
মানুষের মুখের অন্তরালে অনেকেরই মুখোশ ফুটে ওঠে। যখন চিন্তা-চেতনায় অমিল হয়, নয়তো-বা যখন এ মন স্বার্থান্বেষী হয়ে ওঠে। পবিত্র কোরআন শরিফে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, তুমি বা তোমরা তখনই মুনাফিক হয়ে যাও, যখন তুমি যা বলো কিন্তু তা করো না। আমরা আবেগে নিরুপায় হয়ে বিবেককে বিসর্জন দিয়ে ফেলি। তবে সাধু সাবধান থাকতে হবে। নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করা দরকার।
অমানুষ বলে অন্য কোনো প্রজাতি নেই। যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব জ্ঞানের অভাব, যাদের মধ্যে মানবিক কোনো গুণ দেখা যায় না, তাকেই আমরা সাধারণত অমানুষ বলে থাকি। ব্যাপকভাবে বলতে গেলে, এমন কোনো মানুষ, যে আরেক মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, বিবেক-বুদ্ধি না খাটিয়ে বরং স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে নিচ্ছে, তারাই হলো অমানুষ। আজকের এই পোস্টে ‘অমানুষ’ সম্পর্কিত কিছু কথা তুলে ধরব।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক মাধ্যমেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মনোভাব তুলে ধরার চেষ্টা করে। তাই আপনাদের মধ্যে যারা এ বিষয়ে খোঁজ করে থাকেন, তারা এই লেখায় থাকা কথাগুলো খুব সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আশা করছি, এই লেখাগুলো পাঠকদের পছন্দ হবে এবং বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করার যোগ্য হবে।
মানুষ হয়ে ওঠার রাস্তায় চলতে চলতে কখন যে অমানুষ হয়ে উঠেছি টের পাইনি। আমি মানুষ বা অমানুষ বা মানুষ-অমানুষের মাঝামাঝি! হয়তো পুরোনো খামের ভাঁজে পড়ে থাকা ধুলো, কখনো আবার সেই চিঠির নির্বাক ভালোবাসা বা কোনো প্রাণহীনের চঞ্চলতা। অমানুষের মধ্যে থেকেও যদি তুমি তোমার মানবিকতা না হারাও, তবে তুমিই প্রকৃত মানব। দারিদ্র্য মানুষকে অর্ধমানব করে তোলে আর অতিরিক্ত সম্পদ মানুষকে অমানুষ করে তোলে। যে সমাজে অমানুষের সংখ্যা বেশি, সেখানে একজন সৎ ও মানবিকতাসম্পন্ন মানুষ বেশি দিন মানুষ হয়ে থাকতে পারবে না। দেখতে দেখতে আমি কবে যেন অমানুষদের ভিড়ে হারিয়ে গেছি। এখন তো নিজের মধ্য থেকে মানবিকতাবোধ টেনে বের করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
যাদের আমরা খারাপ মানুষ হিসেবে চিনি, তারা তো এমনিই মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, কিন্তু একজন অতিরিক্ত ভালো মানুষ যখন কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তখন তার মধ্যকার অমানুষের অমানবিকতা প্রকাশ পায়। মানুষের মধ্যে থাকা দুর্নীতি তথা কুমানসিকতার প্রকাশ পায় তাদের অমানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে, আর এই আচরণের জন্যই তারা অমানুষ হিসেবে গণ্য হয়। মানুষ হিসেবে জন্মে কী লাভ, যদি আচরণ অমানুষের মতোই থাকে।
আমি মানুষ দেখলেই বুঝে ফেলি, সে মানুষ না অমানুষ। যারা অমানুষ, ওদের হাসিতে কুটিলতা দেখা যায়। মানুষকে কীভাবে মানুষ হতে হবে, সেটা না শিখিয়ে বরং একটা মানুষকে এটা শেখানো উচিত যে অমানুষ হওয়া থেকে কীভাবে বিরত থাকা যায়। যারা মানবিক কারণে যুদ্ধের পথে চলেছেন, তারা অবশ্যই ঘৃণা ও অমানুষের পথে চলছেন। একটা মানুষের কাছে সত্যিকারের ভালোবাসা থেকে তার স্বার্থের মূল্য অনেক বেশি, কারণ অন্তর থেকে সেও অমানুষ। আজকাল অমানবিক কার্যকলাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, দিনে দিনে সমাজের একেকটা লোক যেন অমানুষ হয়ে উঠছে।
তোমাদের ব্যঙ্গোক্তিগুলোতে আজ আর আমার কর্ণজ্বালা হয় না। আমি অনেক প্রয়াসের দ্বারা এখন বাস্তবিকভাবেই অমানুষ হওয়ার মার্গে পৌঁছেছি! তোমাদের অবহেলা আর তাচ্ছিল্যগুলো তাই আজ আর আমার হৃদয়চক্ষে গোচর হয় না। যদি মানুষরূপী অমানুষগুলো দুঃখ দেয় তোমার বুকে, যদি মানুষরূপী অমানুষগুলো শোক দেয় বুকের ক্ষতে, সেই শোক-কষ্ট ভুলে গিয়ে, দুঃখগুলো দূরে ঠেলে এসো মানুষের তরে বাঁচি আমরা, অমানুষগুলোকে করি ঘৃণা।
মানুষরূপী অমানুষ ঘুরে বেড়ায় কত, এমন মানুষ দুনিয়াতে আছে শত শত। বিবেকের ঘরে তালা দিয়ে রয়েছে ঘুমিয়ে, মানবিকতা ইচ্ছা করেই তারা দিয়েছে হারিয়ে। তাদের জন্যই দুনিয়াটা ধ্বংসের মুখে প্রায়, তাদের মধ্যে ক’জন সেই খবর নেয়। দুনিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে করতে হবে আগে, অমানুষের সকল দল উঠুক সবাই জেগে। আমি এখানে ওখানে কান পাতি না, ইতিউতি ঘুরে বেড়াই শুধু, আমি মানুষ তাই অমানুষের সঙ্গে মিশি না।
ভাগ্যবানদের জোটে বিলাসী মিডিয়ার শোরগোল, কতিপয় নাগরিকের স্লোগান-মুখর প্রতিবাদ, শোকবার্তা। বেশির ভাগই হারিয়ে যায়, হারিয়ে যেতে থাকে, মানবতাবোধের আড়ালে কতিপয় নগ্ন চালে। হাত পা চোখ মুখ চিবুক দেহ জীবন-জীবিকা এক হলেও কেউ কেউ হয়ে ওঠে মানুষ, অন্যরা কীট। আমরা মানুষ, আবার আমরাই অমানুষ, আমরাই শ্রেষ্ঠ জীব।
একটা মানুষের অতিরিক্ত খারাপ আচরণ অমানুষ হয়ে ওঠার প্রতীক। মানুষ যেকোনো কিছুই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পেয়ে অমানুষ হয়ে ওঠে। ঘরের ভেতর সারা দিন বসে থাকলে সমাজে ছড়িয়ে থাকা অমানুষদের কাছ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু সারা দিন তো ঘরে থাকাও সম্ভব নয়। হাত-পা থাকলেই হয় কি মানুষ! বিবেক-চৈতন্য থাকলে তবে মানুষ বলি তাকে।
মানুষ নাম করে যারা করে পশুর মতো আচরণ, মানুষ বলে নয় যে গণ্য পশুর মতো করে বিচরণ। মানুষও নয়, পশুও নয়, তারা যে জীব ঘৃণ্য, মানুষ মনে পাবে না ঠাঁই কোনো দিনের জন্য। মানুষ যারা মানবকল্যাণ তাদের জীবন ব্রত, সত্যম শিবম সুন্দরমের সাধনাই চরম সত্য। আমি নতজানু হয়ে ক্ষমা চাই, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো আমায়, নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে-আশঙ্কার মাঝে, বিধি, আমাকেও মানুষ করে দাও। আমি যন্ত্র কিংবা মানব রোবট হতে চাই না, যাকে নিয়ে খেলবে তোমরা, আমি বরং রয়ে যাব প্রস্তর যুগে, পাহাড়ের গুহায় হোক আমার বসবাস, সভ্যতার বাইরে আমি না হয় গুহাবাসী রয়ে গেলাম। আমি না হয় অমানুষই রয়ে গেলাম।
মানুষের কাছে মানুষ বড়, শয়তানের কাছে স্বার্থ। অমানুষ যদি হও স্বভাবে, তবে মানব জনম ব্যর্থ। কর্মে হও সৎ নিষ্ঠাবান, ধর্মের বড়াই করো না, সবার আগে মানুষ হও, অমানুষ হয়ে মরো না। শুধু রক্ত-মাংস থাকলেই যদি মানুষ হওয়া যেত, তাহলে তো পশুরা আমার চেয়েও বড় মানুষ হতো। যদি না থাকে আমার মধ্যে মনুষ্যত্ব, আমি মানুষ নই, আমি মানুষরূপী অমানুষ। আমি জানোয়ার, রক্তখেকো প্রাণী-মানি না কোনো বাধা, আমি চিরশত্রু মানবের। বড়ই অমানুষ আমি, আমার কাছে নেই কোনো ভেদ, আত্মীয়ে-অনাত্মীয়ে। আমি পাষাণমূর্তি, দয়াহীন কাপুরুষ।
অমানুষ বলে অন্য কোনো প্রজাতি নেই। যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব জ্ঞানের অভাব, যাদের মধ্যে মানবিক কোনো গুণ দেখা যায় না, তাকেই আমরা সাধারণত অমানুষ বলে থাকি। ব্যাপকভাবে বলতে গেলে, এমন কোনো মানুষ, যে আরেক মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, বিবেক-বুদ্ধি না খাটিয়ে বরং স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে নিচ্ছে, তারাই হলো অমানুষ। আজকের এই পোস্টে ‘অমানুষ’ সম্পর্কিত কিছু কথা তুলে ধরব।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক মাধ্যমেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মনোভাব তুলে ধরার চেষ্টা করে। তাই আপনাদের মধ্যে যারা এ বিষয়ে খোঁজ করে থাকেন, তারা এই লেখায় থাকা কথাগুলো খুব সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আশা করছি, এই লেখাগুলো পাঠকদের পছন্দ হবে এবং বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করার যোগ্য হবে।
মানুষ হয়ে ওঠার রাস্তায় চলতে চলতে কখন যে অমানুষ হয়ে উঠেছি টের পাইনি। আমি মানুষ বা অমানুষ বা মানুষ-অমানুষের মাঝামাঝি! হয়তো পুরোনো খামের ভাঁজে পড়ে থাকা ধুলো, কখনো আবার সেই চিঠির নির্বাক ভালোবাসা বা কোনো প্রাণহীনের চঞ্চলতা। অমানুষের মধ্যে থেকেও যদি তুমি তোমার মানবিকতা না হারাও, তবে তুমিই প্রকৃত মানব। দারিদ্র্য মানুষকে অর্ধমানব করে তোলে আর অতিরিক্ত সম্পদ মানুষকে অমানুষ করে তোলে। যে সমাজে অমানুষের সংখ্যা বেশি, সেখানে একজন সৎ ও মানবিকতাসম্পন্ন মানুষ বেশি দিন মানুষ হয়ে থাকতে পারবে না। দেখতে দেখতে আমি কবে যেন অমানুষদের ভিড়ে হারিয়ে গেছি। এখন তো নিজের মধ্য থেকে মানবিকতাবোধ টেনে বের করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
যাদের আমরা খারাপ মানুষ হিসেবে চিনি, তারা তো এমনিই মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, কিন্তু একজন অতিরিক্ত ভালো মানুষ যখন কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তখন তার মধ্যকার অমানুষের অমানবিকতা প্রকাশ পায়। মানুষের মধ্যে থাকা দুর্নীতি তথা কুমানসিকতার প্রকাশ পায় তাদের অমানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে, আর এই আচরণের জন্যই তারা অমানুষ হিসেবে গণ্য হয়। মানুষ হিসেবে জন্মে কী লাভ, যদি আচরণ অমানুষের মতোই থাকে।
আমি মানুষ দেখলেই বুঝে ফেলি, সে মানুষ না অমানুষ। যারা অমানুষ, ওদের হাসিতে কুটিলতা দেখা যায়। মানুষকে কীভাবে মানুষ হতে হবে, সেটা না শিখিয়ে বরং একটা মানুষকে এটা শেখানো উচিত যে অমানুষ হওয়া থেকে কীভাবে বিরত থাকা যায়। যারা মানবিক কারণে যুদ্ধের পথে চলেছেন, তারা অবশ্যই ঘৃণা ও অমানুষের পথে চলছেন। একটা মানুষের কাছে সত্যিকারের ভালোবাসা থেকে তার স্বার্থের মূল্য অনেক বেশি, কারণ অন্তর থেকে সেও অমানুষ। আজকাল অমানবিক কার্যকলাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, দিনে দিনে সমাজের একেকটা লোক যেন অমানুষ হয়ে উঠছে।
তোমাদের ব্যঙ্গোক্তিগুলোতে আজ আর আমার কর্ণজ্বালা হয় না। আমি অনেক প্রয়াসের দ্বারা এখন বাস্তবিকভাবেই অমানুষ হওয়ার মার্গে পৌঁছেছি! তোমাদের অবহেলা আর তাচ্ছিল্যগুলো তাই আজ আর আমার হৃদয়চক্ষে গোচর হয় না। যদি মানুষরূপী অমানুষগুলো দুঃখ দেয় তোমার বুকে, যদি মানুষরূপী অমানুষগুলো শোক দেয় বুকের ক্ষতে, সেই শোক-কষ্ট ভুলে গিয়ে, দুঃখগুলো দূরে ঠেলে এসো মানুষের তরে বাঁচি আমরা, অমানুষগুলোকে করি ঘৃণা।
মানুষরূপী অমানুষ ঘুরে বেড়ায় কত, এমন মানুষ দুনিয়াতে আছে শত শত। বিবেকের ঘরে তালা দিয়ে রয়েছে ঘুমিয়ে, মানবিকতা ইচ্ছা করেই তারা দিয়েছে হারিয়ে। তাদের জন্যই দুনিয়াটা ধ্বংসের মুখে প্রায়, তাদের মধ্যে ক’জন সেই খবর নেয়। দুনিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে করতে হবে আগে, অমানুষের সকল দল উঠুক সবাই জেগে। আমি এখানে ওখানে কান পাতি না, ইতিউতি ঘুরে বেড়াই শুধু, আমি মানুষ তাই অমানুষের সঙ্গে মিশি না।
ভাগ্যবানদের জোটে বিলাসী মিডিয়ার শোরগোল, কতিপয় নাগরিকের স্লোগান-মুখর প্রতিবাদ, শোকবার্তা। বেশির ভাগই হারিয়ে যায়, হারিয়ে যেতে থাকে, মানবতাবোধের আড়ালে কতিপয় নগ্ন চালে। হাত পা চোখ মুখ চিবুক দেহ জীবন-জীবিকা এক হলেও কেউ কেউ হয়ে ওঠে মানুষ, অন্যরা কীট। আমরা মানুষ, আবার আমরাই অমানুষ, আমরাই শ্রেষ্ঠ জীব।
একটা মানুষের অতিরিক্ত খারাপ আচরণ অমানুষ হয়ে ওঠার প্রতীক। মানুষ যেকোনো কিছুই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পেয়ে অমানুষ হয়ে ওঠে। ঘরের ভেতর সারা দিন বসে থাকলে সমাজে ছড়িয়ে থাকা অমানুষদের কাছ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু সারা দিন তো ঘরে থাকাও সম্ভব নয়। হাত-পা থাকলেই হয় কি মানুষ! বিবেক-চৈতন্য থাকলে তবে মানুষ বলি তাকে।
মানুষ নাম করে যারা করে পশুর মতো আচরণ, মানুষ বলে নয় যে গণ্য পশুর মতো করে বিচরণ। মানুষও নয়, পশুও নয়, তারা যে জীব ঘৃণ্য, মানুষ মনে পাবে না ঠাঁই কোনো দিনের জন্য। মানুষ যারা মানবকল্যাণ তাদের জীবন ব্রত, সত্যম শিবম সুন্দরমের সাধনাই চরম সত্য। আমি নতজানু হয়ে ক্ষমা চাই, ক্ষমা করো, ক্ষমা করো আমায়, নিঃশ্বাসে-বিশ্বাসে-আশঙ্কার মাঝে, বিধি, আমাকেও মানুষ করে দাও। আমি যন্ত্র কিংবা মানব রোবট হতে চাই না, যাকে নিয়ে খেলবে তোমরা, আমি বরং রয়ে যাব প্রস্তর যুগে, পাহাড়ের গুহায় হোক আমার বসবাস, সভ্যতার বাইরে আমি না হয় গুহাবাসী রয়ে গেলাম। আমি না হয় অমানুষই রয়ে গেলাম।
মানুষের কাছে মানুষ বড়, শয়তানের কাছে স্বার্থ। অমানুষ যদি হও স্বভাবে, তবে মানব জনম ব্যর্থ। কর্মে হও সৎ নিষ্ঠাবান, ধর্মের বড়াই করো না, সবার আগে মানুষ হও, অমানুষ হয়ে মরো না। শুধু রক্ত-মাংস থাকলেই যদি মানুষ হওয়া যেত, তাহলে তো পশুরা আমার চেয়েও বড় মানুষ হতো। যদি না থাকে আমার মধ্যে মনুষ্যত্ব, আমি মানুষ নই, আমি মানুষরূপী অমানুষ। আমি জানোয়ার, রক্তখেকো প্রাণী-মানি না কোনো বাধা, আমি চিরশত্রু মানবের। বড়ই অমানুষ আমি, আমার কাছে নেই কোনো ভেদ, আত্মীয়ে-অনাত্মীয়ে। আমি পাষাণমূর্তি, দয়াহীন কাপুরুষ।