আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাটা নিয়ে নানা ধরনের খেলা একটা চক্রান্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০ বছর ধরে সংঘাত ছিল, আমি সরকারে (১৯৯৬) আসার পরে শান্তি ফিরিয়ে আনি। সেখানেও আবার নানা রকম অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা। যেহেতু এটা আমি জানি, আমি বুঝি, যে কারণে কীভাবে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। তাদের কিছু কেনা গোলাম আছে, পদলেহনকারী আছে, তাদের বসিয়ে এই জায়গাটাকে নিয়ে খেলবে।’
১৬ আগস্ট বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে অবাক লাগে, যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে তারা যখন আমাদের মানবাধিকারের কথা বলে। তারা নির্বাচনের কথা বলে, স্বচ্ছতার কথা বলে। তারা এখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খুব উতলা হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনে এ দেশে নির্বিচারে অত্যাচার চলল। কত মানুষকে খুন করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে। তখন নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সেই নির্বাচনে তো আমাদের হারার কথা নয়। সে নির্বাচনে জোর করে আমাদের হারানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল, তখন তাদের নির্বাচনী চেতনা কোথায় ছিল? জিয়াউর রহমান বা জেনারেল এরশাদের সময় ৪৮ ঘণ্টা ভোটের ফল বন্ধ রেখে ফল ঘোষণা করে, সেটা নিয়ে তো এদের কোনো উদ্বেগ দেখিনি। আজকে তাদের কাছ থেকে নির্বাচনের কথা, মানবাধিকারের কথা আমাদের শুনতে হয়। যেখানে আমরা বাবা-মায়ের হত্যার বিচার চাইতে পারতাম না। আমাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? হত্যার বিচার চেয়ে একটা মামলা করার অধিকার আমাদের ছিল না।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
ঠিকানা/এনআই
১৬ আগস্ট বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে অবাক লাগে, যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে তারা যখন আমাদের মানবাধিকারের কথা বলে। তারা নির্বাচনের কথা বলে, স্বচ্ছতার কথা বলে। তারা এখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খুব উতলা হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ২০০১ সালের নির্বাচনে এ দেশে নির্বিচারে অত্যাচার চলল। কত মানুষকে খুন করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে। তখন নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সেই নির্বাচনে তো আমাদের হারার কথা নয়। সে নির্বাচনে জোর করে আমাদের হারানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল, তখন তাদের নির্বাচনী চেতনা কোথায় ছিল? জিয়াউর রহমান বা জেনারেল এরশাদের সময় ৪৮ ঘণ্টা ভোটের ফল বন্ধ রেখে ফল ঘোষণা করে, সেটা নিয়ে তো এদের কোনো উদ্বেগ দেখিনি। আজকে তাদের কাছ থেকে নির্বাচনের কথা, মানবাধিকারের কথা আমাদের শুনতে হয়। যেখানে আমরা বাবা-মায়ের হত্যার বিচার চাইতে পারতাম না। আমাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল? হত্যার বিচার চেয়ে একটা মামলা করার অধিকার আমাদের ছিল না।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
ঠিকানা/এনআই