গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাদের ভূমিকা মূল্যায়ন করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। এরই মধ্যে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মূল্যায়ন রিপোর্টের তালিকা। দলীয় সূত্রমতে, মূল্যায়ন রিপোর্টে রয়েছে প্রবেশপথের তিন স্থানে হাজির হননি দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য। উপস্থিত হননি কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান। উত্তেজনা পরিস্থিতি দেখেই কর্মসূচি থেকে ফিরে আসেন চারজন যুগ্ম মহাসচিব। হাজির ছিলেন না দুজন সাংগঠনিক সম্পাদক।
মূল্যায়ন রিপোর্টে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের জোরালো ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। অনেকের মতে, সেদিন যদি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর পুলিশি হামলা না হতো, তাহলে এ কর্মসূচি সুপার ফ্লপ হতো। মূলত, গয়েশ্বরের ওপর হামলার কারণেই দেশ-বিদেশে এ কর্মসূচি ব্যাপক আলোচিত হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির এক দফা আন্দোলনে রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে চলছে শুদ্ধি অভিযান। সেই দিনের অবস্থান কর্মসূচির ভূমিকা মূল্যায়ন করে নেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। তারই অংশ হিসেবে সর্বপ্রথম ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর যুবদলের দুই কমিটি। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি। এরপর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে। অ্যাকশন নেওয়ার অংশ হিসেবে ভেঙে দেওয়া হতে পারে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটিও। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। সাংগঠনিক ব্যবস্থার পরবর্তী ধাপ কোন দিকে যায়, কাকে টার্গেট করা হয়েছে, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
জানা গেছে, দলের হাইকমান্ডের মূল্যায়ন রিপোর্টে উঠে এসেছে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ দেড় ডজন নেতার নাম। এই কালো তালিকায় রয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর কমিটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নাম। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা। কারণ দলের নির্দেশনা ও কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ নেতাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর হার্ডলাইনে বিএনপি। এমন অবস্থায় কার ওপর সাংগঠনিক শাস্তির খড়গ নেমে আসে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেতারা। পদ হারানোর ভয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেও বেড়েছে আতঙ্ক। এ নিয়ে শীর্ষ নেতারাও বিব্রত। এতে দলের স্বাভাবিক কার্যক্রমেও অনেক ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকাকেন্দ্রিক ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল হাইকমান্ডের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন দিকনির্দেশনা। কিন্তু রোডম্যাপ অনুযায়ী ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ায় ভেস্তে গেছে সেই পরিকল্পনা। আবারও উঠে এসেছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। তাই সেদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি।
সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল না। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের থাকার কথা থাকলেও তারা সেদিন আসেননি। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান স্পটে থাকলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মাতুয়াইলে যখন সংঘর্ষ চলে, ওই সময় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন মহানগরের দায়িত্বশীল শীর্ষ এক নেতা। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী অবস্থান করলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুকুর একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে টুকু আগে রাজপথ ত্যাগ করছেন। এটা নিয়েও হাইকমান্ড বেশ বিব্রত।
যদিও দলটির একাধিক নেতা বলছেন, এক দফার আন্দোলনে চূড়ান্ত মুহূর্তে নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। টার্গেট করে বিগত দিনের ত্যাগী আর যোগ্যদের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে নানা প্রচারণা। এতে বেকায়দায় পড়েছেন বিগত দিনের পোড় খাওয়া নেতারা। কিন্তু ওই দিনের কর্মসূচিতে যারা নিজেদের লোকবল নিয়ে হাজির হননি কিংবা একেবারেই উপস্থিত ছিলেন না, তাদের বেশির ভাগই রয়ে গেছেন আলোচনার বাইরে। একদিকে ধারাবাহিক কর্মসূচির চাপ, অন্যদিকে শাস্তি আতঙ্ক-দুই মিলে অস্বস্তি বিরাজ করছে পুরো দলে।
তারা আরও বলেন, যেভাবে নেতাদের নিয়ে সমালোচনা ও দলাদলি শুরু হয়েছে, তাতে সংগঠন পরিচালনা করা এখন কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের অবস্থান কর্মসূচির পুরো সময়টা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৃণমূলের পাশে থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। গ্রুপ রাজনীতির অংশ হিসেবে তাকে বেকায়দায় ফেলতে একটি অংশ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বলছেন, মাতুয়াইলে যুবদলের টুকুর পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবীন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলও সমানতালে কর্মসূচি সফলে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। পুলিশের বাধার মুখেও তারা বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যুবদলের ১ নম্বর সহসভাপতি নূরুল ইসলাম নয়ন ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় আহত হলেও তাকে নিয়ে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান গাবতলী এলাকার অবস্থান কর্মসূচিতে থাকলেও তাকে নিয়েও একটি অংশ উঠেপড়ে লেগেছে। এভাবে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের দুর্বল করতে কাজ করছে একটি সিন্ডিকেট। শুধু অঙ্গসংগঠনই নয়, মূল দলের দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়েও সৃষ্টি করা হয়েছে বিতর্ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সব খতিয়ান আছে। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটি যদি ভেঙে নতুন কমিটি আসে, এতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা বা পদ পরিবর্তন ঘটতে পারে।’
মূল্যায়ন রিপোর্টে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের জোরালো ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। অনেকের মতে, সেদিন যদি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর পুলিশি হামলা না হতো, তাহলে এ কর্মসূচি সুপার ফ্লপ হতো। মূলত, গয়েশ্বরের ওপর হামলার কারণেই দেশ-বিদেশে এ কর্মসূচি ব্যাপক আলোচিত হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির এক দফা আন্দোলনে রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে চলছে শুদ্ধি অভিযান। সেই দিনের অবস্থান কর্মসূচির ভূমিকা মূল্যায়ন করে নেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। তারই অংশ হিসেবে সর্বপ্রথম ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর যুবদলের দুই কমিটি। গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি। এরপর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে। অ্যাকশন নেওয়ার অংশ হিসেবে ভেঙে দেওয়া হতে পারে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটিও। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে। সাংগঠনিক ব্যবস্থার পরবর্তী ধাপ কোন দিকে যায়, কাকে টার্গেট করা হয়েছে, এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।
জানা গেছে, দলের হাইকমান্ডের মূল্যায়ন রিপোর্টে উঠে এসেছে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ দেড় ডজন নেতার নাম। এই কালো তালিকায় রয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর কমিটি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নাম। তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা। কারণ দলের নির্দেশনা ও কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ নেতাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর হার্ডলাইনে বিএনপি। এমন অবস্থায় কার ওপর সাংগঠনিক শাস্তির খড়গ নেমে আসে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেতারা। পদ হারানোর ভয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেও বেড়েছে আতঙ্ক। এ নিয়ে শীর্ষ নেতারাও বিব্রত। এতে দলের স্বাভাবিক কার্যক্রমেও অনেক ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকাকেন্দ্রিক ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল হাইকমান্ডের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন দিকনির্দেশনা। কিন্তু রোডম্যাপ অনুযায়ী ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ায় ভেস্তে গেছে সেই পরিকল্পনা। আবারও উঠে এসেছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। তাই সেদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি।
সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল না। যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের থাকার কথা থাকলেও তারা সেদিন আসেননি। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান স্পটে থাকলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মাতুয়াইলে যখন সংঘর্ষ চলে, ওই সময় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন মহানগরের দায়িত্বশীল শীর্ষ এক নেতা। যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী অবস্থান করলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুকুর একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে টুকু আগে রাজপথ ত্যাগ করছেন। এটা নিয়েও হাইকমান্ড বেশ বিব্রত।
যদিও দলটির একাধিক নেতা বলছেন, এক দফার আন্দোলনে চূড়ান্ত মুহূর্তে নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। টার্গেট করে বিগত দিনের ত্যাগী আর যোগ্যদের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে নানা প্রচারণা। এতে বেকায়দায় পড়েছেন বিগত দিনের পোড় খাওয়া নেতারা। কিন্তু ওই দিনের কর্মসূচিতে যারা নিজেদের লোকবল নিয়ে হাজির হননি কিংবা একেবারেই উপস্থিত ছিলেন না, তাদের বেশির ভাগই রয়ে গেছেন আলোচনার বাইরে। একদিকে ধারাবাহিক কর্মসূচির চাপ, অন্যদিকে শাস্তি আতঙ্ক-দুই মিলে অস্বস্তি বিরাজ করছে পুরো দলে।
তারা আরও বলেন, যেভাবে নেতাদের নিয়ে সমালোচনা ও দলাদলি শুরু হয়েছে, তাতে সংগঠন পরিচালনা করা এখন কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের অবস্থান কর্মসূচির পুরো সময়টা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৃণমূলের পাশে থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। গ্রুপ রাজনীতির অংশ হিসেবে তাকে বেকায়দায় ফেলতে একটি অংশ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বলছেন, মাতুয়াইলে যুবদলের টুকুর পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবীন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলও সমানতালে কর্মসূচি সফলে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছেন। পুলিশের বাধার মুখেও তারা বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যুবদলের ১ নম্বর সহসভাপতি নূরুল ইসলাম নয়ন ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় আহত হলেও তাকে নিয়ে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান গাবতলী এলাকার অবস্থান কর্মসূচিতে থাকলেও তাকে নিয়েও একটি অংশ উঠেপড়ে লেগেছে। এভাবে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের দুর্বল করতে কাজ করছে একটি সিন্ডিকেট। শুধু অঙ্গসংগঠনই নয়, মূল দলের দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়েও সৃষ্টি করা হয়েছে বিতর্ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সব খতিয়ান আছে। পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটি যদি ভেঙে নতুন কমিটি আসে, এতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা বা পদ পরিবর্তন ঘটতে পারে।’