
মুনাফেক শব্দ দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। এটা রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনোই বিএনপির সঙ্গে ‘মুনাফেকি’ করেনি- ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে এমন দাবি করলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বাহাত্তরে শেখ মুজিব সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। পরে বিএনপি সরকারের সময় রাজনীতিতে তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটে। মাস দুই আগে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, তারপরও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ‘মুনাফেকি’ করেছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতবিরোধের প্রসঙ্গ ধরেই ছিল রিজভীর এমন মন্তব্য।
বিএনপি নেতার বক্তব্য যে জামায়াত ভালোভাবে নেয়নি, সেদিকটি তুলে ধরলেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলের এই টকশোতে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এতে শুধু জামায়াত নয় অন্যান্য ইসলামী দলও রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এমনকি আওয়ামী লীগও ফিরে আসে। তাই তখন জামায়াত একা শুধু সুযোগ পেয়েছে, এটা নয়। জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার কারণে তার দলে বাম, ইসলামপন্থী নানা ধারার মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। এখনকার বিএনপির রাজনীতিতে সেই শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন উপস্থাপিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। এই টকশো সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)। যেখানে জুলাই আন্দোলন, অন্তর্বর্তী সরকার, জাতীয় নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক, একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা- এমন নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দ্বিতীয় প্রধান নেতা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান রোববার লন্ডনে গিয়ে বিএনপির প্রধান দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেশে ফিরে জামায়াত আমীর আবার জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলছেন। যেখানে অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকই বিএনপির সুর দেখছেন। এক্ষেত্রে জামায়াত কী অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আবার বিএনপির দিকে ঝুঁকছে? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা একই অবস্থানে আছি। কোনো ইউটার্ন করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর পঁচিশ থেকে জুন ছাব্বিশের মধ্যে যে নির্বাচনের কথা বলেছেন, আমরা চাই সেই সময়টা যেন ক্রস না করে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রমজান মাস শুরু হবে, তাই তার আগে নির্বাচন হলেই ভালো। আজ আবার আমাদের আমীর বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা প্রয়োজন তা অবশ্যই করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।’
“নির্বাচন প্রক্রিয়া সুন্দর করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই সময় দিতে আমরা রাজি।” – যোগ করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
এদিকে ঢাকায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। যেখানে একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়া এবং প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ন্যায্য হিস্যার দাবি তুলে ধরেছে ঢাকা। এই দাবির সঙ্গে একমত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার টকশোতে বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে এটা বিশ্ব-স্বীকৃত বিষয়। তাই পাকিস্তানের অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্যান্য বিষয়গুলোর মীমাংসা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াত ক্ষমা চাইবে কি না- এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেন, গোলাম আযম নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। মানুষের মনোভাব দেখে তিনি ভুল স্বীকার করেছিলেন। এটাকেই জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা হিসেবে ধরা হয়, মন্তব্য করেন তিনি।
বাহাত্তরে শেখ মুজিব সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। পরে বিএনপি সরকারের সময় রাজনীতিতে তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটে। মাস দুই আগে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, তারপরও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ‘মুনাফেকি’ করেছে। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতবিরোধের প্রসঙ্গ ধরেই ছিল রিজভীর এমন মন্তব্য।
বিএনপি নেতার বক্তব্য যে জামায়াত ভালোভাবে নেয়নি, সেদিকটি তুলে ধরলেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলের এই টকশোতে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এতে শুধু জামায়াত নয় অন্যান্য ইসলামী দলও রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এমনকি আওয়ামী লীগও ফিরে আসে। তাই তখন জামায়াত একা শুধু সুযোগ পেয়েছে, এটা নয়। জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার কারণে তার দলে বাম, ইসলামপন্থী নানা ধারার মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। এখনকার বিএনপির রাজনীতিতে সেই শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীন উপস্থাপিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একক অতিথি হিসেবে ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। এই টকশো সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)। যেখানে জুলাই আন্দোলন, অন্তর্বর্তী সরকার, জাতীয় নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক, একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা- এমন নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দ্বিতীয় প্রধান নেতা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান রোববার লন্ডনে গিয়ে বিএনপির প্রধান দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেশে ফিরে জামায়াত আমীর আবার জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলছেন। যেখানে অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকই বিএনপির সুর দেখছেন। এক্ষেত্রে জামায়াত কী অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আবার বিএনপির দিকে ঝুঁকছে? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা একই অবস্থানে আছি। কোনো ইউটার্ন করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর পঁচিশ থেকে জুন ছাব্বিশের মধ্যে যে নির্বাচনের কথা বলেছেন, আমরা চাই সেই সময়টা যেন ক্রস না করে। তবে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রমজান মাস শুরু হবে, তাই তার আগে নির্বাচন হলেই ভালো। আজ আবার আমাদের আমীর বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা প্রয়োজন তা অবশ্যই করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।’
“নির্বাচন প্রক্রিয়া সুন্দর করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সেই সময় দিতে আমরা রাজি।” – যোগ করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
এদিকে ঢাকায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। যেখানে একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়া এবং প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ন্যায্য হিস্যার দাবি তুলে ধরেছে ঢাকা। এই দাবির সঙ্গে একমত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার টকশোতে বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে এটা বিশ্ব-স্বীকৃত বিষয়। তাই পাকিস্তানের অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্যান্য বিষয়গুলোর মীমাংসা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াত ক্ষমা চাইবে কি না- এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেন, গোলাম আযম নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। মানুষের মনোভাব দেখে তিনি ভুল স্বীকার করেছিলেন। এটাকেই জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা হিসেবে ধরা হয়, মন্তব্য করেন তিনি।