গ্রেপ্তার এড়াতে ঠিকানা পরিবর্তন

১০ দিনের মধ্যে আপডেট না করলে সমস্যা

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ , অনলাইন ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রে যারা সিটিজেন, তারা যদি কোনো ঠিকানা পরিবর্তন করেন, তাহলে সেটি ইউএসসিআইএসের কাছে পরিবর্তন করতে হবে না। কিন্তু স্টেটের কাছে আইডিসহ প্রয়োজনীয় সব জায়গায় ও সব অথরিটির কাছে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ ঠিকানা পরিবর্তন না করলে সংশ্লিষ্ট কোনো অথরিটির চিঠি পাওয়া যাবে না। ফলে অনেক চিঠি মিস হতে পারে। এদিকে যারা সিটিজেন নন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী, ভিজিটে এসেছেন, স্টুডেন্ট হিসেবে আছেন, অ্যাসাইলি, ব্যবসায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো না কোনো কোম্পানি ও সংস্থায় কর্মরত আছেন- তারা যে স্ট্যাটাসেই থাকেন না কেন, যদি ইউএসসিআইএসের কাছে কোনো ধরনের আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাদের সবাইকে বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার ১০ দিনের মধ্যে অবশ্যই বিষয়টি ইউএসসিআইএসকে জানাতে হবে। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ফর্ম আছে, সেটি পূরণ করতে হবে। অনলাইনে পূরণ করলে অনলাইনেই ঠিকানা কনফারমেশনের একটি নোটিশ পাওয়া যায়। ফলে এটি অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়। কেউ যদি অনলাইনে এআর-১১ ফর্মটি পূরণ করতে না পারেন, তাহলে তিনি মেইল করেও ফর্ম পূরণ করে ঠিকানা আপডেট করতে পারেন।
সূত্র জানায়, এ দেশে ঠিকানা পরিবর্তনের তথ্য জানানো একটি আইনগত কাজ। কেউ যদি ঠিকানা পরিবর্তন করার পর সেটি না জানান, তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন। ঠিকানা পরিবর্তন করে না জানানো একধরনের অপরাধ। কারণ সিটিজেন ছাড়া অন্য সবাইকে জানাতে হবে তিনি কখন কোথায় থাকছেন। সেই সঙ্গে তাকে ইউএসসিআইএস কোনো চিঠি পাঠালে তিনি চিঠি পাবেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নোটিশ মিস করতে পারেন। এটি মিস করলে সময়মতো উদ্যোগও নিতে পারবেন না। যারা আইনজীবীর মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেছেন, ওই আইনজীবীর অফিস অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে ঠিকানা আপডেট করে দেবে ইউএসসিআইসের কাছে। এ জন্য ল’ অফিস ফি নিতে পারে। ফি দিয়ে করালেও ভালো, এতে নিরাপদ ও নিশ্চিত থাকতে পারবেন। যারা আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন, তারা নিজের ঠিকানায় একটি চিঠি পাবেন, সেই সঙ্গে আইনজীবীর অফিসও একটি চিঠি পাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি আইসের অভিযান শুরুর পর অনেক মানুষ ভয়ে বাসা বা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। তাদের অনেকেই মনে করছেন, ঠিকানা পরিবর্তন করলে তাকে আর খুঁজে পাবে না। আর খুঁজে না পেলে ধরতেও পারবে না। কেউ কেউ কাজ করতে না পারার কারণে সিটি ছেড়ে অনত্র্য কম খরচে জীবন চলবে এমন জায়গায় গেছেন। আবার কেউ কেউ আছেন, তার কেস এক জায়গায় বা এক স্টেটে, তিনি থাকেন অন্য স্টেটে এবং সেখানে কাজও করেন। তারাও মনে করেন, এক জায়গায় কেস থাকলে অন্য স্টেটে তিনি থাকলে তাকে খুঁজে পাবে না। এ ক্ষেত্রেও তিনি আইন ও নিয়ম ভঙ্গ করছেন।
সূত্র জানায়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা অ্যাসাইলাম কেস ফাইল করেন, তারা যখন ফাইল করেন, তখন এক ঠিকানায় থাকেন। এরপর ঠিকানা পরিবর্তন করেন, কেউ কেউ স্টেট পরিবর্তন করেন। সেখানে থকেন, কাজ করেন ও ট্যাক্স ফাইলও করেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তিনি যে স্টেটে থাকেন, সেখানে বদলির জন্য আবেদন করার কথা থাকলেও তারা তা করেন না। এটি যারা করছেন, তারা বড় অপরাধ করছেন। এতে করে কেউ আইসের হাতে আটক হলে তিনি যদি বলেন, তিনি থাকেন এক স্টেটে আর তার কেস অন্য স্টেটে, তখন তার সমস্যা হবে। সেই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন, তাদের কেস নিউইয়র্কে থাকলে ভালো। সে জন্য তারা কেস নিউইয়র্কে রাখেন। এটি একদমই ঠিক নয়।
এ বিষয়ে একজন আইনজীবী বলেন, নিয়ম হচ্ছে আবেদনকারী যে স্টেটে থাকবেন ও যে ঠিকানায় থাকবেন, তিনি সেই ঠিকানা ইউএসসিআইএসের কাছে দেবেন ও আপডেট করবেন। গ্রেপ্তার এড়াতে কেউ কেউ নতুন ঠিকানায় গেলেও ঠিকানা সময়মতো আপডেট করছেন না। ফলে কখনো তারা আইসের হাতে ধরা পড়লে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই যে যেখানেই থাকুন না কেন, তার সঠিক ঠিকানা দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078