টানা তিন ম্যাচে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। লাহোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচটা জিতলেই মিলে যেত বিশ্বকাপের টিকিট। সেই লক্ষ্য এ ম্যাচে পূরণ হয়নি। উইন্ডিজের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ২৪ বল হাতে রেখে এই জয়ে উইন্ডিজ বাঁচিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। আর বাংলাদেশের কাজটা হয়েছে কিছুটা কঠিন। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চার ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা স্বাগতিক পাকিস্তান। তাদের হারালেই দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। হেরে গেলেও সম্ভাবনা থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে স্কটল্যান্ড ও উইন্ডিজকে রানরেটসহ নানা সমীকরণে পেছনে ফেলতে হবে। ১৯ এপ্রিল লাহোরেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
টসে জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ফারজানা হক পিংকি। পঞ্চম ওভারে ইশমা তানজিমের বদলে ওপেন করতে নামা সোবহানা মোশতারি ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেও অপর ওপেনার পিংকি ইনিংস মেরামত করেন শারমিনের সঙ্গে। দুজনে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। তবে ডানহাতি পেসার অ্যালিসিয়া অ্যালাইন দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। দলীয় ১৩৪ রানে পিংকি অ্যালাইনকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭৮ বলে তিন চারে খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। এর কিছুক্ষণ বাদেই অ্যালাইনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সুপ্তা। ৫৭ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নেওয়া ব্যাটার থামেন অ্যালাইনের বলে বোল্ড হয়ে। তার আগে অবশ্য ৭৯ বলে ১০ চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। শারমিনের পরপরই অ্যালাইন ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। থিতু হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করে বিদায় নেন জ্যোতি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২২৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে শেষ দিকে নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের ছোট তবে কার্যকর দুটি ইনিংসে। ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে নাহিদা ৩৯ বলে ২৫ ও রাবেয়া খেলেন ২০ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস। অ্যালাইন ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট।
২২৮ রানের জয়ের লক্ষ্য উইন্ডিজ ছুঁয়েছে শিনেল হেনরির অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে। বাংলাদেশের বোলাররা ৭ উইকেট শিকার করলেও সেভাবে উইন্ডিজকে চাপে রাখতে পারেননি কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ে ওঠায়। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল উইন্ডিজ। জাইদা জেমসকে ৯ রানে ফেরান জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। অপর ওপেনার কিয়ানা জোসেফ বিদায় নেন ৩১ রান করে। স্টেফানি টেইলর (৩৬), হেইলি ম্যাথিউস (৩৩), শিমেইন ক্যাম্পবেল (২৪) ও সাদিকা গজনবিরা (২০) ইনিংস বড় করতে না পারলেও ঠিকই অবদান রাখেন জয়ে। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে নামা হেনরি গজনবিকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েই মূলত বাংলাদেশকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে। মারুফা আক্তার নেন ২ উইকেট।
পয়েন্টের হিসাবে এখনো পাকিস্তানের ঠিক পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে বলেই স্বস্তি নেই লাল-সবুজ শিবিরে। এই ম্যাচটা জিতলে পয়েন্টের হিসেবেই বাংলাদেশ চলে যাবে এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে বসতে যাওয়া বিশ্বকাপে। শনিবার জিতলে এমনকি বাছাইয়ের সেরা দল হিসেবেও মিলতে পারে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র।
ঠিকানা/এনআই
টসে জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ফারজানা হক পিংকি। পঞ্চম ওভারে ইশমা তানজিমের বদলে ওপেন করতে নামা সোবহানা মোশতারি ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেও অপর ওপেনার পিংকি ইনিংস মেরামত করেন শারমিনের সঙ্গে। দুজনে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। তবে ডানহাতি পেসার অ্যালিসিয়া অ্যালাইন দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। দলীয় ১৩৪ রানে পিংকি অ্যালাইনকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭৮ বলে তিন চারে খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। এর কিছুক্ষণ বাদেই অ্যালাইনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সুপ্তা। ৫৭ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নেওয়া ব্যাটার থামেন অ্যালাইনের বলে বোল্ড হয়ে। তার আগে অবশ্য ৭৯ বলে ১০ চারে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। শারমিনের পরপরই অ্যালাইন ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। থিতু হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করে বিদায় নেন জ্যোতি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২২৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে শেষ দিকে নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের ছোট তবে কার্যকর দুটি ইনিংসে। ৯ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে নাহিদা ৩৯ বলে ২৫ ও রাবেয়া খেলেন ২০ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস। অ্যালাইন ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট।
২২৮ রানের জয়ের লক্ষ্য উইন্ডিজ ছুঁয়েছে শিনেল হেনরির অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে। বাংলাদেশের বোলাররা ৭ উইকেট শিকার করলেও সেভাবে উইন্ডিজকে চাপে রাখতে পারেননি কয়েকটি ছোট ছোট জুটি গড়ে ওঠায়। ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল উইন্ডিজ। জাইদা জেমসকে ৯ রানে ফেরান জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। অপর ওপেনার কিয়ানা জোসেফ বিদায় নেন ৩১ রান করে। স্টেফানি টেইলর (৩৬), হেইলি ম্যাথিউস (৩৩), শিমেইন ক্যাম্পবেল (২৪) ও সাদিকা গজনবিরা (২০) ইনিংস বড় করতে না পারলেও ঠিকই অবদান রাখেন জয়ে। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে নামা হেনরি গজনবিকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েই মূলত বাংলাদেশকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে। মারুফা আক্তার নেন ২ উইকেট।
পয়েন্টের হিসাবে এখনো পাকিস্তানের ঠিক পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে বলেই স্বস্তি নেই লাল-সবুজ শিবিরে। এই ম্যাচটা জিতলে পয়েন্টের হিসেবেই বাংলাদেশ চলে যাবে এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে বসতে যাওয়া বিশ্বকাপে। শনিবার জিতলে এমনকি বাছাইয়ের সেরা দল হিসেবেও মিলতে পারে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র।
ঠিকানা/এনআই