে ক্ষীণ। সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করায় আপাতত সরকার তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন রয়েছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনে নামতে পারে জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাপার একাংশ। তবে দলটির একাধিক নেতাকর্মী বলছেন, জি এম কাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী কথা বলছেন। ভেতরে ভেতরে তিনি সরকারের পক্ষে। সরকারবিরোধী জোরালো আওয়াজ তুললে দর-কষাকষির সুযোগ বাড়বে। এতে নির্বাচনে জাপার আসনসংখ্যা বাড়বে।
এসব বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি মহাজোটের সঙ্গে নেই। জোটের রাজনীতি থেকেও বের হতে চায়। কারণ জোট করলে জাতীয় পার্টির ক্ষতি হয় বেশি। আগামী নির্বাচনে মহাজোটের অংশ হব কি না, এটা জাতীয় পার্টি দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ দলের পৃষ্ঠপোষক। তার দলীয় কোনো পদ নেই। ফলে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে রওশন এরশাদ প্রার্থী দিলেও নির্বাচন কমিশনের আরপিও ধারা অনুযায়ী বাতিল হয়ে গেছে। তাই উনি জোট করার কোনো এখতিয়ার রাখেন না। আর জোটের প্রতীক কী হবে? লাঙ্গল তো জি এম কাদেরের।
রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ম্যাডামের (রওশন) পরামর্শে ৫৮ দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নিয়েই আমরা পুনরায় জোট গঠন করব। আশা করছি, শিগগিরই এই জোটের আত্মপ্রকাশ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, শেখ শহীদ এবং এম এ মতিনের ইসলামী ফ্রন্ট জাপার নির্বাচনী জোটে যোগ দেবে। জাতীয় পার্টি থেকে অতীতে যারা বের হয়ে গিয়েছিল, তারাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। রওশন এরশাদ জীবনের শেষ বয়সে এসে চাচ্ছেন ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি। তিনি এই ঐক্যের রূপরেখা গড়ে দিয়ে যেতে চান।’ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ম্যাডাম জি এম কাদেরকে কখনোই বাদ দিতে চাননি। এখনো চান না। জোটে জি এম কাদেরকে ভালো জায়গায় রাখবেন ম্যাডাম। দলের অনেক সংসদ সদস্য, তবে তারা থাকবেন কি না এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
হয়েছিল সেই সময়ে। শুরুতে বেশ তৎপরতা থাকলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ৫৮ দলীয় জোটের কার্যক্রম। এরশাদের অসুস্থতা ও দলের মহাসচিব পরিবর্তনের জন্যই জোটটা হোঁচট খায়।
এরশাদের হাতে গড়া এই জোট অক্ষুণ্ন রেখেই নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত আরও কয়েকটি দলকে নিয়ে এবার নতুন নির্বাচনী জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছেন রওশন এরশাদ ও তার অনুসারীরা। জোটের চেয়ারম্যানও থাকবেন রওশনই। তফসিল ঘোষণার আগেই, অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বরে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হতে পারে। বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে এই নির্বাচনী জোটে পাশে রাখতে চান পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তবে নতুন জোটেও থাকছে চমক। তারা মহাজোটে যোগ দেবে না, তবে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চমক দিয়ে জাপার ওই নির্বাচনী জোটে যোগ দিতে পারে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন), জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দীন আল আজাদের বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) এবং এম এ মতিনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি)। এ ছাড়া যোগ দিতে পারে আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজার বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হারিকেন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (গাভী), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট - বিএনএফ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) ও আল্লামা ইমাম হায়াতের ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল)। আন্দালিব রহমান পার্থর বিজেপির একাধিক নেতাও যোগাযোগ করছেন। প্রাথমিকভাবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব দলই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জোট করতে আগ্রহী। শিগগিরই এক মঞ্চে উঠবেন তারা। সেই মঞ্চে জি এম কাদেরকেও চান রওশন এরশাদ। যদিও দুজনই বিপরীতমুখী অবস্থানে চলছেন দুই বছরের বেশি সময়। চলছে সম্পর্কের টানাপোড়েনও।
জি এম কাদেরপন্থীরা বলছেন, রওশন এরশাদ দলের সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে জি এম কাদেরসহ পার্টির সব নেতাকর্মী যথেষ্ট সম্মান করেন। তবে উনি (রওশন) দলের কোনো পদে নেই। তাই কাউন্সিল ডাকা বা জোট করার কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন না। এ ছাড়া তার দলীয় প্রতীকও নেই। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরই ঠিক করবেন আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জোট করবে কি না? জোট করলেও কাকে রাখবেন, দলে কে থাকবে আর কে থাকবে না।
তবে রওশন এরশাদপন্থীরা বলছেন, সরকারের সঙ্গে থাকতে চান তারা। এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো দলের ‘লাঙ্গল’ প্রতীক। কারণ প্রতীক জি এম কাদেরের নামে। তবে প্রতীকের সব বৈধ কাগজপত্র রওশন এরশাদের কাছে রয়েছে। ফলে নির্বাচনের আগে পৃথক কাউন্সিলের ডাক দেবেন তিনি। ওই কাউন্সিলে রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান পদে আসবেন। এরপর প্রতীক বরাদ্দের প্রয়োজনীয় দলীয় কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। তখন উল্টো চাপে পড়বেন দেবর জি এম কাদের। কারণ সরকারের সমর্থন সব সময় রওশন এরশাদের দিকে।
জাপার আরেকটি সূত্রমতে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারেন রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির এমপিরা। এমনকি বিদেশিদের চাপ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখতে পারেন রওশন এরশাদের ওপর। তাকে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানও করা হতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রী পেছনে থেকে সব দিকনির্দেশনা দেবেন। যদিও আগে জি এম কাদেরের প্রতি আস্থা রাখতে চাইলেও সেই সম্ভাবনা বর্তমানে ক্ষীণ। সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করায় আপাতত সরকার তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন রয়েছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনে নামতে পারে জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাপার একাংশ। তবে দলটির একাধিক নেতাকর্মী বলছেন, জি এম কাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী কথা বলছেন। ভেতরে ভেতরে তিনি সরকারের পক্ষে। সরকারবিরোধী জোরালো আওয়াজ তুললে দর-কষাকষির সুযোগ বাড়বে। এতে নির্বাচনে জাপার আসনসংখ্যা বাড়বে।
এসব বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি মহাজোটের সঙ্গে নেই। জোটের রাজনীতি থেকেও বের হতে চায়। কারণ জোট করলে জাতীয় পার্টির ক্ষতি হয় বেশি। আগামী নির্বাচনে মহাজোটের অংশ হব কি না, এটা জাতীয় পার্টি দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ দলের পৃষ্ঠপোষক। তার দলীয় কোনো পদ নেই। ফলে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে রওশন এরশাদ প্রার্থী দিলেও নির্বাচন কমিশনের আরপিও ধারা অনুযায়ী বাতিল হয়ে গেছে। তাই উনি জোট করার কোনো এখতিয়ার রাখেন না। আর জোটের প্রতীক কী হবে? লাঙ্গল তো জি এম কাদেরের।
রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ম্যাডামের (রওশন) পরামর্শে ৫৮ দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নিয়েই আমরা পুনরায় জোট গঠন করব। আশা করছি, শিগগিরই এই জোটের আত্মপ্রকাশ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, শেখ শহীদ এবং এম এ মতিনের ইসলামী ফ্রন্ট জাপার নির্বাচনী জোটে যোগ দেবে। জাতীয় পার্টি থেকে অতীতে যারা বের হয়ে গিয়েছিল, তারাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। রওশন এরশাদ জীবনের শেষ বয়সে এসে চাচ্ছেন ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি। তিনি এই ঐক্যের রূপরেখা গড়ে দিয়ে যেতে চান।’ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ম্যাডাম জি এম কাদেরকে কখনোই বাদ দিতে চাননি। এখনো চান না। জোটে জি এম কাদেরকে ভালো জায়গায় রাখবেন ম্যাডাম। দলের অনেক সংসদ সদস্য, তবে তারা থাকবেন কি না এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’