
দেশ বরেণ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত শিক্ষাবিদ ড. ইউনূস। দেশে যতটা না বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনেক বেশি সম্মানীয়। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় দক্ষতা, যোগ্যতার ছাপ রাখলেও তার সব কাজ প্রশ্নহীন নয়।কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে অভ্যন্তরীণ অনেক ক্ষেত্রে সেই দলকে আপস-সমঝোতার পথে চলতে হয়। স্থূল দলীয় স্বার্থে কাজ করতে হয়। এতে অনেক সময়ই জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় বা জনস্বার্থকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। অনৈতিক এসব কাজের জন্য সরকারকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়। যার মূল্য দিতে হয় পরবর্তী নির্বাচনে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। জনগণ তাদের ডেকেও আনেনি। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সফল আন্দোলনের ফসল অন্তর্বর্তী সরকার। সেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বড় অংশ তাদের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) অনুপস্থিত। দেশের মানুষ আগ্রহভরে তাদের পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য, সামাজিক অনাচারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষ কিছুটা অসন্তুষ্ট। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ মুখ খুলছে না, এখনো সয়ে যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে যে তারা পথে নামবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে কাদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেবে, সে প্রশ্ন রয়েছে। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি গোড়া থেকেই ড. ইউনূস সরকারকে নিঃশর্তভাবে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে আসছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের লাগাতার নীরবতা সামনে তাদেরকে বড় রকমের রাজনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিও নিতে হবে। অপরদিকে শেখ হাসিনা বিতাড়িত হলেও তার দল আওয়ামী লীগ হারিয়ে যায়নি। দলটির দুর্নীতিবাজ, জনবিচ্ছিন্ন মন্ত্রী-এমপিরা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলেও সৎ, দরদি, নিবেদিত, তৃণমূল নেতাকর্মীরা সব নির্বাচনী এলাকায়ই রয়েছেন। বাস্তব এ অবস্থাটা বিবেচনায় নিয়েই দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে শর্তহীন সমর্থন দেওয়ার দায় থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দুই বছর পিছিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলে বিএনপি তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। অনেকের মতে, বৈষম্যবিরোধীদের ক্ষমতায় আনার যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এই বাড়তি সময় নিচ্ছে। বিষয়টি অধিকতর স্পষ্ট হওয়ার পরই বিএনপিকে রাজপথ বেছে নিতে হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আসা বর্তমান সরকারকে দুই বছরের বেশি সময় দিতে বিএনপি ও তার সহযোগীরা প্রস্তুত নয়। এর প্রয়োজনও থাকার কথা নয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে এই সময় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে এ বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু হলে ড. ইউনূস প্রচণ্ড চাপে পড়বেন। সেনাবাহিনী এ-যাবৎ সরকারকে সহায়তা দিয়ে এলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে মোকাবিলায় তারা হয়তো রাজপথে নামবে না। সেনাবাহিনী এই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে না। ৫ আগস্টের পর একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান দেশের স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন। সেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার পথ সেনাবাহিনী সুগম করবে না। আর সেটা করলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সংঘাতে জড়াতে হবে, যা গোটা দেশে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিশ্চয় তা চাইবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়লে অসহায় পরিস্থিতিতে পড়বেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান এবং তার সরকার।
অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আসা বর্তমান সরকারকে দুই বছরের বেশি সময় দিতে বিএনপি ও তার সহযোগীরা প্রস্তুত নয়। এর প্রয়োজনও থাকার কথা নয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে এই সময় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে এ বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু হলে ড. ইউনূস প্রচণ্ড চাপে পড়বেন। সেনাবাহিনী এ-যাবৎ সরকারকে সহায়তা দিয়ে এলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে মোকাবিলায় তারা হয়তো রাজপথে নামবে না। সেনাবাহিনী এই ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে না। ৫ আগস্টের পর একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান দেশের স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেন। সেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার পথ সেনাবাহিনী সুগম করবে না। আর সেটা করলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সংঘাতে জড়াতে হবে, যা গোটা দেশে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিশ্চয় তা চাইবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়লে অসহায় পরিস্থিতিতে পড়বেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান এবং তার সরকার।