
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা জমির দলিলদাতা ও গ্রহীতাকে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আটকে রেখে দলিলপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে দুর্বৃত্তরা জমির দলিলদাতা ও দলিল গ্রহীতাকে জমি রেজিস্ট্রিতে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে তারা তাদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দলিল লেখকসহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ করে দিগবিদিগ ছুটোছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে জমি বিক্রেতা ও ক্রেতাকে উদ্ধার করে আনেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মোফাসেল মিয়াবাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান জমি বিক্রেতা আবুল বাশার ও জমি ক্রেতা মো. মোজাম্মেল হক ও মো. মোফাসেল মিয়া তাদের বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। এ সময় সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করতে সেখানে জড়ো হন। দলিল লেখক আল-আমিন সেই দলিল সাব-রেজিস্টারের কাছে জমা দেয়ার মুহুর্তে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া নিবাসী উপজেলা যুবদল নেতা মো. মিন্টু মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. রাতুল, মো. রুকু ভেণ্ডার ও মো. আল-আমিনসহ ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে দলিল দিতে বাধা প্রদান করে। একই সঙ্গে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক এলোপাতাড়িভাবে জমির দলিলদাতা আবুল বাশার ও জমির দলিল গ্রহীতা মোজ্জামেল, মোফাসেল এবং আতাউর রহমানকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা তাদের কাছ থেকে দলিলপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে টেনেহিচড়ে অফিস থেকে বের করে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বিকার ও আতঙ্কিত হয়ে দিগবিদিগ ছোটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে বিকেলের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে ও দুর্বৃত্তদের কবল থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে আনেন।
ভুক্তভোগী আবুল বাশার জানান, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলাদিয়ার আলগী মৌজার বি.আর.এস খতিয়ান নং-১৬৩, খারিজ খতিয়ান নং-২৫-৪৮৭, বি.আর.এস দাগ নং- ৫৬৭, শ্রেণি-কান্দা এর ১৭.৫ শতাংশ জমি সাফ কবলামূলে তার চাচাতো ভাই মো. মোজাম্মেল হক ও মো. মোফাসেল মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এমন খবরে তার সৎ ভাইয়েরা জমি বিক্রিতে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউএনও এরশাদুল আহমেদ জমি বিক্রিতে ও জমি রেজিস্ট্রি করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তারা জমি ক্রেতা মো. মোজাম্মেল হক ও মোফাসেল মিয়া রেজিস্ট্রি করতে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে উপজেলা যুবদল নেতা মিন্টু মিয়াসহ ৮-১০জন দুর্বৃত্ত তাদের জমি রেজিস্ট্রি করতে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাদের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। বিকেলে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
একই কথা জানালেন হামলার শিকার মো. মোফাসেল মিয়া। তিনি বলেন, জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য ৯ লাখ টাকায় জমিটি সাফ কবলা দলিলমূলে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমির প্রকৃত মালিক আবুল বাশারের নিকট থেকে ক্রয় করি। ইতোমধ্যেই জমি ক্রয়ের মূল্য পরিশোধ করে ভোগদখলও করছি। কিন্তু গতকাল দুপুরে জমি রেজিস্ট্রি করতে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। জমি রেজিস্ট্রি সম্পাদনে বাধা দেয়। এরপর এ ঘটনায় বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় গিয়ে হামলাকারী ৬ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্তসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে মো. মিন্টু মিয়াসহ তার অনুসারীরা নানা ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী তাদের অন্যায়-অপকর্ম ও জুলুম-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপি’র সাবেক এমপি শাহ্ নূরুল কবির শাহীন বলেন, এ ঘটনাটি শুনেছি। তবে যারা এ অপকর্ম করেছে তারা কেউই আমার দলের নয়, তারা মূলত সন্ত্রাসী। ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা যে দলেরই হোক না কেন, তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে থানার ওসিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সাব রেজিস্ট্রারকেও জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান জমি বিক্রেতা আবুল বাশার ও জমি ক্রেতা মো. মোজাম্মেল হক ও মো. মোফাসেল মিয়া তাদের বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। এ সময় সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করতে সেখানে জড়ো হন। দলিল লেখক আল-আমিন সেই দলিল সাব-রেজিস্টারের কাছে জমা দেয়ার মুহুর্তে ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তপাড়া নিবাসী উপজেলা যুবদল নেতা মো. মিন্টু মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম, মো. আলমগীর হোসেন, মো. রাতুল, মো. রুকু ভেণ্ডার ও মো. আল-আমিনসহ ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে দলিল দিতে বাধা প্রদান করে। একই সঙ্গে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনপূর্বক এলোপাতাড়িভাবে জমির দলিলদাতা আবুল বাশার ও জমির দলিল গ্রহীতা মোজ্জামেল, মোফাসেল এবং আতাউর রহমানকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা তাদের কাছ থেকে দলিলপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে টেনেহিচড়ে অফিস থেকে বের করে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বিকার ও আতঙ্কিত হয়ে দিগবিদিগ ছোটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে বিকেলের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে ও দুর্বৃত্তদের কবল থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে আনেন।
ভুক্তভোগী আবুল বাশার জানান, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আলাদিয়ার আলগী মৌজার বি.আর.এস খতিয়ান নং-১৬৩, খারিজ খতিয়ান নং-২৫-৪৮৭, বি.আর.এস দাগ নং- ৫৬৭, শ্রেণি-কান্দা এর ১৭.৫ শতাংশ জমি সাফ কবলামূলে তার চাচাতো ভাই মো. মোজাম্মেল হক ও মো. মোফাসেল মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এমন খবরে তার সৎ ভাইয়েরা জমি বিক্রিতে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউএনও এরশাদুল আহমেদ জমি বিক্রিতে ও জমি রেজিস্ট্রি করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তারা জমি ক্রেতা মো. মোজাম্মেল হক ও মোফাসেল মিয়া রেজিস্ট্রি করতে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছালে উপজেলা যুবদল নেতা মিন্টু মিয়াসহ ৮-১০জন দুর্বৃত্ত তাদের জমি রেজিস্ট্রি করতে বাধা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাদের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। বিকেলে পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
একই কথা জানালেন হামলার শিকার মো. মোফাসেল মিয়া। তিনি বলেন, জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য ৯ লাখ টাকায় জমিটি সাফ কবলা দলিলমূলে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমির প্রকৃত মালিক আবুল বাশারের নিকট থেকে ক্রয় করি। ইতোমধ্যেই জমি ক্রয়ের মূল্য পরিশোধ করে ভোগদখলও করছি। কিন্তু গতকাল দুপুরে জমি রেজিস্ট্রি করতে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। জমি রেজিস্ট্রি সম্পাদনে বাধা দেয়। এরপর এ ঘটনায় বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় গিয়ে হামলাকারী ৬ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্তসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে মো. মিন্টু মিয়াসহ তার অনুসারীরা নানা ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছে না। এলাকাবাসী তাদের অন্যায়-অপকর্ম ও জুলুম-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপি’র সাবেক এমপি শাহ্ নূরুল কবির শাহীন বলেন, এ ঘটনাটি শুনেছি। তবে যারা এ অপকর্ম করেছে তারা কেউই আমার দলের নয়, তারা মূলত সন্ত্রাসী। ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা যে দলেরই হোক না কেন, তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে থানার ওসিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সাব রেজিস্ট্রারকেও জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।